![...বিএনপি নামক দল গঠন করে তথাকথিত গণতন্ত্রের ছাতা মেলে ছিলেন](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/11/27/sayem-khan_112841.jpg)
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি M Aminul Islam ভাই এই বছরের প্রথম দিকে নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে আয়োজিত সাধারণ সভায় দৃঢ় প্রত্যয়ে উচ্চারণ করেছিলেন---
"ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির দু'জন বাদে সবাই অথর্ব। এই অথর্ব কমিটি দিয়ে নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ অভিযান পরিচালনা সম্ভব না"।
ভাইয়ের কথা বেদ বাক্যের মত ফলে গেল। এই কমিটি দ্বারা অভিযান পরিচালনা তো দূরের কথা, শুরু করাই সম্ভব হয় নাই। এরপর আবারো প্রমাণিত হয়ে গেল এই কমিটির নীতি নির্ধারকরা যে কর্মসূচি গ্রহণ করে তা শুধু আই ওয়াশ বা মিডিয়া কভারেজের জন্য করে থাকে। স্কুল কমিটি নিয়ে ঠিক তেমন একটা কাজ হয়ে গেল কি? আমি ব্যক্তিগতভাবে স্কুল কমীটির পক্ষে বিপক্ষে না। তবে বর্তমান কমিটির নীতি নির্ধারকদের স্কুল কমিটি বিষয়ক প্রজ্ঞাপন তখন আলোর মুখ দেখবে যদি তারা গ্রামের প্রত্যন্ত স্কুলগুলোর সাথে ঢাকার বিখ্যাত স্কুলগুলোতে কমিটি করে সেখানের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও রাজনৈতিক দর্শন চর্চার ব্যবস্থা করতে পারে। আবার আরেকটা প্রশ্ন এসে যায়, এই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব যখন মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির হাত ধরে আসবে তখন তাদের নেতৃত্বের গোড়াপত্তনটা কি অবৈধ হয়ে যায় না? তাদের গোড়াপত্তন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক কৌশলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে যায়। ঠিক, তিনি যেভাবে সামরিক ছাউনির মধ্যে বিএনপি নামক দল গঠন করে তথাকথিত গণতন্ত্রের ছাতা মেলে ছিলেন।
সায়েম খান’র স্ট্যাটাস থেকে