মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
  • হোম
  • আদালত
  • খালেদা জিয়ার জামিন আদেশে স্বাক্ষর করেছেন বিচারপতিরা

খালেদা জিয়ার জামিন আদেশে স্বাক্ষর করেছেন বিচারপতিরা

খালেদা জিয়ার জামিন আদেশে স্বাক্ষর করেছেন বিচারপতিরা

ঢাকা, ১৩ মার্চ, এবিনিউজ : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আদেশে স্বাক্ষর করেছেন সংশ্লিষ্ট বিচারপতিরা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে জামিন আদেশে স্বাক্ষরের পর পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। এখন প্রক্রিয়া শেষে হাইকোর্টের ডেসপাস শাখা থেকে জামিন আদেশ পাঠানো হবে বিচারিক আদালতে।

এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী আহসানুর রহমান জানান, ‘রায় স্বাক্ষর করে বিচারপতিরা শাখায় পাঠিয়েছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে নিম্ন আদালত হয়ে কারাগারে যাবে এটি।’

এর আগে গতকাল জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্র্বতীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে এই মামলার আপিলের পেপারবুক প্রস্তুত করার কথা বলেছেন আদালত।

পরে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে চেম্বার আদালতে। শুনানি শেষে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেওয়া চার মাসের জামিন স্থগিত করেননি চেম্বার আদালত; বরং এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামীকাল আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার উভয়পক্ষের শুনানি শেষে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ আদেশ দেন। এতে খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল থাকল।

শুনানিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে অংশ নেন মওদুদ আহমদ, এ জে মোহাম্মদ আলী, খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের পক্ষে খুরশিদ আলম খান।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন জানান, চেম্বার জজ জামিন স্থগিত করেননি। শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়েছেন। এতে তাঁর জামিন বহাল থাকল। এর আগে আজ সকালে খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষ। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়।

গতকাল সোমবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্র্বতীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। এরপর পুরান ঢাকার পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে খালেদা জিয়াকে সেখানে রাখা হয়।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল দায়ের করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এর পরই গত ২২ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন। সেইসঙ্গে স্থগিত করেন খালেদা জিয়ার অর্থদণ্ড।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হয়। শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার মামলার নথি নিম্ন আদালত থেকে হাইকোর্টে এসে পৌঁছানোর পরই আদেশ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

এ মামলায় মোট আসামি ছয়জন। তার মধ্যে তিনজন পলাতক। এই তিনজন হলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন-আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন—মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

এবিএন/মমিন/জসিম

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত