![কর্মজীবনে সফল হতে চাইলে এ ভুলগুলো নয়](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/01/17/l-s-7_121020.jpg)
ঢাকা, ১৭ জানুয়ারি, এবিনিউজ : এমন কিছু বড় ও মারাত্মক ভুল রয়েছে যে কারণে কর্মক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবেই আপনার খ্যাতি ধ্বংস হতে পারে বা এমনকি আপনি চাকরিচ্যুতও হতে পারেন। কিন্তু সাধারণত ছোট ছোট ভুল জমা হওয়ার মাধ্যমেই কর্মীরা তাদের কর্মজীবনে পিছিয়ে পড়েন।
এখানে এমন ১৯টি বাজে আচরণের উল্লেখ করা হলো যেগুলো আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করবে এবং শেষবিচারে আপনার অনেক বড় ক্ষতি করবে-
অজুহাত : নিজের ভুল ও ব্যর্থতাগুলোর দায় গ্রহণ না করে অজুহাত তৈরি করে সে দায় এড়াতে চান।
কোম্পানির সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে না চলা : প্রতিটি কর্মস্থলই এর নিজস্ব সামাজিক প্রথানুযায়ী কর্মতৎপর থাকে। সেই সংস্কৃতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারলে আপনি সহকর্মীর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন। আর তা ছাড়া আপনার ব্যাপারে সহকর্মীদের মনে এই ধারণা তৈরি হবে আপনি অফিসে ইতিবাচক সম্পর্ক তৈরিতে আগ্রহী নন।
শুধু ন্যূনতম কাজটুকু করা : আপনি হয়ত নির্দিষ্ট সময়সীমার আগেই কাজ শেষ করেন এবং গুণগতমানসম্পন্ন কাজ করেন। কিন্তু আপনার কাজের পরিমাণ খুবই কম।
আকর্ষণীয় পোশাক না পরা : আপনি একবার কোনো অবস্থানে থিতু হওয়ার পর আপনার অবয়বও সে অনুযায়ী থিতু হতে হবে। কিন্তু তা বজায় রাখতে ব্যর্থ হলে আপনি বিশ্বাসযোগ্যতা এবং কর্তৃত্ব হারাবেন।
কথা অনুযায়ী কাজ না করা : কাউকে আপনি যা করে দেওয়ার কথা বলেছেন তা যদি করতে ব্যর্থ হন তাহলে আপনি অনির্ভরযোগ্য হিসেবে খ্যাতি পাবেন। কথা অনুযায়ী কাজ করলে আপনি নির্ভরযোগ্য বলে গণ্য হবেন এবং আপনার ওপর আরো দায়িত্ব অর্পণের ব্যাপারে বিশ্বস্ততা অর্জন করবেন। ফলে সহজেই প্রমোশনও পাবেন।
হতাশা : আপনি যদি অভ্যাসগতভাবেই বাজে মনোভাব লালন করেন তা হলে বসের কাছে আপনি একটি বালাই হিসেবেই গণ্য হবেন। অনবরত ঘ্যাঙালে এবং অভিযোগ করলে আপনি চারপাশের লোকদের কাছে প্রিয়ভাজন হতে পারবেন না। ফলে আপনার বসও আপনাকে বেশি দিন কাছে রাখতে চাইবেন না।
সহকর্মীদের অগ্রাহ্য করা : সহকর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা উচ্চপদস্থদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। সকলের পরিচিত এবং পছন্দনীয় হতে চেষ্টা করুন। যাতে সহকর্মীরা প্রয়োজনের সময় আপনাকে মূল্যবান তথ্য দিয়ে সহায়তা করেন।
আত্মরক্ষামূলক হওয়া : আপনার বস হয়তো আপনি নিখুঁত হবেন তেমনটা প্রত্যাশা করেন না। কিন্তু নেতিবাচক ফিডব্যাক গ্রহণের সময় যদি আপনি আত্মরক্ষামূলক হয়ে ওঠেন তাহলে আপনি অপেশাদার বলে বিবেচিত হবেন। আপনি যদি গঠনমূলক সমালোচনা শুনতে আগ্রহী না হন তাহলে আপনার বস ধরে নিবেন আপনি নিজের উন্নয়ন ঘটাতে ইচ্ছুক নন।
গড়িমসি করা : কোনো প্রকল্প সম্পন্ন করতে শেষসীমা পর্যন্ত বিলম্ব করার ফলে শুধু আপনিই অতিরিক্ত চাপে পড়বেন না। বরং এতে আপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বাকি সকলেরই কাজ থেমে থাকবে। ফলে কোনো সমস্যা দেখা দিলে সবার আগে আপনাকেই অভিযুক্ত করা হবে।
রুঢ় ই-মেইল লেখা : আপনি ব্যক্তিগতভাবে কতটা বন্ধুভাবাপন্ন তাতে কিছ্ইু যায় আসে না। ই-মেইলে রুঢ় ভাষা ব্যবহারের ফলে আপনার সব খ্যাতি ধ্বংস হতে পারে। এমনকি আপনি যদি অনিচ্ছাকৃতভাবেও রুঢ় ভাষা ব্যবহার করেন তাতেও অফিসে আপনার খ্যাতি নষ্ট হবে এবং অন্যরা আর আপনার সঙ্গে আন্তক্রিয়া করতে চাইবে না।
অর্থপূর্ণ অবদান না রাখা : কোনো বৈঠকে শুধু কথা বলার জন্যই কিছু বলার মাধ্যমে উৎপাদনশীল কিছু যোগ করা সম্ভব হয় না। এর চেয়ে বরং আগেভাগে প্রস্তুতি নিন এবং কোনো ধারণা ভাগাভাগি করার সময় পরিমাণের চেয়ে বরং গুণগতমানের ওপর গুরুত্ব দেন বেশি।
সবসময়ই দেরি করা : এতে সহকর্মীরা ভাববেন আপনি তাদের সময়ের কোনো মূল্য দিচ্ছেন না। এতে আপনাকে অন্যের প্রতি অশ্রদ্ধাশীল এবং যতœহীন মনে হবে। ফলে লোকে আপনাকে বিশ্বাস করতে ভয় পাবেন। সুতরাং যেকোনো মূল্যে সব সময়ই সময়মতো অফিসে হাজির থাকুন।
নিজের ভুলগুলোর দায় এড়িয়ে চলা : কেউই নিখুঁত নন। এবং আমরা সবাই ভুল। সুতরাং সহকর্মীদের দিকে আঙুল না তুলে বরং নিজের ভুলের দায় নিজের কাঁধে নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে সহকর্মীসহ আপনার বস এবং সকলেই আপনাকে পছন্দ করবেন।
অন্যের কাজের কৃতিত্ব চুরি করা : কর্মস্থলে নিজের জন্য আপনার সবচেয়ে ক্ষতিকর কাজ হলো এটি। এই কাজ খুবই অপেশাদারসুলভ এবং অনৈতিক।
এবিএন/সাদিক/জসিম/এসএ