বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

‘পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে ধ্বংস হবে পৃথিবীকে ধাক্কা মারতে আসা গ্রহাণু’

‘পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে ধ্বংস হবে পৃথিবীকে ধাক্কা মারতে আসা গ্রহাণু’

ঢাকা, ১২ মার্চ, এবিনিউজ : মহাকাশে কত গ্রহাণুই তো চলাফরা করে৷ একে অপরকে ধাক্কা মারে৷ তারই কিছু ছুটে আসে পৃথিবীর দিকে৷ এমনই এক গ্রহাণু বেণু৷ ২১৩৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর পৃথিবীতে জোর ধাক্কা মারতে চলেছে এই গ্রহাণুটি৷ তবে স্বস্তির কথা এই যে, এই গ্রহাণু ধ্বংস করার উপায় আবিষ্কার করে ফেলেছে নাসা৷ পৃথিবীতে পৌঁছনোর আগেই পারমাণবিক বোমার সাহায্যে গুঁড়িয়ে দেওয়া সম্ভব এই গ্রহাণুকে৷ সম্প্রতি নাসা এই খবর জানিয়েছে৷

তবে এই গ্রহাণু বেণুর পৃথিবীতে ধাক্কা মারার সম্ভাবনা খুব কম৷ ২ হাজার ৭০০ ভাগের মধ্যে মাত্র এক ভাগ৷ কিন্তু তাও ঝুঁকি নিতে চাইছে না আমেরিকার প্রশাসন৷ যেভাবেই হোক, সেটিকে প্রতিরোধ করতে চাইছে তারা৷ আপাতত গ্রহাণুটি পৃথিবী ও সূর্যের কক্ষপথ থেকে ৫৪ মিলিয়ন মাইল দূরে রয়েছে৷ তবে গ্রহাণুটি আকারে খুব বড়৷ প্রায় ৫০০ মিটার৷ তাই পৃথিবীর কাছে এটি ভয়ের কারণ হতে পারে৷

তবে নাসা সেই আশঙ্কা থেকে পৃথিবীবাসীকে অব্যাহতি দিয়েছে৷ যদি গ্রহাণুটি পৃথিবীর কাছে আসার চেষ্টা করে, তবে তার উপর পারমাণবিক বোমা প্রয়োগ করা হবে৷ এই প্রজেক্টের নাম দেওয়া হয়েছে (হ্যামার) HAMMER (Hypervelocity Asteroid Mitigation Mission for Emergency Response)৷

দুইভাবে এই হ্যামার কাজ করতে পারে৷ প্রথমত, যদি গ্রহাণুর আকার ছোটো হয়, তাহলে এটি দিয়ে আঘাত করে গ্রহাণুটিকে দূরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে৷ ৮.৮ টনের ইম্পেকটর একে ধুয়েমুছে সাফ করে দিতে পারে৷ কিন্তু যদি এর আকার বড় হয়, তাহলে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগ করা হবে৷ তবে এই আইডিয়ার কথা সম্পূর্ণ প্রকাশ করা হয়নি৷ ২০১০ সালে একটি রিপোর্ট থেকে হ্যামার-এর আইডিয়া আসে৷

নাসা জানিয়েছে, এবছর OSIRIS- REx-এর কাছাকাছি যাবে বেণু৷ সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে৷ ২০২৩-এর মধ্যে সেই নমুনা পৃথিবীতে পৌঁছে যাবে৷ তারপরই প্রথম পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে৷ ততদিন কিছু জানানো সম্ভব নয়৷

এবিএন/ফরিদুজ্জামান/জসিম/এফডি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত