বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
ছয় নারীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ:

দোষ স্বীকার সেই ছাত্রলীগ নেতার

দোষ স্বীকার সেই ছাত্রলীগ নেতার

শরীয়তপুর, ২৭ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : ছয় নারীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ: ও সেই দৃশ্য গোপনে ভিডিও করে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন শরীয়তপুরের বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা আরিফ হোসেন হাওলাদার। আজ বুধবার দুপুরে তাকে শরীয়তপুর অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। পরে জবানবন্দি শেষে বিকেলে তাকে কারাগারে নেয়া হয়।

শরীয়তপুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক জামাল উদ্দিন জানান, অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুজাহিদুল ইসলাম আরিফ হাওলাদারের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

দেড় মাস পলাতক থাকার পর মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন আরিফ। গোসাইরহাট উপজেলার সাইক্কা সেতুর কাছ থেকে তাকে গ্রেফতার করে শরীয়তপুরের পুলিশ।

ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন হাওলাদার ছয় নারীকে ধর্ষণ ও ভিডিও করেন। একই ইউনিয়নের ইকরকান্দি গ্রামের আমিনুল হক মাদবরের ছেলে রাজীব মাদবরের ফেসবুক থেকে এসব ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

লোকলজ্জার ভয়ে ধর্ষণের শিকার নারীরা এ ঘটনা কাউকে না জানালেও গত অক্টোবরে সেসব ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওগুলোতে গৃহবধূ ও কলেজছাত্রীসহ ছয় নারীর সঙ্গে আরিফকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায়।

ভুক্তভোগী ছয় নারীর মধ্যে চারজনের পরিচয় জানা গেলেও দুজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এ ঘটনায় ১০ নভেম্বর সংগঠন থেকে আরিফকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে শরীয়তপুর জেলা ছাত্রলীগ।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক গৃহবধূ গত ১১ নভেম্বর ভেদরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, আরিফ হাওলাদার স্বামীর আত্মীয় ও কাছাকাছি বাড়ি হওয়ায় মাঝেমধ্যে তার শ্বশুরবাড়িতে আসতেন। গত ১ মার্চ রাতে আরিফ ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে জড়িয়ে ধরে আপত্তিকর ভিডিও করে। একপর্যায়ে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন তিনি।

এবিএন/মমিন/জসিম

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত