বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

...আর কত চিকিৎসক এবং শিক্ষক লঞ্চিত হবেন এসমস্ত দাম্ভিকতার যাতাকলে

...আর কত চিকিৎসক এবং শিক্ষক লঞ্চিত হবেন এসমস্ত দাম্ভিকতার যাতাকলে

অর্থ এবং ক্ষমতা খুবই বিপজ্জনক। দুইটাকেই সামলে রাখতে হয়। এই দুটি না হলে যেমন চলে না তেমনি এই দুটিই সকল সর্বনাশের মূল হতে পারে। যেটা এখন টের পাচ্ছেন লক্ষ্মীপুরের এডিসি সাহেব। ক্ষমতার দাপটে প্রশাসন যন্ত্রকে ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহার করতে গিয়ে নিজে এখন আদালতের কাঠগড়ায় এবং হয়েছে ওএসডি। এখানে আরেকটি বিষয় আড়াল হয়ে যাচ্ছে । যে মোবাইল কোর্টটি বসানো হয়েছে সেটা কার নির্দেশে বসানো হয়েছে সেটাও আমলে আনার দাবী রাখে।

আমার ৭ জন বন্ধু এখন প্রশাসন ক্যাডারের অতিরিক্ত সচিব এবং একজন সচিব রয়েছে। তাদেরকেতো আমি কাছ থেকে দেখেছি। তাদেরকে দেখেছি কিভাবে মানুষের সাথে বিনয়ী হতে হয়। এমন কোন দাম্ভিকতা তাদের মধ্যে কোনদিন দেখিনি। এ কারণেই হয়তো তারা আজ উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা। অবশ্য দু একজন কর্মকর্তার জন্য পুরো প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা সমীচীন নয়।

আরেকটি বিষয় হলো আমাদের সমাজে শিক্ষক এবং চিকিৎসকদের অবলা মনে করে। একজন চিকিৎসক সবসময়ই দায়িত্বজ্ঞান সম্পন্ন। একজন সিনিয়র সিটিজেনকে এভাবে হেনস্তা করা হবে তা কোন অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায় না। কিছুদিন আগে একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার একজন অধ্যাপককে দিয়ে তার পায়ে ধরিয়েছে যা শুধু অসুস্থ মানসিকতার পরিচায়কই নয় দাম্ভিকতাও বটে। আমি মনে করি এগুলোর একটা বিহিত হওয়া উচিত। আর কত চিকিৎসক এবং শিক্ষক লঞ্চিত হবেন এসমস্ত দাম্ভিকতার যাতাকলে।

রতন কুমার মজুমদার’র স্ট্যাটাস থেকে

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত