শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

শ্রদ্ধেয় সম্পাদক, আমার মা শ্যামলা দাশ মারা গেছেন...

শ্রদ্ধেয় সম্পাদক, আমার মা শ্যামলা দাশ মারা গেছেন...

'শ্রদ্ধেয় সম্পাদক, আমার মা শ্যামলা দাশ মারা গেছেন। শ্মশানে মরদেহ পোড়ানোর সময় উপস্থিত থাকবো, এ দিব্যি ছিলো তাঁর কাছে। তিনি গ্রামের চুলো থেকে ছাই কুড়িয়ে এনে ঢাকার পথে পথে বিক্রি করতেন। এ দিয়ে চালাতেন সংসার, আমাদের পড়াশোনার খরচ। গ্রামে কোথাও ছাইয়ের স্তূপ দেখে তাই ছোটবেলা থেকেই ভাবতাম, এর নিচে চাপা পড়ে আছে আমাদের ভাত, কাপড়।'

মায়ের মৃত্যু হলে তিনদিন পত্রিকার কার্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন এক সাংবাদিক। অনুপস্থিতির কারণ ব্যখ্যা করে সম্পাদককে এক চিঠিতে উপরের কথাগুলো লেখেন। তবু তাঁর চাকরিটা টেকেনি, চলে গেলো। সেই সাংবাদিক এখন এদেশে নেই, ইউরোপের একটা দেশে থাকেন।

সহকর্মী মায়ের মৃত্যুর পর ছুটি নিলে যাঁর পত্রিকায় চাকরি হারাতে হয়, সেই সম্পাদকও অহরহ জাতিকে 'মানবতার' সবক শোনাচ্ছেন! তাঁর মানবতা কি কবি জীবনানন্দের ভাষায়, 'কেবলই দৃশ্যের জন্ম' দেয়ার মতো? নাকি তাঁর 'মানবতাই' ঠিক, যেখানে সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার থাকবে না?

হাসান শান্তনু’র স্ট্যাটাস থেকে

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত