![মানবতাবিরোধী অপরাধ : নোয়াখালীর ৪ জনের রায় কাল](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/03/12/ict_129901.jpg)
ঢাকা, ১২ মার্চ, এবিনিউজ : মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নোয়াখালী জেলার সুধারাম এলাকার আমির আলীসহ ৪ জনের মামলায় রায় আগামীকাল মঙ্গলবার ঘোষণা করবেন ট্রাইব্যুনাল।
আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন নির্ধারণ করেন।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে রায় যেকোনো দিন ঘোষণা করা হবে মর্মে রায় অপেক্ষমাণ রাখেন ট্রাইব্যুনাল।
২০১০ সালে ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর এটি হবে ৩১তম রায়।
একাত্তরে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ৩টি অভিযোগ আনা হয়েছে এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে।
এ মামলার আসামিরা হলেন আমির আলী, মো. জয়নাল আবদিন, মো. আবদুল কুদ্দুস ও আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর। তাদের মধ্যে মনসুর পলাতক।
মামলার আরেক আসামি মো. ইউসুফ আলী গ্রেফতার হওয়ার পর অসুস্থ অবস্থায় মারা যাওয়ায় তার নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
প্রসিকিউশনের পক্ষে এ মামলায় শুনানি করেন জাহিদ ইমাম। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তরিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, গাজী এমএইচ তামিম ও মাসুদ রানা।
জাহিদ ইমাম বলেন, ৪ আসামির বিরুদ্ধে ৩টি অভিযোগের ওপর প্রসিকিউশন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে। প্রসিকিউশন মনে করে, উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে সবকটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির আরজি জানিয়েছি ট্রাইব্যুনালের কাছে।
এ মামলায় প্রাথমিকভাবে ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হলেও মামলার অভিযোগ গঠনের আগে আসামি মো. ইউসুফ আলী গ্রেফতারের পর অসুস্থ হয়ে মারা যান। পরে ২০১৬ সালের ২০ জুন ৪ জন আসামিকে হত্যা, লুণ্ঠণ ও অগ্নিসংযোগের ৩ ঘটনায় অভিযুক্ত করে বিচার শুরু করেন আদালত।
প্রসিকিউশনের আনা অভিযোগে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামিরা নোয়াখালীর সুধারামে ১১১ জনকে হত্যা করে।
মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন প্রসিকিউশনের তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন। তিনিসহ মোট ১৫ জন প্রসিকিউশনের পক্ষে সাক্ষ্য দেন। আসামিপক্ষ ট্রাইব্যুনালে কোনো সাক্ষী হাজির করতে পারেনি।
এবিএন/সাদিক/জসিম/এসএ