শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • মিডিয়া
  • উৎপল দাশের খোঁজ নিয়ে পূর্বপশ্চিম বিডি ডট’র বিভ্রান্তিকর খবর

উৎপল দাশের খোঁজ নিয়ে পূর্বপশ্চিম বিডি ডট’র বিভ্রান্তিকর খবর

উৎপল দাশের খোঁজ নিয়ে পূর্বপশ্চিম বিডি ডট’র বিভ্রান্তিকর খবর

ঢাকা, ০৫ নভেম্বর, এবিনিউজ : নিখোঁজ সাংবাদিক উৎপল দাসের খোঁজ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মিলেছে বলে তার পত্রিকার সম্পাদক দাবি করলেও সেখানে তাকে না পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

পূর্বপশ্চিম বিডি ডটনিউজের সম্পাদক খুজিস্তা নূর-ই-নাহরিন আজ রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় উৎপলের খোঁজ মেলার খবর দিলেও পরে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল পূর্বপশ্চিমবিডি ডট নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার উৎপল দাসকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। পূর্বপশ্চিমের সম্পাদক খুজিস্তা নূর-ই-নাহরিন বলেন, মতিঝিল থানা মারফত জানতে পেরেছি, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের একটি হাসপাতালে উৎপল চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

খবর পেয়ে আমি তার পরিবারকেও জানিয়েছি। এদিকে মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার আনোয়ার হোসেন সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে বলেন, আমরা মির্জাপুর ফাঁড়ি থেকে তথ্য পেয়েছি, এমন একজনকে পাওয়া গেছে। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা সেই তথ্য সত্য ধরে নিলেও সেখানে অফিসার পাঠানো হচ্ছে। তার স্বজনরা তাকে শনাক্ত করবেন।

এর কিছুক্ষণ পর উপকমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা যে মেসেজটি পেয়েছিলাম, সম্ভবত তা ফেইক (ভুয়া)। তাকে খুঁজে পাওয়া গেলে আপনাদের জানাব। মির্জাপুর থানার ওসি মিজনুর রহমান সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বলেন, খবর শুনে আমরা খোঁজাখুজি করছি। কিন্তু কয়েকটি হাসপাতাল দেখার পরও তার সন্ধান পাইনি। আরও কয়েকটি হাসপাতাল-ক্লিনিক আছে, সেগুলোতে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, উৎপল দাস নামে কেউ এখানে চিকিৎসাধীন নেই।

হাসপাতালের পরিচালক দুলাল পোদ্দার বলেন, আমরা এমন কোনো রোগীকে এখানে ভর্তি করিনি। মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, ‘আমার জানামতে মির্জাপুরে উৎপল দাস নামে কোনো রোগী কোথাও চিকিৎসাধীন নেই।

উল্লেখ্য, সাংবাদিক উৎপল দাস গত ১০ অক্টোবর মতিঝিলের অফিস থেকে বের হওয়ার পর তিনি নিখোঁজ হন।

নিখোঁজের ঘটনায় অনলাইন নিউজ পোর্টালের পক্ষ থেকে গত রবিবার মতিঝিল থানায় জিডি করা হয়। একই ঘটনায় সোমবার উৎপলের বাবা বাদী হয়ে জিডি করেন একই থানায়। উৎপল ফকিরাপুল এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার থানাহাটি এলাকায়৷ তার বাবা চিত্ত দাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। এখন তিনি স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের অধ্যক্ষ। নিখোঁজের পর থেকেই উৎপলের দুটি ফোন বন্ধ রয়েছে বলে জানান চিত্ত দাস।

তবে সোমবার উৎপলের মোবাইল নম্বর নকল করে স্পুফিং কল করে পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, উৎপল তাদের কাছে আটক আছে। এক লাখ টাকা দিলে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে। চিত্তরঞ্জন দাস এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, নিখোঁজের পর থেকেই তার ছেলের ফোন বন্ধ ছিল। সোমবার হঠাৎ ওই নম্বর থেকে কল করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সর্বশেষ ধানমণ্ডি এলাকায় উৎপলের মোবাইল সচল ছিল।

এবিএন/ফরিদুজ্জামান/জসিম/এফডি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত