![কুষ্টিয়ায় নর্থ সাউথের ছাত্র লিপু হত্যায় ২ জনের ফাঁসি](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/11/22/adalot_112175.jpg)
কুষ্টিয়া, ২২ নভেম্বর, এবিনিউজ : কুষ্টিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তৌহিদুল ইসলাম ওরফে লিপুকে অপহরণ ও হত্যার দায়ে ২ জনকে ফাঁসি, ৮ জনকে যাবজ্জীবন, ৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক এ বি এম মাহমুদুল হক দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এ রায় দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন - রাকিবুল ইসলাম বাপ্পী (২২) ও সুমন (৩৫)।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন - হৃদয় (১৮), আলিফ (১৮), সাজেদুল (২৩), নয়ন (২২), সজিব (২৫), মিনহাজ (২৫), মিলন (৩২) ও জুহাইম খন্দকার ওরফে শুভ।
এ ছাড়া মাহবুব আলম (২৫), রিপন হোসেন (২৩) ও সুজন মাহমুদকে (২২) তিন বছর করে, আর আবু সায়ীদকে (৪৫) ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় আহসান হাবিব (৫০), আনোয়ারা বেগম (৩৮), শাহিনুল ইসলাম ওরফে কল্লোল হোসেন (২৯) ও আবু তালেবকে (৫০) খালাস দিয়েছে আদালত।
তাদের মধ্যে সুমন, আলিফ, তালেব, সাজেদুল, নয়ন, সজীব, সায়ীদ, মিনহাজ, মিলন- এই নয়জন পলাতক। অন্যরা রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন।
কুষ্টিয়া আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বলেন, এ হত্যাকাণ্ডকে অত্যন্ত রোমহর্ষক বলে মন্তব্য করেছেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট কুষ্টিয়া শহরের রেনউইক বাঁধ এলাকায় ওয়াহিদুল ইসলামের ছেলে তৌহিদুল ইসলামকে (২১) অপহরণ করা হয়। তৌহিদুল ঢাকার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন। এ ঘটনার পর ওয়াহিদুল ইসলাম কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে এটি অপহরণ ও হত্যা মামলা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় মোট ১৮ জনকে আসামি করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ।
রায় ঘোষণার পর লিপুর চাচা ওবায়দুল ইসলাম তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমরা এ রায়ে সন্তষ্ট হতে পারিনি। হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত বলে যাবতীয় তথ্য-প্রমাণ থাকার পরও ফাঁসির আদেশ না দিয়ে যাবজ্জীবন দিয়েছে আদালত। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
এবিএন/সাদিক/জসিম/এসএ