ঢাকা, ০৯ জানুয়ারি, এবিনিউজ : রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ শৈত্যপ্রবাহ আজ মঙ্গলবারও অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
সোমবার তেঁতুলিয়ায় দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন সকালে সেখানে তাপমাত্রা ছিল ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময়ে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
এর আগে ১৯৬৮ সালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কয়েকদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। হিমেল বাতাসের কারণে কনকনে শীতে কাঁপছে মানুষজন। এর ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ঘন কুয়াশায় নৌ ও সড়কপথে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে, ঘটছে দুর্ঘটনা।
সাধারণত শৈত্যপ্রবাহ তিন ধরনের হয়ে থাকে। তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি হলে মাঝারি ও ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।
আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, চুয়াডাঙ্গাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগ এবং ঢাকা, সিলেট ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বিদ্যমান শৈত্যপ্রবাহ পরিস্থিতি অব্যহত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে মানুষের জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। তীব্র শীতে অনেক এলাকার মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। সেইসঙ্গে ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। হাড়কাঁপানো শীতে মানুষের পাশাপাশি কাবু হয়ে পড়েছে গবাদি পশু-পাখিও। তীব্র শীতে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে শীতজনিত নানা রোগ দেখা যাচ্ছে।
এবিএন/সাদিক/জসিম/এসএ