![জাপানে প্রতি ১ হাজার ১১১ জনের মধ্যে একজন...](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/03/01/nadim_128165.jpg)
জাপানে প্রতি ১ হাজার ১১১ জনের মধ্যে একজন শিশুর মৃত্যু হয়। সেই হিসেবে বিশ্বে শিশু মৃত্যুহার সর্বনিম্ন জাপানে আর সর্বোচ্চ অবস্থানে গেছে পাকিস্তানে। ইউনিসেফের ভাষায়, দেশটিতে প্রতি ২২ জনে ১ জন শিশু মারা যায়। তারা বলছে পাকিস্তানে যে শিশুটি জন্ম নেয় সত্যি তাদের ভাগ্যটাই খারাপ। আর পৃথিবীতে শিশুদের নিরাপদ জন্মস্থাল হলো জাপান। শিশুদের এতটাই নজর রাখা হয়, যেমনটা তাদের মাকে হয়। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো সারাবিশ্বে যে ১০ টি শিশুমৃত্যু হারের তালিকা করা হয়েছে সেখানে বাংলাদেশ নেই। যে দেশটি একদিন আমাদের শোষণ করেছিল, আমাদের শিশুদের অপুষ্টিতে রেখেছিল সেই পাকিস্তান এখন শিশুদের জন্য অনিরাপদস্থল। বলতে গেলে মৃত্যুপুরি। যারা এই দেশে থাকার পর এখনো পাকিস্তানকে নিজেদের বাবার ঔরষজাত মনে করেন, যারা এখনো বাংলাকে মাতৃভাষা মনে করতে রাজি নন তাদের মনে রাখা উচিত, বাংলাদেশ গত তিন দশকের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ শিশু মৃত্যুহার কমিয়েছে। ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে শিশু মারা গিয়েছিল ২ লাখ ৪১ হাজার। কিন্তু বর্তমানে বার্ষিক শিশু মৃত্যুহার হয়েছে ৬২ হাজার। আশা করি শত না পাওয়ার মধ্যে এটি আমাদের দেশের জন্য অনেক ভাল একটা অর্জন। মাতৃভাষা দিবসে এরচেয়ে ভাল খবর আর কি হতে পারে? এগিয়ে চল বাংলাদেশ!
নাদিম মাহমুদ’র স্ট্যাটাস থেকে