![মুচলেকা সংশোধন করে দাখিলের নির্দেশ বিজিএমইএকে](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/03/28/bgmea_132490.jpg)
ঢাকা, ২৮ মার্চ, এবিনিউজ : বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) বহুতল ভবন ভাঙতে কর্তৃপক্ষের দেওয়া মুচলেকা সংশোধন করে তা পুনরায় দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী সোমবার দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে শেষ বারের মতো এক বছরের সময় চেয়ে লিখিত মুচলেকা দেন বিজিএমইএর বর্তমান পরিচালনা পরিষদ। লিখিত মুচলেকায় বলা হয়, এর পর আমরা আর সময় চাইব না।
আদালতে বিজিএমইএর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মঞ্জিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে মঙ্গলবার বিজিএমইএর আবেদনের ওপর শুনানি শেষ করেন আপিল বিভাগ। শুনানিতে আদালত বিজিএমইএর ভবন ভাঙতে বারবার সময় না চাওয়ার শর্তে একটি মুচলেকা জমা দিতে নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে বুধবার মুচলেকা জমা দিলে আদেশের দিন ধার্য রেখেছিলেন।
এর আগে গত বছরের ৫ মার্চ আপিল বিভাগ বিজিএমইএ ভবন অবিলম্বে ভেঙে ফেলতে রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) করা আবেদন খারিজ করে দেন। তখন ভবন ভাঙতে কত দিন সময় লাগবে, তা জানিয়ে আবেদন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। পরে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ ভবন সরাতে তিন বছর সময় চেয়ে আবেদন করেন।
ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ৮ এপ্রিল বিজিএমইএর ভবনটি ভাঙতে এর কর্তৃপক্ষকে ৭ মাস সময় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। বিজিএমইএর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সময় মঞ্জুর করে এক আদেশে বলেছিলেন, এটাই শেষ সুযোগ। আর সময় দেওয়া হবে না।
কিন্তু এর পরও বিজিএমইএর আরেক আবেদনের প্রেক্ষিতে ভবন ভাঙতে তাদেরকে পুনরায় ৬ মাস সময় দেন আপিল বিভাগ। গত বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালত এ আদেশ দেন। আদালতের ওই সময় মঞ্জুরের পর এ বছরের ২৫ মার্চ পুনরায় একবছর সময় চেয়ে আবেদন করে বিজিএমইএ। সেই আবেদনের বিষয়ে আগামীকাল বুধবার আদালত আদেশ দেবেন।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়। ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে বিজিএমইএ ভবন একটি ক্যান্সারের মতো’ উল্লেখ করে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভবনটি ভেঙে ফেলতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। এই লিভ টু আপিল খারিজ করে রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, ‘বেগুনবাড়ি খাল’ ও ‘হাতিরঝিল’ জলাভূমিতে অবস্থিত ‘বিজিএমইএ কমপ্লেক্স’ নামের ভবনটি নিজ খরচে অবিলম্বে ভাঙতে আবেদনকারীকে (বিজিএমইএ) নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। এতে ব্যর্থ হলে রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) ভবনটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হলো। এক্ষেত্রে ভবন ভাঙার খরচা আবেদনকারীর (বিজিএমইএ) কাছ থেকে আদায় করবে তারা (রাজউক)।
এবিএন/সাদিক/জসিম/এসএ