বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • আদালত
  • খালেদার নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি এপ্রিলে

খালেদার নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি এপ্রিলে

খালেদার নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি এপ্রিলে

ঢাকা, ১১ মার্চ, এবিনিউজ : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি পিছিয়ে আগামী ১৯ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত। খালেদা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাগারে থাকায় এবং ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ উপস্থিত হতে না পারায় এ দিন ধার্য করে আদালত। আজ রবিবার ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ মাহামুদুল কবীর পুরান ঢাকার বকশিবাজারস্থ অস্থায়ী আদালতে শুনানি শেষে নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।

এদিন খালেদা জিয়া অরফানেজ মামলায় কারাগারে আছেন মর্মে আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বিচারককে জানান। অন্যদিকে মামলার অরেক আসামি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ হাইকোর্টে ব্যস্ত থাকায় তার পক্ষে সময় আবেদন করেন আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ।

উল্লেখ্য, নাইকো মামলাটিতে এর মধ্যে বিতর্কিত ব্যবসায়ী তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম), জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম এবং বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান ও সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একে এম মোশাররফ হোসেনের পক্ষে অব্যাহতির আবেদনের শুনানি সম্পন্ন হয়েছে।

মামলার অপর ৩ আসামি নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক পলাতক রয়েছেন।

২০১৫ সালের ২৯ নভেম্বর একই আদালতে খালেদা জিয়া আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলাটির তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটের বৈধতা চ্যলেঞ্জ করে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রীট আবেদন করলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। ২০১৫ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল ডিচার্জ করে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন।

উল্লেখ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ অভিযোগে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়। মামলাটিতে ২০০৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর প্রথম হাইকোর্ট থেকে জামিন পান খালেদা।

এবিএন/মমিন/জসিম

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত