![রাজশাহীতে শিশু রাব্বি হত্যায় তিনজনের ফাঁসি](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/12/19/rabbi-murder-case_116066.jpg)
রাজশাহী, ১৯ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বেড়াবাড়ী ডাইংপাড়ার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র শিশু ফজলে হোসেন রাব্বিকে অপহরণ ও হত্যার দায়ে তিনজনকে প্রাণদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক শিরীন কবিতা আক্তার তিন বছর আগের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
মামলার সাত আসামির মধ্যে মোহনপুর উপজেলার বেড়াবাড়ি ডাইংপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে মাজেদুর রহমান সাগর, হযরত আলীর ছেলে নাজমুল হক ও আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রিপন সরকার লিটনকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারক।
সেই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মামলার অপর আসামি মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত মাজেদুর রহমানের মা আসিনুর বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় আবুল কাসেম (৫০), আমিনুল ইসলাম (২৪) ও সাহাবুদ্দিনকে (২২) আদালত খালাস দিয়েছেন।
রায় ঘোষণার সময় সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলে পিপি এন্তাজুল হক জানান।
এর আগে,গত ২৯ নভেম্বর গ্রেফতারকৃত ৭ আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে দুই দিনব্যাপী যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক শিরীন কবিতা আখতার আসামিদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন এবং ১৯ ডিসেম্বর এই মামলার রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন। এই মামলায় বাদি পক্ষের ১৮ জন এবং আসামি পরে ২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যা অনুমানিক সাড়ে ৬ টার দিকে বেড়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ফজলে হোসেন রাব্বি (১০)কে অপহরণ করা হয়। ওই দিনই দেহ থেকে মাথা ও ডান হাত বিচ্ছিন্ন করে লাশ বস্তায় ভরে জনৈক হাবিবুর রহমানের ধান খেতের ডিপটিউবওয়েলের নালায় পুঁতে রাখে হত্যাকারীরা। এরপর হত্যাকারীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে রাব্বির পিতা মামলার বাদি আলী হোসেনকে মোবাইল করে। ২৪ ডিসেম্বর টাকা নিয়ে রাব্বিকে ছাড়ার কথা থাকলেও আসামিদের মোবাইল বন্ধ থাকে। আলী হোসেন প্রথম ২০ ডিসেম্বর মোহনপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি এবং ২৪ ডিসেম্বর এজাহার করেন। এর দুই দিন পর ২৬ ডিসেম্বর শিশু রাব্বির লাশ উদ্ধার হয়।
পুলিশ টেলিফোন কলের সূত্র ধরে আসামিদের গ্রেফতার করে এবং পরে আসামি সাগর ও আসিনুর বেগম দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিলে ঘটনার বিষয় সামনে আসে।
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি