![জীবনের শ্রেষ্ট একটা অাত্নউপলব্দি। নিজ ধর্ম ই শ্রেষ্ট সম্পদ...](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/11/24/nazrul-islam_112482.jpg)
জীবনের শ্রেষ্ট একটা অাত্নউপলব্দি। নিজ ধর্ম ই শ্রেষ্ট সম্পদ।
আজ সকালে অফিসে গিয়ে কিছুফাইল পরীক্ষণ করছিলাম। হঠাৎ আমার পিয়ন এসে বলল্ স্যার আপনার কাছে দুইজন লোক এসেছে দেখা করতে। আমি বললাম তাদের কে ভিতরে আসতে বলুন। দেখলাম আমার মায়ের বয়সের এক মহিলা আর একজন লোক। তারদুটো চোখ অশ্রুসিক্ত। কি যেন হারিয়ে গেছে। আমি থাকে বসতে বললাম কিন্তুু তিনি বসতে যেন সাহস পাচ্ছিলেন না। আমি তাকে বললাম আমি আপনার ছেলের মত, আপনি বসেন আর কি হয়েছে বলুন। তিনি বললেন আমি আজ ইন্ডিয়া থেকে এসেছি। আসার সময় আমি পূজো দেয়ার জন্য শংক বাশি, কাসার কিছু জিনিস, আর আমার নাতনীর একটা করতাল নিয়ে এসেছি । কাস্টমস চেকপোস্ট আমার জিনিস গুলো আটক করেছে। ততক্ষণে দেখি তার চোখ বেয়ে অঝুরে জল পরছে। মনে হচ্ছে তার জীবনের সবচেয়ে দামী জিনিস টা হারিয়ে ফেলেছে। আমি আর এক মুহুর্ত ও দেরি না করে একজন সিপাহী কে ডেকে বললাম ওনাকে নিয়ে এখন ই চেকপোস্ট এ যান, আমি আসতেছি। ওনাকে পাঠিয়ে আমি ও রওনা দিলাম। চেকপোস্ট এ গিয়ে দেখি তার অশ্রুসজল চোখ আমার জন্য অপেক্ষা করছে। অফিসে বসে তাকে সামনে বসালাম আর সিপাহী কে বললাম ওনার জিনিস গুলো নিয়ে আসুন। নিয়ে আসার পর দেখলাম কিছু পুজো দেয়ার জিনিস। আমার সহকর্মী জিজ্ঞেস করল এগুলোর দাম কত? বলল ৮০০ টাকা। কিন্তুু আপনার জীবন এর মূল্য ত এরচেয়ে অনেক বেশি। কিন্তুু তার অশ্রুসজল চোখ যেন বলছিল এগুলোকে টাকা দিয়ে বিবেচনা করা যায় না। সহকর্মী আর আমি ওদের কে বললাম ওনার জিনিস ওনাকে দিয়ে দাও। তার চোখ গুলো যেন আনন্দে ছল ছল করছিল। তিনি উঠে আমাকে করজোড়ে বলল ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুক। অফিস থেকে বের হয়ে দেখি তিনি তখন ও দাড়িয়ে আছেন, আমার কাছে এসে বলল বেচে থাক বাবা। তার চোখে মুখে কি যে প্রশান্তির চাপ। সারাদিন অফিস করছি, আর তার অশ্রুসিক্ত চোখ গুলো ভেসে উঠছেআর ভাবছি সত্যি ত ধর্ম আর ধর্মীয় জিনিসের মূল্য কি পার্থিব কিছু দিয়ে মাপা যায়??
নজরুল ইসলাম’র স্ট্যাটাস থেকে