রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
logo

‘জয় বাংলা’ ধ্বনি না দেয়া মানে মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা...

‘জয় বাংলা’ ধ্বনি না দেয়া মানে মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা...

‘জয় বাংলা’ ধ্বনি না দেয়া মানে মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা ---

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ কালীন সময়ে সাড়ে সাত কোটি বাঙালির অনুপ্রেরণার মূলমন্ত্র ছিল ‘জয় বাংলা’ । মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে যাবার পূর্বে এ ধ্বনি দিয়েই যুদ্ধে যেত। শত্রুর বিরুদ্ধ গুলি ছুড়বার পূর্বেও এই ধ্বনি উচ্চারিত হতো। মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা দেবার জন্য সাধারণ মানুষ ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি দিত। ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিটি ছিল আবাল বৃদ্ধ বনিতার। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের সূচনালগ্নে সারা দেশ প্রকম্পিত হয়েছে ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিতে। এমনকি ভারতের পশ্চিম বঙ্গের এবং পূর্বাঞ্চলের মানুষও বাঙালির মুক্তিযুদ্ধাদেরকে প্রেরণা দেবার জন্য এই ধ্বনি উচ্চারণ করতো। এটি কোন দলীয় শ্লোগান নয়। এটি জাতির অস্তিত্বের সাথে জড়িত।

যে মুক্তিযুদ্ধের এবং এ ধ্বনির মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে এবং সে স্বাধীন দেশে যারা সরকারী কর্মকর্তা আছেন তারা আজ ‘জয় বাংলা’ বলতে দ্বিধাবোধ করেন। সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলি দেশ স্বাধীন না হলে আপনারা বড় বড় আমলা হতে পারতেন না। বড় বড় চেয়ারে বসতে পারতেন না। আপনারা যদি ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিকে শ্রদ্ধা না করেন , ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিকে অস্বীকার করেন তবে তা হবে আপনাদের অস্তিত্বকে অস্বীকারের সামিল। মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকারের সামিল। সন্তান যদি তার পিতাকে অস্বীকার করে তবে সে সন্তান হয় পিতৃপরিচয়হীন। এখন আর সেই সামরিক শাসক নেই যে অপশক্তি আপনাদের কন্ঠ রোধ করবে। আপনারা যদি মুক্তিযুদ্ধকে বিশ্বাস করেন তবে আপনাদের ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি দিতেই হবে। যদি না দেন তবে কোন যুক্তিতে আপনারা এই ধ্বনি দিবেন না সেটাও ব্যাখ্যার দাবী রাখে। সিদ্ধান্ত আনাদেরকে নিতে হবে এখন আপনারা কি করবেন ?

রতন কুমার মজুমদার’র স্ট্যাটাস থেকে

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত