![...সমাজে পারস্পরিক কল্যানের চর্চা না থাকলে ভণ্ডমীর চর্চা আরম্ভ হয়](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/11/03/kawsar_108885.jpg)
স্বভাবের মন্দ দিকগুলোকে যারা নির্মূল করতে পেরেছে,প্রকৃতপক্ষে তারাই মহৎমানুষ।
একেবারে যারা মন্দ-স্বভাব নির্মূল করতে পারে নি,বিচার-বুদ্ধি দিয়ে চেপে রেখেছে,তারা অবশ্যই ভালো মানুষ। কিন্তু যারা নির্মূল করতেও পারে নি,আবার চেপে রাখার চেষ্টাও করে না,সমাজের চোখে তারা খারাপ মানুষ বলে বিবেচিত। সকলের শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে সমাজে খারাপ মানুষদের শাস্তির ব্যবস্থা আছে। ধর্মেও কঠিন আযাবের কথা বলা হয়েছে।
সমাজে এখন মহৎমানুষ বিরল। তবে ঢের ভালো মানুষ আছে যারা মন্দ-স্বভাবকে কষ্ট করে চেপে রেখেছে। দুয়েকবার অনিচ্ছাবশত মন্দ-স্বভাবের প্রকাশ ঘটলে,তাতে খুব একটা দোষ থাকে না। পুনরায় নিজেকে শুধরে নেওয়াটাও ভালো মানুষের স্বভাব। এতে সমাজের মারাত্মক ক্ষতি হয় না। আবার একটা সমাজে খারাপ মানুষ থাকতেই পারে। সমাজ যদি সচেতন হয় তাহলে এটাও কোনো সামাজিক সংকট তৈরি করে না।
সামাজিক সংকট তৈরি করে অন্য এক জাতের মানুষ। এই জাতের মানুষেরা স্বভাবের মন্দ দিকগুলোকে না নির্মূল করে,না চেপে রাখে। তারা যত্ন করে ঢেকে রাখে একটা সুযোগের অপেক্ষায়। ঢেকে রাখবার জন্য তারা তথাকথিত শিক্ষা-সভ্যতা-সংস্কৃতি এমন কি ধর্মকেও ব্যবহার করে। ফলে তাদের সুবিধা হয় সমাজের সর্বত্র বিচরণ করতে। এদের সামাজিক নাম--'ভণ্ড'।
ভণ্ডামী বা ছদ্মবেশ ধারণ সম্পর্কে জ্ঞানীরা অনেক কথা বলেছেন। আসল কথা হলো: ভণ্ডামী হচ্ছে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের নির্লজ্জ্ব কৌশল বা উপায় মাত্র।
এমিল ডুর্খাইম চমৎকার বলেছেন: " সমাজে পারস্পরিক কল্যানের চর্চা না থাকলে ভণ্ডমীর চর্চা আরম্ভ হয়"।
খন্দকার কাওসার আহমেদ’র স্ট্যাটাস থেকে