স্কুলগুলোতে কমিটি করার জন্য সম্প্রতি ছাত্রলীগ একটি ঘোষণা দিয়েছে। যদিও এটা নতুন কিছু নয়। আমি মনে করি স্কুল জীবন থেকেই ছাত্র-ছাত্রীদের রাজনীতি সচেতন করে তোলা এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।
এই নিয়ে একটা শ্রেণীর প্রচন্ড মাথাব্যাথা শুরু হয়েছে,দুষ্টরা বলে চুলকানি শুরু হয়েছে। কারণ তারা অতীত জানেনা, বর্তমানও জানেনা এবং ভবিষ্যৎ নিয়েও কোনো ধারণা নেই। শুধু জানে যেকোনো জায়গায় বুঝে না বুঝে পান্ডিত্য জাহির করতে হবে।
তারা জানেনা ছাত্র রাজনীতির শুরু থেকেই স্কুলে কার্যক্রম ছিল। বঙ্গবন্ধু সহ দেশ-বিদেশের অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি স্কুল জীবন থেকেই ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এখনো অনেক স্কুলেই ছাত্র সংগঠনগুলোর কমিটি আছে। মনে পরে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময়ও এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে হরতাল মিছিলে যোগ দিয়েছি। ১৯৯২ সালে স্কুল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিও নির্বাচিত হয়েছিলাম। আশা করি এই কারণে নষ্ট হয়ে যাইনি।
ছাত্ররা স্কুল জীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা , বিতর্ক কিংবা সাংস্কৃতিক চর্চা করতে পারলে রাজনৈতিক চর্চা কেন করতে পারবেনা তা আমার বোধগম্য নয়। অথচ তারাই একদিন দেশের নেতৃত্ব দিবে। কর্পোরেট আর সুশীল কালচার দিয়েতো দেশ চালানো যাবেনা। অবাক এই সমালোচনাকারীরাই আবার নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কথা বলে। আগে থেকে চর্চা না থাকলে তারা ছাত্রসংসদে গিয়েতো কম্পিউটার গেম খেলবে, ছাত্রদের কোনো কাজে আসবেনা। কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এর অবস্থা দেখলেই বুঝা যায় ছাত্ররা রাজনীতি সচেতন হলে অন্তত জঙ্গিবাদে জড়াবেনা।
মহাশয়গন, রাজনীতি খারাপ বিষয় না। রাজনীতি যতটুকু নষ্ট হয়েছে তা আপনাদের জন্যই। আপনারা যারা অপরিণত বয়সে রাজনীতিকে গালিগালাজ করে নিজের পেশায় একটু নামডাক হবার পর, টাকা পয়সা হবার পর এমপি মন্ত্রী হবার স্বপ্ন দেখেন।প্রভাব খাটিয়ে রাজনীতিতে ঢুকে তাঁরাই রাজনীতিকে নষ্ট করছেন।প্রকৃত রাজনীতিবিদরা রাজনীতিকে নষ্ট করেননি।
আদর্শবাদী বাম ছাত্রসংগঠন এবং সন্ত্রাসবাদী শিবিরের মূল রিক্রুটমেন্ট শুরু হয় স্কুল পর্যায় থেকে। ছাত্রদলের অনেক স্কুল কমিটি আছে। তখন কারো চেতনা জেগে উঠেনি।এখন জেগেছে, কারণ জাতে উঠতে গেলে ছাত্রলীগের সমালোচনা করতে হয়।
যারা সমালোচনা করেন তাদের জ্ঞাতার্থে বলি, একটু খোঁজ খবর নিয়ে দেখবেন ছাত্ররাজনীতি করা লোকজন যেকোনো কর্মক্ষেত্রে অন্য যে কারো চেয়ে পেশায় ভালো করেন। সুনামের সহিত জনগণের জন্য কাজ করেন,আপনাদের মতো আত্মকেন্দ্রিক হয়না।
আশরাফুল আলম খোকন’র স্ট্যাটাস থেকে