![ডিইউজের বিতর্কিত ফলাফলে নির্বাচিত হলেন যারা](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/03/01/duj_128198.jpg)
ঢাকা, ০১ মার্চ, এবিনিউজ : ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের ফলাফল ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। জয়লাভ করা প্রার্থী ছাড়া অন্যরা রায় মেনে নেয়নি। জাল ভোটের অভিযোগ উঠেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশন আবু তাহের বিষয়টি মেনে নিয়ে নিয়মের স্বার্থে বুধবার রাতে ফলাফল ঘোষণা করেছেন।
রাত ৯টার দিকে প্রথমে ফলাফল ঘোষণা করতে গেলেও প্রার্থীদের তোপের মুখে ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়। এরপর শুরু হয় নানা ধরনের বিতর্কিত স্লোগান। জালভোট সমস্যার সমাধান না করেই রাত পৌনে ১২টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশন আবু তালেব ফলাফল ঘোষণা করতে গেলে টেবিল, চেয়ার ও মঞ্চ ভাঙচুর করা হয়।
এর মধ্যেই প্রধান নির্বাচন কমিশন কিছু প্রার্থীর ফলাফল ঘোষণা করলেও কারো ভোট সংখ্যা উল্লেখ করেননি।
এছাড়া ফলাফল নিয়ে বিতর্ক ছড়ালে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল পরিস্থিতি সামাল দিয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রতিটি পদে পদে ভুল ছিল যা সবাই বলেছেন। এটাই তো সংগঠনের প্রাণ। সবাই সাংগঠনিক হচ্ছেন তার প্রমাণ।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের প্রধান আবু তালেব বলেছেন, জালভোট দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন নয়। তবে অভিযোগ নির্বাহী কমিটির কাছে জানানো হবে। এরপরেও সমাধান না হলে আদালতের দরজা খোলা আছে।
বিতর্কিত ফলাফলে সভাপতি হিসেবে জয়লাভ করেছেন আবু জাফর সূর্য। টানা দ্বিতীয় বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়লাভ করেছেন সোহেল হায়দার চৌধুরী।
ডিইউজের সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন খন্দকার মোজাম্মেল হক। যুগ্ম-সম্পাদক পদে আক্তার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল বিজয়ী হয়েছেন।
কোষাধ্যক্ষ পদে উম্মুল ওয়ারা সুইটি, প্রচার সম্পাদক পদে জিহাদুর রহমান জিহাদ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মাসুদ ঢালী, জনকল্যাণ সম্পাদক পদে ফারহানা মিলি, দফতর সম্পাদক পদে আমির মোহাম্মদ জুয়েল নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাহী সদস্য পদে গোলাম মোজতবা ধ্রুব, জাহিদা পারভেজ ছন্দা, মহিউদ্দিন পলাশ, সাহানাজ পারভিন, শাকিলা পারভিন, সলিমুল্লাহ সেলিম, হালিমা আক্তার লাবন্য, ইব্রাহীম খলিল, শাজাহান মিয়া নির্বাচিত হয়েছেন।
ফলাফল ঘোষণার পরেই পরাজিত প্রার্থীরা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে চেয়ার নিয়ে বসে অবস্থান নেন। সভাপতি প্রার্থী কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সাজ্জাদ আলম তপু, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সেবিকা রানী ভোট গণনা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বয়কটের ঘোষণা দেন।
কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, “এই নির্বাচন জালিয়াতির নির্বাচন। এজেন্টের স্বাক্ষর ছাড়া ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা এই নির্বাচন বয়কট করেছি।”
কুদ্দুস আফ্রাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সাজ্জাদ আলম তপুও পুনঃনির্বাচন দাবি করেন। তিনি বলেন, “এই নির্বাচন শুরু থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ। জাল ভোটে ভরপুর এই নির্বাচন। আমরা ফলাফল মানি না।”
একই সুরে সেবিকা রানীও বলেন, “আমরা এই ফলাফল মানি না। কারচুপি হয়েছে। জাল ভোটের ছড়াছড়ি।”
অন্যদিকে জয়লাভ করা প্রার্থীরা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে উল্লাস করেন। তবে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।
এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআর