![প্রাকৃতিক উপাদানে চুল হবে ঝলমলে](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/01/05/l-s-10-_118829.jpg)
ঢাকা, ০৫ জানুয়ারি, এবিনিউজ : প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে শীতকালে চুল পড়ার সমস্যা দূর করার পাশাপাশি রুক্ষতাও দূর করা যায়। জেনে নিন প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে চুলের যত্ন নেওয়ার বিভিন্ন উপায়-
কলা : শুষ্ক ও রুক্ষ চুলের যত্নে কলা বেশ উপকারী। এই ফলে আছে পটাসিয়াম এবং ভিটামিন এ।
পদ্ধতি : ১টি পাকাকলা, দুতিন টেবিল-চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। সঙ্গে ১/৪ কাপ দই, ১ টেবিল-চামচ মধু মিশিয়ে মিশ্রণটি ভালোভাবে ছেঁকে ভেজা মাথায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
মেয়োনেইজ : এটি তেল ভরপুর উপাদান, যা নিষ্প্রাণ চুলের জন্য উপকারী। তাই চুলের আর্দ্রতা ফিরিয়ে দেয় এবং দূর্বল ও খসখসে ভাব দূর করে।
পদ্ধতি : ১ কাপ মেয়োনেইজ, ১/৩ কাপ দই, ১/৩ কাপ নারিকেল বা অলিভ অয়েল, ২ টেবিল-চামচ মধু একটি বাটিতে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর ভেজা চুলে লাগান। ভালো হয় যদি কন্ডিশনিং ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখা যায়। এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলুন।
ডিম ও দই : প্রোটিন সমৃদ্ধ কন্ডিশনার হিসেবে ডিম ও দইয়ের জুড়ি নেই। চুলের পরিমাণ অনুযায়ী ডিম ও দইয়ের মিশ্রণ বানিয়ে তা তালুতে ঘষে লাগাতে হবে। পাঁচ থেকে ১০ মিনিট পর ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
কাঠবাদাম তেল : রুক্ষভাব দূর করতে আমন্ড অয়েল উপকারী। চুলের পরিমাণ অনুযায়ী অল্প কাঠবাদামের তেল বাটিতে নিয়ে ৪০ সেকেন্ড গরম করে চুলে সমান ভাবে লাগাতে হবে। ৩০ মিনিট পর স্বাভাবিক ভাবে শ্যাম্পু করে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে নিন।
অলিভ অয়েল ও মধু : রোদপোড়া ভাব দূর করতে আধা কাপ মধু, এক-দুই টেবিল-চামচ অলিভ অয়েল, এক-দুই টেবিল-চামচ ডিমের কুসুম দিয়ে মিশ্রণ বানিয়ে চুলে লাগাতে হবে। ২০ মিনিট পর হালকা কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
নারিকেল তেল ও ভিনিগার : এটি হল সবচেয়ে ভালো কন্ডিশনিং উপাদান। চুলের গোড়ায় গোড়ায় ভালো করে তেল লাগিয়ে। কিছু সময়ের জন্য গরম তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখতে হবে।
পরের দিন শ্যাম্পু দিয়ে ভাবে পরিষ্কার করে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার দিয়ে আরও একবার ধুয়ে নিতে হবে।
তবে খাদ্যাভ্যাস একটা বড় ভূমিকা পালন করে চুলের সুরক্ষায়। তাই প্রচুর পানি গ্রহণ করা উচিত। বেশি করে পানি ও ফলের রস খান। পাকাপেঁপের রস চুল পড়া রোধে সাহায্য করে। শীতকালীন ফল, সবজি ও পানির অংশ বেশি এমন খাবার যেমন লাউ, শসা বেশি খাওয়ার অভ্যাস করুন।
এবিএন/সাদিক/জসিম/এসএ