![...ধিক্কার জানাই ওইসব বিকৃত মস্তিষ্কয়ালাদের](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/03/04/nadim_128508.jpg)
২০১৩ সালে আমাদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (রাবিসাস) এক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন জানাতে জাফর ইকবাল স্যারের সাথে কয়েকবার কথা হয়েছিল। সারাদেশের ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের ওই মিলন মেলায় স্যারকে অতিথি হিসেবে আমরা চাচ্ছিলাম। ওই সময় দেশব্যাপী জ্বালাও পোড়াও চলছিল। স্যার সেদিন আমাকে বলেছিল তোমাদের রাজশাহী তো মৌলবাদীদের দিয়ে ঘেরা। আমি নিরাপত্তার সাহস পাই না। তাই আমি যেতে না পারলেও তোমাদের জন্য শুভকামনা রইলো। এরপর স্যার মোবাইলে বিজয় দিবস, ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে কখনো ভুল করেনি।
যাই হোক আমার জানামতে স্যার বাহিরের কোন অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে অবশ্যই নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করেন। আর নিজ বিশ্ববিদ্যালয় তো নিরাপদ মনে করবেনই। যার চিন্তাশীলতায় একটা বাংলাদেশ, যার চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ, যার ভালোবাসায় শিশু-কিশোরের ভবিষৎ খচিত হয়, যার মনের গহীনে কেবলই বাঙালিত্বে গর্ব সেই মানুষকে যখন কেউ আঘাত করতে পারে তখন বুঝতে হবে আমরা কোথায় গিয়ে পৌঁছেছি।নিজেকে খুব অসহায় লাগছে। শকুনরা তো কয়েক দশক ধরেই ওঁত পেতে বসে আছে এরপরও সরকার কেন তার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা করে না? আজাদ, জাফররা বারবার আসে না। জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে যার কন্ঠ বলিষ্ঠ তার উপর হামলা হবে না তো কার ওপর হবে শুনি? এই রক্তক্ষরণ জাফর স্যারের নয়, এটা বাংলাদেশ মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ। ধিক্কার জানাই ওইসব বিকৃত মস্তিষ্কয়ালাদের ।
নাদিম মাহমুদ’র স্ট্যাটাস থেকে