![...জানাজা ও আহাজারিই এর প্রমান। এটাই মানুষের প্রতি ভালোবাসার প্রতিদান](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/12/19/khokon_116068.jpg)
প্রয়াত সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী। ৭১ এর রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুরোদুস্তর একজন রাজনীতিবিদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠ শেষ করে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে গ্রামে গিয়ে রাজনীতি করেছেন, এলাকার মানুষের জন্য আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। মন্ত্রীত্ব পেয়েও ভোগবিলাসে গা ভাসাননি। সাধারণ জীবন যাপনে অভ্যস্থ ছিলেন।
গত শুক্রবার মারা গেলেন আরেকজন মন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা ছায়েদুল হক। অতিসাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত আপাদমস্তক একজন রাজনীতিবিদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে পাশ করে গ্রামের কাচারী ঘরে বসে রাজনীতি করেছেন।বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে তিনিও গ্রামে গিয়ে রাজনীতি করেছেন। মন্ত্রী হয়েও জীর্ণশীর্ণ বাড়িতে বসবাস করতেন। যেই বাড়ি নিয়ে ব্যাপকভাবে মিডিয়ায় এখন সংবাদ হচ্ছে। সবাই ওনার গুণগানে ব্যস্ত।
এইদুইজনের মধ্যে অনেক মিল আছে। ওনাদের জানাজাতে মানুষ এসেছে কাতারে কাতারে। আরেকটি মিল আছে। তাহলো আমাদের কিছু নাদান সুশীল, অতি উৎসাহী ও কিছু মিডিয়া জীবিত অবস্থায় ওনাদের চরিত্রহনন করেছে। জাতির কাছে হেয় করার চেষ্টা করেছে।
কারো চরিত্রহনন করার আগে একটু চিন্তাভাবনা করে করা উচিত। এর মধ্যে যোগ্যতা প্রকাশের কিছু নাই। প্রকৃতপক্ষে আপনি একজন মূর্খ।
সমাজ দেশ এগিয়ে নিতে হলে রত্ন চিনতে হয়। দেশে রত্ন থাকলে যত্ন নিতে হয়, নতুবা সেই দেশে গুণী জন্মায় না। ওনারা কোনো বিদেশী শক্তি বা গোষ্ঠীর দালাল হয়ে উচ্চতায় উঠেনি। ওনারা দেশের মানুষকে ভালোবেসে বিনিময়ে মানুষের অফুরন্ত ভালোবাসা পেয়েছেন। মৃত্যুরপর লাখ মানুষের জানাজা ও আহাজারিই এর প্রমান। এটাই মানুষের প্রতি ভালোবাসার প্রতিদান।
আশরাফুল আলম খোকন’র স্ট্যাটাস থেকে