
ঢাকা, ২৬ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : ভবিষ্যতকে নিরাপদ করতে সঞ্চয়ের বিকল্প নেই। সাধারণ নিয়মটি হলো, আয়ের অন্তত ১০ শতাংশ সঞ্চয় করতে হয়। বছরের শুরু থেকেই যারা সঞ্চয়ের নয়া পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন, তাদের সাধুবাদ জানাতেই হয়। কিন্তু যারা এখনো নেননি তাদের দ্রুত বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা উচিত। চাইলেই প্রতিদিন সহজ কিছু উপায়ে সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
বাজেট প্রস্তুতের অ্যাপ : স্মার্টফোন তো আছেই। কাজেই সেখানে একটি বাজেট ট্র্যাকিং অ্যাপ ডাউনলোড করে নিন। এটা কিন্তু দারুণ কাজের, যদি ব্যবহারটা বুঝে নিতে পারেন। কত আসছে, কত যাচ্ছে, কোনটে বেহিসাবী যাচ্ছে তার সবই বের করে দেবে অ্যাপ। পরিমিত ব্যয়ের অভ্যাস গড়ে দেবে এই অ্যাপ। সেই সঙ্গে অপ্রয়োজনী খরচের খাতও চোখের সামনে ভেসে উঠবে।
সাপ্তাহিক মানি ডেট : যদি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে চান তবে প্রতি সপ্তাহের একটি দিনকে ‘মানি ডেট’ নির্ধারণ করুন। অর্থ ব্যবস্থাপনার জন্যে ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পনা করা দরকার। হতে পারে ছুটির দিনটিতে কিছু সময় আপনি হিসাব নিয়ে বসবেন। কত খরচ হলো, কী কী কাটছাঁট করা যায়, কী পরিমাণ সঞ্চয় করা সম্ভব ইত্যাদি নিয়ে বসতে হবে। প্রতি সপ্তাহের জন্যে আপনি নতুন করে পরিকল্পনা করতে পারেন। এতে করে অল্প সময়ের জন্যে বাজেট গোছাতে পারবেন এবং সঞ্চয় বের করে আনা সহজ হবে।
ধূমপান ত্যাগ করুন : এটা কেবল স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক বার্তাই নয়। অর্থ সঞ্চয়ের বড় উৎস। ধূমপানের পেছনে যে পরিমাণ ব্যয় করতেন তা সঞ্চয়ের সিদ্ধান্ত নিন। দেখবেন, সঞ্চয় ফুলে-ফেঁপে উঠছে। আয়ের বড় একটা অংশ এর পেছনে নষ্ট হয়। প্রতিদিন যে পরিমাণ খরচ করতেন, তা জমাতে থাকুন।
অপ্রয়োজনীয় সাবস্ক্রিপশন বাদ : মোবাইলে অনেক ধরনের সেবাই আমরা নিয়ে থাকি। এর কিছু আছে যা কেবল শখের বশে করা হয়। কিন্তু পরে আর ওগুলো কোনো কাজে লাগে না। কিন্তু এসব সাবস্ক্রিপশন নিয়মিত চার্জ কেটে নেয়। এতে আপনার অগোচরেই মোবাইলের খরচ বেড়ে যাবে। তাই খুঁজে খুঁজে যত সাবস্ক্রিপশন করেছেন সেগুলো বের করুন।
ক্রয়ের আগে ভাবুন : নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস তো কিনতেই হবে। কিন্তু তেমন দরকার নেই কিংবা শখের এমন কিছু কেনার আগে আবারো ভেবে দেখুন। শখ পুরোপুরি বাদ দিতে বলা হচ্ছে না। কিন্তু কিছু শখ হয়তো না মিটলে কিছু যাবে আসবে না। এগুলো কেনার সময় দ্বিতীয়বার ভাবতেই হবে। এটা কী আদৌ জরুরি? এটা কী কী প্রয়োজন মেটাবে? না হলে কী আপনার সমস্যা সৃষ্টি হবে? এগুলো ভাবুন। ‘না’ বোধক উত্তর বেশি আসলে অর্থটা সঞ্চয়ের হিসাবে ফেলে দিন। এভাবে প্রতিদিনই সামান্য হলেও কিছু পয়সা পকেটেই থেকে যাবে। এগুলো চিহ্নিত করুন। আর সঞ্চয়ের খাতে ফেলে দিন।
সূত্র : এনডিটিভি
এবিএন/সাদিক/জসিম/এসএ