বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

হামার (আমার) জন্মানোর পর মায়ের মুখত থ্যাকে...

হামার (আমার) জন্মানোর পর মায়ের মুখত থ্যাকে...

হামার (আমার) জন্মানোর পর মায়ের মুখত থ্যাকে শুনে পরথম (প্রথম) বার হ্যামি (আমি) নাকি আ...আ....মা..মা..মা কইতে শিকচি(শিখেছি)। খানিক পর মুই যকন অ্যানা বড় হচু মায়ের কাছ থ্যাকে ছিলেট( স্লেটে) চক দিয়ে অ...আ....ই...ঈ.. হাত ঘুরানো শিকচু (শিখেছিলাম)। হের পর (তারপর) থেকে বাংলা মোর অক্তে (রক্তে) মিশে গ্যালো (গেল) । বাংলার পরত আংরাজি (ইংরেজি) য্যাপানি (জাপানি) শিকচিলাম(শিখলাম) কিন্তু বাংলার মতন সেই স্বাদ আর মুই পাওনি (পাইনি)। ল্যাবোত (ল্যাবে) ১৩/১৪ গনটা (ঘণ্টা) আংরাজি বকে (বকবকানি) করে কি যে অস্বস্তি লাগে তো কওয়ার অপেক্ষা রাখে না। মনে হয় এ্যাকুনি দম বন্ধ হয়ে মইরে মারা যামু। আর এভাবে কখনো যদি বিদেশত (বিদেশে) কোন বাঙালির সাথে দু মিনিট বাংলায় কতা(কথা) কইতে (বলতে) পারা মানে ইদতের( ঈদের) আনন্দ মনে হয়। হ্যাঁ এটা বুঝি ক্যাবল মাতৃভাষার জন্য সম্ভব হয়। যে দিনটি না প্যালে যে দিনটিতে রফিক, সালাম, বরকতের অক্ত এইদ্যাশের মাটিকে শ্যাতশ্যাতে (সিক্ত) না করলে আজকা এই অমৃত ভাষা প্যাতু না সেই বায়ান্নোর শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা। অ্যাকুশের ক্যাবল হ্যামাকে ক্যালেন্ডারের পাতায় দুটি সংখ্যা নয়, অ্যাকুশ এ্যাকন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদায় স্বীকৃত। ব্যাবাকক অ্যাকুশের শুভেচ্ছা...

নাদিম মাহমুদ’র স্ট্যাটাস থেকে

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত