মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২
logo

...কেউ কেউ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে এক গ্লাস পানি বেশী খান

...কেউ কেউ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে এক গ্লাস পানি বেশী খান

প্রশ্ন আউট এবং আমার মন্তব্য :

“ঢাবির ঘ ইউনিটের প্রশ্ন প্রণয়ন ও ফাঁসের আদ্যোপান্ত” শিরোনামে চ্যানেল আই অনলাইন ভার্সনে একটি প্রতিবেদ দেখলাম। সেখানে বলা হয়েছে পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৮ ঘন্টা পূর্বেই প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে এবং সে প্রশ্ন ইমেলে সাংবাদিকর কাছে গিয়েছ।ঢাবি কর্তৃপক্ষ বলছে প্রশ্ন আউট হয়নি।

স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে

১। রাত ২টায় প্রশ্ন যদি কোন সাংবাদিক প্রশ্ন পেয়ে থাকেন তবে তিনি কেন সাথে সাথে অথবা পরদিন পরীক্ষার আগেই কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেনি বা মিডিয়ায় প্রচার করেননি ? প্রতিবেদনের আরেক যায়গায় বলা হয়েছে শুধুমাত্র ইংরেজী অংশটা আউট হয়েছে। যদি সাংবাদিক বন্ধু ইমেলে প্রশ্ন পেয়ে থাকেন তবে ইমেলে অবশ্যই টাইম উল্লেখ থাকবে সেটা প্রমান হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। সেটা অস্বিকার করার কারোই কিছু নেই।

২। আমি ধরেই নিলাম প্রশ্ন আউট হয়েছে কিন্তু তথ্য প্রমাণ ছাড়া কি আপনি বলতে পারবেন প্রশ্ন আউট হয়েছে। যদি তথ্য প্রমাণ না থাকে তবে প্রশ্ন আউট হয়েছে সেটা বলাটাও অপরাধ। পরীক্ষার পর আউট হেয়ছে বলাটা কতটুুকু যুক্তিসঙ্গত ? আপনি কিভাবে সেটা প্রমাণ করবেন ?

৩। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে প্রশ্ন আউট হয়নি। আর সাংবাদিকরা বলছেন আউট হয়েছে । আউট যে হয়েছে তার বড় প্রমাণ দিতে পারেন সাংবাদিক বন্ধু। তার ইমেল বক্স খুলে দিলেই প্রমাণিত হবে ইমেলটি রাতে তিনি পেয়েছেন । কিন্তু সেটা করা হচ্ছে না কেন ?

৪। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে একজন কক্ষ প্রত্যবেক্ষক বলেছেন একজন ছাত্র ৩০ মিনিটে সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিয়েছে। এ অনুমানের উপর ভিত্তি করে কি বলা যায় প্রশ্ন আউট হয়েছে ?

৫। কেউ কেউ বলছেন প্রশ্ন আউটের কারণে কাউকে কাউকে ধরেছে। আসলে কি প্রশ্ন আউটের কারণে তাদের ধরেছে ? তাদের কেন ধরেছে সেটা জানা উচিত।

আমার কাছে সম্পর্ণ বিষয়টি কেন যেন ধোয়াটে মনে হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেজ ক্ষুন্ন করার কোন চক্রান্ত নয়তো ? কেউ কেউ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে এক গ্লাস পানি বেশী খান।

রতন কুমার মজুমদার’র স্ট্যাটাস থেকে

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত