
গৌনতন্ত্রের খবর: ষোড়শ সংশোধীর বাতিলের রায়ে কিছু পর্যবেক্ষণ নিয়ে সৃষ্ট তোলপাড় পরিস্থিতিতে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার ছুটি নাটকের রেশ না কাটতেই বহুদলীয় গনতন্ত্রের কথা বলে রীতিমতো হৈ চৈ ফেলে দিলেন সিইসি নুরুল হুদা। অনেকেই মনে করছিলো তিনিও কি ছুটি প্রধান বিচারপতির পরিনতি বরন করতে যাচ্ছেন? বিশেষ করে আড়াই ঘন্টা সিইসির সাথে সংলাপ করেও কাদের সিদ্দীকি যখন দিনের প্রথম ভাগে সংলাপ বর্জন ও সিইসির পদত্যাগ চেয়ে নাটকীয়তা সৃষ্টির প্রবল চেষ্টা করলেন তখন একটু সন্দেহ দেখা দিয়েছিলো। কিন্তু ওবায়দুল কাদের সেখানে দিলেন পানি ঢেলে। বললেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য এটা সিইসির একটা কৌশল। এই কথায় দেশের মানুষ আশ্বস্থ হলো। যাক, বিপদ কেটে গেলো। সিইসি নিরাপদ। তারপরও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে কেন সিইসি বিএনপি নেতাদের সাথে নির্বাচনের বাইরে এতো কথা বলতে গেলেন? আর যদি কৌশলও হয় এটা কেন ফাঁস করে দিলেন। যাক্, প্রসঙ্গের বাইরে সিইসি কথা বললে কি হতে পারে তা নিয়ে একটা গল্প নিম্নরুপ:
মিষ্টির দোকানের মালিক তার ম্যানেজারকে বললো কেনাবেচা ভালো হচ্ছেনা। দোকানের মিষ্টি যে সেরা এটা প্রচার করতে এমন একটা কৌশল বের করো যাতে হৈ চৈ পড়ে যায়। ম্যানেজার কাজে লেগে গেলো। একদিন রাস্তার লোকজনকে জড়ো করলেন। বললেন মিষ্টি ফ্রি খাওয়াবেন। লোকজন বললো না তোমার মিষ্টি ভালো না। ফ্রিও খাবো না। ম্যানেজার বললো প্রমান দিচ্ছি। তিনি মিষ্টির রস দোকানের মেঝেতে ফেললেন। সাথে সাথে পিপড়ার দল এসে হাজির। পিপড়া খেতে আবার টিকটিকি চলে আসলো। টিকটিকি দেখে চলে আসলো কয়েকটা বিড়াল। বিড়ালের উপস্থিতি দেখে ঘেউ ঘেউ করে কুকুরের দল এসে হামলা করলো বিড়ালদের । ব্যাস, যায় কোথায়! শুরু হলো বিড়াল আর কুকুরের যুদ্ধ। এই যুদ্ধে অংশ নিল বিড়াল আর কুকুরের মালিকরাও। মানুষে মানুষে আর কুকুর বিড়ালের যুদ্ধে শুধু ওই মিষ্টির দোকানই না আশেপাশের দোকান পাটও ভেঙেচুরে তছনছ। এর সাথ যুক্ত হলো পুলিশ। পুলিশ এসে পরিস্থিতি থামাতে গিয়ে ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লো। ফলে গোটা এলাকা তছনছ। মিষ্টির দোকানের মালিক এসে দেখলো মিষ্টির ব্যবসা শেষ। তখন সে ব্যস্ত হয়ে পড়লো সংঘর্ষে আহত ম্যানেজারের চিকিৎসা নিয়ে।
মোস্তফা ফিরোজ’র স্ট্যাটাস থেকে।