![অ্যালোভেরার অজানা উপকারিতা](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/05/02/alovera_137732.jpg)
ঢাকা, ০২ মে, এবিনিউজ : অ্যালোভেরা গাছকে অনেকে ‘বিস্ময়কর গাছ’ বলা হয়ে থাকে। অ্যালোভেরা শব্দটির সঙ্গে আমরা সবাই কম-বেশি পরিচিত। এই গাছটিও আমাদের দেশে খুবই সহজলভ্য। ত্বকসহ শরীরের বিভিন্ন উপকারে আসে অ্যালোভেরা। আজ এবিনিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো অ্যালোভেরার বিভিন্ন ব্যবহার-
রূপচর্চা:
রূপচর্চার এক অনন্য উপাদান অ্যালোভেরা। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এন্টি এজিং হিসেবে কাজ করে, ট্যান দূর করে, সানবার্ন থেকে রক্ষা করে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এটি মেকআপ রিমুভার হিসেবে কাজ করে, ত্বকের কোনো রকম ক্ষতি ছাড়া।
শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা ফেরাতে:
এক চা চামচ অ্যালোভেরা একটু হলুদ, আধ চা চামচ মধু, এক চা চামচ দুধ,আর পরিমাণমতো গোলাপজল নিয়ে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
স্ক্রাব:
আধ কাপ অ্যালোভেরা, এক কাপ চিনি, দুই চা চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাব হিসেবে মুখে বা পুরো শরীরে ব্যবহার করা যাবে। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে যারা অ্যালোভেরা ব্যবহার করেছেন, তাদের ত্বক অন্যদের তুলনায় অনেক সতেজ ও প্রাণবন্ত।
চুলের পরিচর্চা:
চুল নিয়ে সবাই কম-বেশি চিন্তিত। কারো চুল পড়ে যাচ্ছে, চুল গজাচ্ছে না, মাথায় টাক বের হয়ে যাচ্ছে, চুল রুক্ষ হয়ে গেছে। এমন নানা সমস্যা রয়েছে। অ্যালোভেরা এই সমস্যার অনেক সমাধানই দিতে পারে। অ্যালোভেরা খুব ভালো কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। এটি চুলকে নরম, সিল্কি করে, চুলের বৃদ্ধি নিশ্চিত করে, খুশকি দূর করে। নিয়মিত অ্যালোভেরা ব্যবহারে চুল হয় ঝলমলে।
প্যাক:
নারিকেল তেল দুই চা চামচ, ভিটামিন ই ক্যাপসুল একটা, পরিমাণমতো এলোভেরা একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে দিতে হবে। এটা সপ্তাহে অন্তত একবার দিতে হবে।
ওষুধ হিসেবে ব্যবহার:
অ্যালোভেরার ঔষধি গুণাগুণ বলে শেষ করা যাবে না। প্রাচীন যুগ থেকে অ্যালোভেরা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যেকোনো ঘা শুকাতে এটি খুব ভালো কাজ করে। অ্যালোভেরার ক্যাপসুল বা তরল অ্যালোভেরা খেলে ১০ দিনের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য সেরে যাবে।
এবিএন/ফরিদুজ্জামান/জসিম/এফডি