শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
logo
  • হোম
  • ফেইসবুক থেকে
  • তারেক জিয়া ইতিহাসের নবায়ন করেছেন। তিনি বাংলাদেশে রাজনীতি করার নীতিটা...

তারেক জিয়া ইতিহাসের নবায়ন করেছেন। তিনি বাংলাদেশে রাজনীতি করার নীতিটা...

তারেক জিয়া ইতিহাসের নবায়ন করেছেন। তিনি বাংলাদেশে রাজনীতি করার নীতিটা...

লেখাটা ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে। আজ Enayet Hossen Reza পোস্ট করেছে। তাই আমিও পোস্ট করলাম।

তারেক জিয়া ইতিহাসের নবায়ন করেছেন। তিনি বাংলাদেশে রাজনীতি করার নীতিটা বুঝে ফেলেছেন। বাঙ্গালি একটি হুজুগে জাতি। তার এই হুজুগকে গুজবের মাধ্যমে কাজে লাগিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে তার গৃহে ঢুকে তার উপর খবরদারি করে যাবে অন্য কেউ। ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খিলজির লক্ষন সেনের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল তার ঐতিহাসিক প্রমাণ। সাহিত্যে ও তা ধরা দিয়েছে, আমাদের নাগরিক এবং একই সাথে আধুনিক কবি শামসুর রাহমানের পন্ডশ্রম কবিতায়। আর এই বাঙ্গালির হুজুগকে কাজে লাগিয়ে স্বাধিনতার পর বার বার তাদের উপর ছড়ি ঘুরিয়েছে স্বধিনতার বিরোধী শক্তি। হুজুগে বাঙালি হুট করে মহৎ কোন কাজ করে ফেলতে পারে- মুক্তিযুদ্ধই তার প্রমাণ। আবার হঠাত কোন কারণে ভেঙ্গে পরতে পারে যার কারণে বুঝে উঠতে পারে না তাকে কি করা উচিত- বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বাংলাদেশের হালচাল তার প্রমাণ। এই দোষ এ জাতির না। এই দোষ রাজনৈতিক দলগুলোর। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ৭৫ এর পর থেকে জনগণকে শেখাতে পারে নি সময়ের সঠিক সিদ্ধান্ত কীভাবে নিতে হবে। আজ ও তারা তেমনি রয়ে গেছে। জনগণ আজ দিগভ্রান্ত। তারা নবায়িত ভিত্তিহীন ইতিহাস শুনে চুপ আছে মানে এই নয় -তারা এটা মেনে নিয়েছে। তবে তারা প্রতিবাদ করতে পারে নাই কারণ আওয়ামী লীগকে তারা ভরসায় নিতে পারতেছে না। যে কোন রাজনৈতিক প্রতিবাদ তো সাংগঠনিকভাবেই হয়। তো আমার মনে হয় আওয়ামী লিগকে এ বিষয়ে তৎপর হতে হবে।

১৯৭১ সালে আমাদের যে জনযুদ্ধ হয়েছে তা ছিল সাড়ে সাত কোটি মানুষের যুদ্ধ। তাদের ভরসার দল ছিল আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু ছিল একমাত্র নেতা। পাকিস্তান রাষ্ট্রের ইস্পাত তুল্য শাসন ব্যবস্থা বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের জনগণের মুক্তির কথা বলার জন্য শেখ মুজিবের মত কৌশলী নেতা কেউ ছিলেন না। তাই শেখ মুজিবের অবয়বই ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পরিসর।

আজ তারেক জিয়া যখন অর্বাচীনের মত বালখিল্যতার সহিত বঙ্গবন্ধুকে পাকবন্ধু বলে তখন এদেশের জনগণ ব্যথিত হলেও তারা ৭১ এর মত ফুসে উঠে না। জনগণ যে ব্যথিত তার প্রমাণ তার পরের দিনে পত্রিকাগুলোতে নিউজ- বি এন পি এর জনপ্রিয়তা কমার আশঙ্কা। জনগণ ফুসে উঠে নি তার কারণ তারা বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসলেও এটাকে আওয়ামী লীগের দলীয় সমস্যা মনে করেছে। অনেক রাজনৈতিক দল ও একে শিষ্টাচার বহির্ভূত বললে ও তারা ও একই কারণে প্রতিবাদ করে নি। এর দায় জনগণের নয়। অপ্রিয় হলেও সত্য যে আওয়ামী লীগের অনেকে বঙ্গবন্ধু এবং সংগঠনকে চুষে চুষে খেয়ে নিজের আখের গুছিয়ে লোপাট। তাই বৃহৎ অর্থে জনগণের কোন প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে না। তারা আজ প্রতিবাদ করলে কাল যখন জামাত-বি এন পি তাদের বাড়ি ঘরে হামলা চালাবে সরকার বা দল হিসাবে আওয়ামী লীগ তাদের পাশে থাকবে এই আশ্বাস্টুকু পেলেই আমরা বৃহৎ প্রতিবাদ দেখতে পেতাম।

এবার একটু পিছনের দিকে যাই। যখন একটি ইতিহাস সৃষ্টি হয় তখন ইতিহাসের দায় ও সৃষ্টি হয়। ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যদি আমাদের ইতিহাস হয় তাহলে পাকিস্তানি ভাবাপন্ন মানুষের এই দেশে বসবাস, নাগরিকত্ব না থাকা লোকের নাগরিকত্ব দেয়া- এ গুলো ইতিহাসের দায়। ইতিহাস সৃষ্টিকারীদেরই এই দায় শোধের দায়িত্ব নিতে হয়। ৪৩ বছরে ও আওয়ামী লীগ ইতিহাসের এই দায় শোধ করতে পারে নাই। ইতিহাসের এই নতুন রুপায়নের সময়ই যুগপৎ ভাবে সঠিক ইতিহাসের ভিত্তি নির্মাণ এবং ইতিহাসের দায় মোচন করা হোক।

সায়েম খান’র স্ট্যাটাস থেকে

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত