বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

যে সংগঠনের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কথা বলার কথা ছিল...

যে সংগঠনের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কথা বলার কথা ছিল...

যে সংগঠনের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কথা বলার কথা ছিল সেই সংগঠনে আজ তার নেতাকর্মীরাই নিজেদের অধিকার নিয়ে কথা বলতে পারে না। হায়রে সেলুকাস! যে সংগঠনে নেতাকর্মীরা নিজেদের অধিকার নিয়ে কথা বলতে চাইলে কণ্ঠরোধের বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হয়, বা নেতাকর্মীরা স্পষ্টতইই অজানা কোন ভয়ে কথা বলতে পারে না সেই সংগঠন সাধারণ শিক্ষার্থীদের মণিকোঠায় স্থান করে নিবে এমনটা ভাবা বাতুলতা মাত্র। এটা সংগঠনের ব্যর্থতা নয়, ব্যর্থতা তার নেতৃত্বের। নেতৃত্বের জোরেই সংগঠনটি বড় বড় ক্রান্তিকালে ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। যাদের মুখের প্রতিচ্ছবির মধ্য দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী বা মানুষ সংগঠনটির বর্তমান অবস্থা ঠাওর করতে পারে এই গুণ বা দোষের অধিকাংশ তাদের। নেতৃত্ব গুণের অচলায়তনীয়ভাব, স্থির কাঠামোবদ্ধতার মধ্যে সিদ্ধান্ত, রাজনৈতিক মতান্ধতা, ভিন্ন মতের প্রতি ট্যাবু আরোপ, প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর মত ডগম্যাটিজম প্রভৃতি আজ এই অবস্থায় এনে দাড় করিয়েছে। এই অচলায়তন থেকে মুক্তির দিশারী রূপে আমরা হয়তো ঈশ্বর প্রেরিত অবতারের স্বপ্ন দেখতে পারি না কিন্তু এমন নেতৃত্বের স্বপ্ন নিশ্চয়ই দেখতে পারি যে নেতৃত্ব একবিংশ শতকের দ্বিতীয় দশকে গতিময় সমাজের পালস নির্ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উৎপাদন পুনরুৎপাদন করতে পারবে।

সময় যখন অচলায়তনের, সময় যখন বন্ধ্যাত্বের তখন এমন স্বপ্নবান মানুষদের উপর খড়গ নেমে আসবে সেটাই স্বাভাবিক। সকল সময়ে এটা হয়েছে। নতুন বা ভিন্ন কোন মতের পথ রুদ্ধ করার আদি ও অকৃত্রিম উপায় হল- ভয় দেখানো। এই ভয়কে যারা জয় করতে পেরেছে তারাই নতুন পথ তৈরি করতে পেরেছে। আইয়ুব শাহীর মতো লৌহ মানব, ইয়াহিয়ার মত জল্লাদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই বঙ্গবন্ধু মানুষের মুক্তির পথ তৈরি করেছিলেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট এর মতো করে বলতে হয়, 'আমরা শুধুমাত্র ভয় ব্যতীত অন্য কিছুতে ভয় পাই না'।

সায়েম খান’র স্ট্যাটাস থেকে

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত