![গাছ থেকে স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরি করলো দুই ভারতীয়](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/12/22/sanetery-napkin-tree_116458.jpg)
ঢাকা, ২২ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : ভারত এমন একটি দেশ, যেখানে বেশির ভাগ মহিলারাই স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন না। অথচ এদেশেই এই স্যানিটারি ন্যাপকিনের জন্য কিলো কিলো বর্জ্য তৈরি হচ্ছে, যা থেকে স্বাভাবিকভাবেই ছড়াচ্ছে দূষণ। ভারতে এখন ‘মেনস্ট্রুয়াল পলিউশন’ একটা গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। এবার সেই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এল একদল ছাত্র।
AC Nielsen-এর রিপোর্ট বলছে, ভারতের কেবলমাত্র ১২ শতাংশ মহিলা স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করে। বাকিরা কাপড়, নিউজপেপারের মত জিনিস ব্যবহার করে, এতে মহিলাদের শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। ‘periodofchange’ নামে একটি ক্যাম্পেনে দেখা গিয়েছে, প্রত্যেক বছর প্রত্যেক মহিলা ১৫০ কেজি করে স্যানিটারি ন্যাপকিনের বর্জ্য উৎপন্ন করে। কারণ ৯০ শতাংশ ন্যাপকিনে থাকে প্লাস্টিক। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই পরিবেশ দূষিত হয়ে যায়।
এই ধরনের দূষণ যাতে আর না ছড়ায় তার জন্য গৌতম আর নিভেদা নামের দুই ছাত্র-ছাত্রী এক বিশেষ ধরনের স্যানিটারি ন্যাপকিন বানিয়েছে। আর এই অসাধারণ আবিষ্কারের জন্য তাদের ‘ছাত্র বিশ্বকর্মা পুরস্কার’ও দেওয়া হয়েছে। কুমারগুরু কলেজ অফ টেকনোলজিতে ফ্যাশন টেকনোলজি নিয়ে পড়াশোনা করছে তারা।
এই ধরনের প্যাডের জন্য তারা ‘কেনাফ ফাইবার’ ব্যবহার করেছে, যার গাছ রয়েছে দেশের ১২টি রাজ্যে। তারা এই কাজের জন্য নিজেদের কলেজ ক্যাম্পাসে এই গাছ লাগায়। নিভেদা আর গৌতম জানিয়েছে, প্রথমে তারা জানতে পারে যে এই গাছ গ্রিন হাউস গ্যাস তৈরি করে। এরপর তারা শোনে যে ওই গাছের জন্য খুব কম পরিমাণ জল ও সার প্রয়োজন হয়। এছাড়া ওই গাছের শুষে নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। জীবাণু প্রতিহত করার ক্ষমতাও রয়েছে।
এরপরই তারা গাছ থেকে স্যানিটারি ন্যাপকিন বানাতে শুরু করে। এগুলি সম্পূর্ণভাবে বায়ো-ডিগ্রেডেবল আর এর জন্য কোনও বর্জ্য তৈরি হয় না। এই আবিষ্কারের পুরস্কারস্বরূপ তারা ৭৫ হাজার টাকা পেয়েছে।
এবিএন/ফরিদুজ্জামান/জসিম/এফডি