বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২
logo

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর অধিকাংশ রাজনৈতিকভাবে...

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর অধিকাংশ রাজনৈতিকভাবে...

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর অধিকাংশ রাজনৈতিকভাবে ট্যাগ লাগানো। এর কোনটা আদর্শিক জায়গা থেকে, কোনটা লিমিটেড গ্রুপের স্বার্থ রক্ষার জন্য। এগুলোর সংবাদ প্রকাশের ধরণ ও চরিত্র দেখলে বুঝা যায় কোনটা কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে চলে। এক্ষেত্রে একমাত্র ব্যতিক্রম প্রথম আলো। তার স্বাতন্ত্র্য একটি বৈশিষ্ট্য আছে, যেটা অন্য নামকরা জাতীয় দৈনিকগুলো থেকে ব্যতিক্রম । তাহল পত্রিকাটি একটি গ্রুপের হওয়ার পরও নিজস্ব একটা রাজনৈতিক চরিত্র আছে। বিভিন্ন সময় প্রথম আলো বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশ করে থাকে তার এই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য। মোটাদাগে বলা যায়, প্রথম আলোর রাজনৈতিক দর্শন হল দলগত রাজনীতিকে বিরাজনীতিকরণ। এটা আমরা পত্রিকাটির অতীত চরিত্র দেখলেই বুঝতে পারি।

তেমনই একটি সংবাদ গতকাল প্রথম আলোতে প্রকাশিত হয়েছে। মাদক সংক্রান্ত সেই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীকে যুক্ত করে ছাত্রলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করারা প্রয়াস। আমি এটা বলবো না, প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তবে এটাতে আরো অনুসন্ধান চালিয়ে প্রতিবেদনটি যৌক্তিক ভিত্তি পেত। কেননা, এই প্রতিবেদনে যাদের নাম এসেছে তাদের অধিকাংশ মাদক ব্যবসার সাথে যুক্ত না, অনেকে মাদক সেবনও করে না। তাদের নাম যুক্ত করে কিছু সত্য, কিছু মিথ্যা যুক্ত করে সংবাদটি চটকদারভাবে উপস্থাপন ছিল পত্রিকাটির হাউজের কৌশল। এখন প্রশ্ন হল, আমাদের সমাজে বা চারপাশে কোন শ্রেণী বা সংঘের লোক মাদক ব্যবসা বা সেবনের সাথে যুক্ত না? তাহলে প্রথম আলো প্রতিবেদনটিতে পুরো সমাজের দিকটি তুলে না ধরে কেন ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করল? উত্তর হতে পারে, এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করা হয়েছে। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এই রকম প্রতিবেদনের কথা অস্বীকার করেছেন। এখানে তাই আরেকটি প্রশ্ন আসে যে পত্রিকাটির প্রতিবেদকের উচিত ছিল প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রিপোর্টটি- কেন করেছে, কিভাবে করেছে, সেটা জানা। সেই বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কোন পর্যায়ের কারো মন্তব্য নেওয়াটা জরুরি ছিল। পত্রিকাটি সেই মন্তব্য না নিয়ে মন্ত্রণালয়ের জবাবদিহিতার জায়গা না রাখায় প্রতিবেদনটি অবিবেচনাপ্রসূত বলে বিবেচিত হয়েছে।

এখন সরেজমিনে তদন্ত করে জানা গেছে বা অনেকে ধারণা করছেন, প্রথম আলো তার মাদকবিরোধী কনসার্টের বিজ্ঞাপনের জন্য মাদক নিয়ে সরব থাকে। সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে মাদকের প্রকোপ যত বাড়বে তার মাদকবিরোধী কনসার্টের প্রসারও ততো হবে। আর প্রথম আলো সারাদেশে একটি সমাজসেবী সংস্থা হিসাবে পরিচিত হবে। এগুলো পত্রিকাটির পুরনো কৌশল। আমরা আগেও অনেক সেক্টরে প্রথম আলোর এই ভুমিকা দেখেছি। আর ছাত্রলীগকে টার্গেট করার কারণ হল এই ধরণের সংবাদে ছাত্রলীগকে পণ্য বানিয়ে পত্রিকাটি তার ভোক্তা শ্রেণী বৃদ্ধি করে।

আরো অনেক কিছু ভাবার আছে। আমাদেরকে ভাবতে হবে..........

সায়েম খান’র স্ট্যঅটাস থেকে

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত