শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

লম্বা হওয়ার ব্যায়াম ‘দ্যা ডাউন হিল’

লম্বা হওয়ার ব্যায়াম ‘দ্যা ডাউন হিল’

মো. মুজিবুল হক শ্যামল, ১০ মার্চ, এবিনিউজ : লম্বা হতে কে না চায়? কিন্তু কিভাবে লম্বা হওয়া যায় বা হওয়া কি সম্ভব? আবার এমন কথা শুনে অনেকে বিশ্বাসই করবেন না, অনেকে বলবেন এটি একেবারেই অসম্ভব। এমন প্রশ্ন সবার মাঝে থাকে বা আছে। লম্বা হওয়া পুরোপুরি জেনেটিক বা প্রাকৃতিক ব্যাপার হলেও আসলে আমরা নির্দিষ্ট সময় ও নির্দিষ্ট খাবার দাবার খেলে আমরাও লম্বা হতে পারি। তাই সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত আমরা আমাদের জীবনকে সুন্দর ও স্বাচ্ছন্দময় করে তুলতে পারি। বংশগত বৈশিষ্ট্য ছাড়াও শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধি খানিকটা পুষ্টির উপরও নির্ভরশীল। কিছু কিছু খাবার আছে যা উচ্চতা বৃদ্ধিতে বেশ সহায়ক। সাধারণত ছেলেদের সর্বোচ্চ ২৫ বছর এবং মেয়েদের সর্বোচ্চ ২১ বছর পর্যন্ত উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে উচ্চতা বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা থাকে না। খাবারগুলো হল বাঁধাকপি, মটরুটি, ব্রোকলি, ঢেঁড়শ, পালংশাক। বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, আয়রন, প্রোটিন ও ফাইবার থাকে। এসব উপাদান সম্মিলিতভাবে গ্রোথ হরমোনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে শারীরিক বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে। মটরুটিতে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার লু্‌টেইন ও প্রোটিন যা দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও উচ্চতা বাড়াতে সহায়ক। ব্রোকলি গ্রোথ হরমোনের কার্য ক্ষমতা বাড়িয়ে দেহের উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়ক করে। ঢ়েঁড়শ, পালংশাকে আছে গ্রোথ হরমোনের কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দেহের উচ্চতা বাড়াতে সহায়তা করে। পুষ্টিবিদরা বলেন, ছেলেমেয়েদের নিত্যদিনের খাবারের তালিকায় এসব খাবার রাখলে তাদের বয়স বৃদ্ধির পাশাপাশি উচ্চতা বৃদ্ধিতেও আর কোন প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। খাবার খেয়েও যারা বেঁটে বা বামন তারা প্রত্যেক ব্যায়ামটি অনুশীলন করুন, তবেই উপকার পাবেন। এখানে উল্লেখিত ব্যায়ামটি ছাড়াও আরো অনেক ব্যায়াম আছে যেগুলো উচ্চতা বৃদ্ধিতে উপকারী।

কিভাবে শুরু করবেন:

প্রথমে সোজা দাঁড়িয়ে দু’হাত আপনার পেছনে নিয়ে এক হাত অপর হাতের আঙ্গুল ক্রস করে শক্ত অবস্থায় ধরতে হবে ছবির মতো। এসময় কনুই বাঁকা করা যাবে না। এরপর আস্তে আস্তে দু’হাত পেছনে ধরা অবস্থায় শরীরের ঊধ্বাংশকে সামনের দিকে নিচে নামাতে হবে। এভাবে নামানোর সময় আপনার হাতদ্বয় উপরের দিকে তাক করে থাকবে। এ সময় হাতদ্বয় সোজা অবস্থায় ধরা থাকবে। এভাবে কিছুক্ষণ থাকার পর আবার প্রথম অবস্থায় যেতে হবে। এভাবে আপনাকে প্রতিবারে ৮–১০টি করে মোট ৫–৬ সেট করতে হবে। ব্যায়ামটি করার ফলে পেটের চর্বি কমবে, কোমর দেখতে সুন্দর হবে, কোমরে ব্যথা থাকলে সহজে দূর হবে।

এভাবে কয়েকবার করার ফলে লক্ষ্য করবেন যে, কোমরে চাপ পড়ছে। তবে করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে একটানা কোন অবস্থায় করতে যাবেন না। কারণ এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। একটানা করতে গেলে পেশি বা কোমরে টান পড়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে, তাই সতর্কতা অবলম্বন করুন।

আমরা অনেকেই আছি ব্যায়াম কয়েকদিন করার পর আর করতে ভাল লাগে না বা করতেও ইচ্ছে করে না। এমন হলে আপনি উপকৃত হবেন না। তাই একটানা করা শুরু করুন। (সংগৃহীত)

এবিএন/ফরিদুজ্জামান/জসিম/এফডি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত