![...সিইসি কি রাজনীতি বিশ্লেষক, গবেষক বা শিক্ষক হতে চাচ্ছেন?](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/10/27/feroz_107520.jpg)
গৌণতন্ত্রের খবর: আচ্ছা, সিইসি নুরুল হুদা কি রাজনীতি বিশ্লেষক, গবেষক বা শিক্ষক হতে চাচ্ছেন? তিনি কি নির্বাচন কমিশনকে রাজনীতির পাঠশালা বানাতে চাচ্ছেন? নাকি একটা হৈ চৈ বাঁধিয়ে সরে পড়তে চাচ্ছেন? এসব প্রশ্ন এখন আমার মাথার ভিতরে ঘুরপাক খাচ্ছে। কেন সেটা, একটু ব্যাখ্যা করছি। সিইসি আবার বললেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি বহুদলীয় গনতন্ত্রের পুন:প্রবর্তক ছিলেন, একথা তিনি 'ওন' করেন। বোঝা যাচ্ছে তার ঔ কথার সমালোচনার বিপরীতে তিনি কঠিন মনোভাব ব্যক্ত করলেন। এবার তিনি আরো খোলাসা করলেন। বললেন, ৭৫ থেকে ৭৭ পর্যন্ত গনতন্ত্র ছিলো না। ৭৮ এ এসে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গনতন্ত্র চালু করেন। এর ফলে আওয়ামী লীগসহ অনেক দল নির্বাচনে অংশ নেয়। সত্যিই তো। তিনি হুট করে এমন সত্যি কথা কেন বলছেন আগ বাড়িয়ে?তিনি কি বিএনপিকে বশে আনার চেষ্টা করছেন? এতে কি আর এক বিতর্ক উস্কে দিচ্ছেন না? উনার এই বিশ্লেষনে আঘাত পাবে আওয়ামী লীগ, তাতে কোন সন্দেহ নাই। ১৯৭৫ সালের ২৪ জানুয়ারি বহু দলের পরিবর্তে চালু হয়েছিলো একদলীয় বাকশাল। তার পরের রাজনীতির ইতিহাস সবার জানা। বাকশাল নিয়ে রাজনীতির প্রতিপক্ষরা যখন সমালোচনা করে সেই তীর আওয়ামী লীগের বুকে বিদ্ধ হয়। তাদের ভিতরে একটা অস্বস্থি কাজ করে। আওয়ামী লীগও এই প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলতে চায় না। বিরোধী প্রতিপক্ষের মতো সিইসিও এখন ৭৫ এর পর গনতন্ত্র ছিলো না বলে আওয়ামী লীগকে পরোক্ষভাবে খোঁচাটা দিলেন। প্রশ্ন হচ্ছে, আপনি সিইসি এতো আপ্লুত কেন বহুদলীয় গনতন্ত্র নিয়ে? ঔ গনতন্ত্রের সমালোচনা কি নেই? আপনি মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে কি ভুলে গেলেন যে ঐ বহুদলীয় গনতন্ত্রের সুযোগে স্বাধীনতা বিরোধীরা আবার রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছিলো। তারা সংসদে ও মন্ত্রিসভায় দাপিয়ে বেড়িয়েছে। আপনি যদি তাই 'ওন' করেন, তাহলে জামাতকে নিবন্ধন দিয়ে 'পবিত্র' দায়িত্ব পালন করেন না কেন? সবচেয়ে বড়ো কথা, আপনার দায়িত্ব সব দলকে নির্বাচনে আনা। এতো কথা না বলে সবাইকে নির্বাচনে আনার মধ্য দিয়ে আবার বহুদলীয় নির্বাচন ও বহুদলীয় সংসদীয় রাজনীতি পুনঃ পুনঃ প্রবর্তন করে আপনি ইতিহাসে অমর হয়ে যান না, বাঁধা কোথায়?
মোস্তফা ফিরোজ’র স্ট্যাটাস থেকে।