![বিজিএমইএকে মুচলেকা দিতে হবে](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/03/27/bgmea_132301.jpg)
ঢাকা, ২৭ মার্চ, এবিনিউজ : রাজধানীর হাতিরঝিলে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ভবন ভাঙতে এক বছর সময় চাওয়ায় তাদের মুচলেকা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে মুচলেকা পেলে ভাবনটি ভাঙতে সময় দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলেও জানিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে বিজিএমইএর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী ও ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকের (রাজউক) পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন মনজিল মোরসেদ।
১৯৯৮ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে বেআইনিভাবে ওই ১৬ তলা দালান তোলে বিজিএমইএ। জলাধার আইন ভেঙে নির্মিত ওই ভবনকে সৌন্দর্যমণ্ডিত হাতিরঝিল প্রকল্পে ‘একটি ক্যান্সার’ বলেছিলেন হাইকোর্ট।
ওই ভবন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আপিলেও বহাল থাকে। পরে বিজিএমইএ রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করলেও তা খারিজ হয়ে যায়।
রায়ের পর কার্যালয় সরিয়ে নিতে বিজিএমইএ ৩ বছর সময় চাইলেও আপিল বিভাগ তাদের ৬ মাসের মধ্যে সে কাজ শেষ করতে বলেন। সেই ৬ মাস সময় শেষ হওয়ার আগে আগে আরও এক বছর সময় চেয়ে গত বছর ২৩ আগস্ট আবেদন করে বিজিএমইএ।
আপিল বিভাগ তখন ভবনটি ভাঙতে আরও ৭ মাস সময় দেন, যা আগামী ১২ এপ্রিল শেষ হবে। ওই আদেশে আদালত বলে, এটাই শেষ সুযোগ, আর সময় দেওয়া হবে না।
কিন্তু গত ৫ মার্চ বিজিএমইএ ভবনটি ভাঙতে আবারও এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করে, যার ওপর রবিবার শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদেশের জন্য রাখা হয়।
সে দিন শুনানিতে বিজিএমইএর আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী আদালতকে বলেন, ‘মাই লর্ড, মৃত্যুদণ্ডের আসামিও শেষ আবেদন করতে পারে। আমরাও এই সুযোগটি চাচ্ছি।’
এর পর মঙ্গলবার আদেশ না দিয়ে সর্বোচ্চ আদালত জানায়, বিজিএমইএর আবেদন বিবেচনা করা হবে যদি তারা মুচলেকা দেয়।
এবিএন/সাদিক/জসিম/এসএ