বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

এর পর কোন প্রাণীটি বিলুপ্ত হতে চলেছে

এর পর কোন প্রাণীটি বিলুপ্ত হতে চলেছে

ঢাকা, ২৩ মার্চ, এবিনিউজ : সারা বিশ্বে বেঁচে থাকা একমাত্র পুরুষ শ্বেত গণ্ডারটির মৃত্যুর পর এ প্রজাতির প্রাণীটি ‘আনুষ্ঠানিকভাবে’ বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

এখন এ প্রাণীটিকে ফিরে পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো বিজ্ঞান। অর্থাৎ গবেষণাগারে আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে এ প্রাণীটিকে জন্মানো যেতে পারে।

বন্যপ্রাণী রক্ষায় কাজ করে এ রকম একটি দাতব্য সংস্থা ডব্লিউডব্লিউএফের প্রধান কলিন বাটফিল্ড বলছেন, ‘পরিস্থিতি আসলেই ভয়াবহ।’

খুব বেশি বিপদের মধ্যে আছে এ রকম প্রাণীকুলের একটি ভাকুইয়তা, এটি ডলফিন বা ছোট আকারের একটি তিমি, যা ১৯৫৮ সালে প্রথম দেখা গিয়েছিল। একই রকম বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় আছে আরো একটি গণ্ডার যার নাম জাভান।

এ ছাড়া আরও যেসব প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পথে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে সুমাত্রান গণ্ডার, কৃষ্ণ গণ্ডার, আমুর চিতাবাঘ, ফরেস্ট হাতি এবং বোর্নিও দ্বীপের ওরাংওটান। তার কোন কোনটির সংখ্যা হয়তো শতাধিক বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রকৃতি সংরক্ষণে কাজ করে এ রকম আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএন এসব প্রাণীর একটি তালিকা তৈরি করেছে। তার নাম দেওয়া হয়েছে রেড লিস্ট। এই তালিকায় উদ্ভিদ, স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি, জলে ও স্থলে বাস করতে পারে এরকম উভচর প্রাণী, সামুদ্রিক প্রাণী ইত্যাদি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলোকে আবার কোনটা কতো বেশি ঝুঁকির মুখে সেই তুলনা করে তাদের একেকটা ভাগে ফেলা হয়েছে।

সংস্থাটি মনে করে, বর্তমানে ৫ হাজার ৫৮৩টি প্রাণী ‘গুরুতর বিপদের’ মুখে।

এদের মধ্যে কমপক্ষে ২৬টি প্রাণীকে ২০১৭ সালে বিপন্ন ঘোষণা করা হয়েছিলো। কিন্তু তার আগের বছরে এই প্রাণীগুলোর ভবিষ্যত এতটা শোচনীয় ছিল না।

২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে আইইউসিএনের হিসেবে তখনও পর্যন্ত বেঁচেছিলো ৩০টির মতো ভাকুইয়তা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামী এক দশকের মধ্যেই এই প্রাণীটি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।এর পর কোন প্রাণীটি বিলুপ্ত হতে চলেছে

সংস্থাটি বলছে, এসব প্রাণীর সংখ্যা কো সেটা একেবারে নির্ভুলভাবে বলা কঠিন। তার পরও যাতে প্রকৃত সংখ্যার খুব কাছাকাছি যাওয়া যায় সে জন্য এ গণনায় নানা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

স্থলে প্রাণীদের ক্ষেত্রে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবাদীরা যেসব বিষয় বিবেচনা করেন-

* জিপিএস ট্র্যাকার

* হত্যার আলামত

* পদচিহ্ন

* গাছপালায় আঁচড়

* বিষ্ঠা বা মল

এসব হিসাব করে তারা প্রাণীটির সংখ্যা গণনা করেন। কিন্তু এ গণনা সবসবময় বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকে না।

এ ছাড়া প্রত্যেক বছর নতুন নতুন প্রজাতি চোখে পড়ছে। ফলে ঠিক কতো সংখ্যক প্রাণী আসলেই বিপন্ন হওয়ার পথে সেটা হিসেব করা একটু জটিল।

বিজ্ঞানীদের অনেকে বলেন যে কোন কোন প্রাণীর অস্তিত্ব সম্পর্কে জানার আগেই সেগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাবে।এর পর কোন প্রাণীটি বিলুপ্ত হতে চলেছে

ব্রাজিলের স্পিক্স ম্যাকাও বিলুপ্ত বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু ২০১৬ সালে এ রকম একটি পাখি দেখা গিয়েছিল। তবে কোন প্রাণী কতটা বিপন্ন সেটা বুঝতে গিয়ে শুধু তার সংখ্যাই বিবেচনা করা হয় না।

কীভাবে বুঝব কোন প্রাণী কতটা বিপন্ন?

যেসব বিষয় বিবেচনা করা হয়: তারা কি শুধু একটি এলাকাতেই বাস করছে যে কারণে তাদের শুধু হযতো একটি কারণেই হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে, নাকি তারা পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে? তাদের প্রজনন চক্র কতদিন ধরে স্থায়ী হয়? যথেষ্ট সংখ্যায় যদি প্রাণীটি না থাকে তাহলে কতো দ্রুত এটি আবার বংশবিস্তার করতে পারবে?

* প্রাণীটি যেসব হুমকির সম্মুখীন সেগুলো কতটা ব্যাপক?

* প্রাণীটি জিনগতভাবে কতটা বৈচিত্র্যপূর্ণ?

* তাদের বসতি কতোটা হুমকির মুখে?

সূত্র : বিবিসি

এবিএন/সাদিক/জসিম/এসএ

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত