বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • ফেইসবুক থেকে
  • প্রতিমা, মন্দির ভাংচুর মামলাার আসামিদের বুকের সঙ্গে নিজের বুকের...

প্রতিমা, মন্দির ভাংচুর মামলাার আসামিদের বুকের সঙ্গে নিজের বুকের...

প্রতিমা, মন্দির ভাংচুর মামলাার আসামিদের বুকের সঙ্গে নিজের বুকের...

প্রতিমা, মন্দির ভাংচুর মামলাার আসামিদের বুকের সঙ্গে নিজের বুকের গরম আলিঙ্গনের মধ্য দিয়ে ‘আন্তঃসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি উৎসব’ করলেন সুশাসনের ফেরিওয়ালা ড. বদিউল আলম মজুমদার। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের হরিপুরে গত শনিবার ‘দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট’ ও ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক’ (সুজন) কথিত এ উৎসবের আয়োজন করে।

রসরাজ দাস নামের জেলেপাড়ার এক সরল যুবকের কথিত ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর নাসিরনগরের উপজেলা সদর, হরিপুরে মন্দিরসহ সনাতন ধর্মের অনুসারীদের বাড়িঘরে তাণ্ডব চালায় রাষ্ট্রধর্মের ‘সিপাহসালাররা’। অবশ্য ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামিদের নিয়ে সম্প্রীতি রক্ষার নামে প্রহসনের এ অনুষ্ঠান আয়োজনেও বিস্ময়ের কিছু নেই।

এ দৃশ্য পঁচাত্তর সালের মধ্য আগস্টের পরের বাংলাদেশে নিতান্তই মুখস্থ। ধর্ম সন্ত্রাসী জেলখানায় না থেকে উৎসব মঞ্চে দাঁত বের করে ইয়াহিয়া খানদের কায়দায় হাসছে, ওই বর্বর দৃশ্যেও হতবাক হওয়ার কিছু নেই। সংখ্যালঘুদের হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ, তাঁদের সম্পত্তি দখল, লুটপাটের কারণে কজন ধর্মসন্ত্রাসীই বা কারাগারে আছে?

আশ্চর্যের হচ্ছে, সুশাসন ছড়ানোর দায়িত্বরত বদিউল আলম মুজমদারও হয়তো মনে করছেন- ধর্মসন্ত্রাসী, সাম্প্রদায়িক জানোয়ারের সঙ্গে উৎসব আয়োজনের মঞ্চটাই ‘সুশাসনের প্রজনন কেন্দ্র’। ওখান থেকে জন্ম নেবে ‘সুশাসন’! ওই মঞ্চে যে আসামিরা ছিলেন, তারা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা। ক্ষমতাসীন দলের পরিচয় বহন করছে বলে তাদেরকে আইনের আওতায় না এনে ‘সুশাসন পয়দার আলিঙ্গনকে জায়েজ বা হালাল’ মনে করার যুক্তি কোনো সভ্য সমাজেই বিদ্যমান নেই।

হাসান শান্তনু’র স্ট্যাটাস থেকে

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত