বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • আদালত
  • ব্লু হোয়েলের গেটওয়ের লিঙ্ক ও অ্যাপলিকেশন বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ

ব্লু হোয়েলের গেটওয়ের লিঙ্ক ও অ্যাপলিকেশন বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ

ব্লু হোয়েলের গেটওয়ের লিঙ্ক ও অ্যাপলিকেশন বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ

ঢাকা, ০৫ এপ্রিল, এবিনিউজ : নীল তিমি বা সিনিয় কিত বা ব্লু হোয়েল গেমসহ আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী এ জাতীয় সব গেমের গেটওয়ের লিঙ্ক ও অ্যাপলিকেশন বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে স্পেশাল মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ব্লু হোয়েল গেমসহ আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী এ জাতীয় সব গেমের গেটওয়ের লিঙ্ক ও অ্যাপলিকেশন বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

তবে আগামী ২৬ মে ক্ষতিকর গেমসমূহে আসক্তদের কাউন্সেলিং এবং তদন্তের বিষয়ের অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ২৭ মে পরবর্তী আদেশের জন্য মামলাটি কার্যতালিকায় থাকবে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব।

আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদকে সভাপতি করে ১১ সদস্যের কমিটি করা হয়। তবে কমিটির সভাপতি ও সদস্য সচিবের নির্দেশে পুলিশ সদর দপ্তর, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স মনিটরিং সেন্টার এবং বিটিআরসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণকে কো-অপ্ট করা হয়।

কমিটির প্রথম সভা ১৪ মার্চ এবং দ্বিতীয় সভা ২৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরিচালিত ক্ষতিকর মোবাইল/অনলাইন গেমস সংক্রান্ত বিশদ পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনায় দেখা যায়, ডার্ক ওয়েব/ডিপ ওয়েব এ এসব ক্ষতিকর, আত্মঘাতীমূলক অনলাইন গেমস খেলার জন্য ক্রিপটো কারেন্সি বা বিট কয়েনের মাধ্যমে অর্থ প্রদান করতে হয়। যা ছাত্রছাত্রী বা সাধারণ জনগণের জন্য দুরূহ। হলিক্রস স্কুলের ছাত্রী স্বর্ণার আত্মহত্যার কারণ হিসেবে ক্ষতিকর অনলাইন গেমসের সংশ্লিষ্টতা ছিল কিনা সে বিষয়েও আলোচনা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে নিউমার্কেট থানায় যোগাযোগ করা হয়। এ বিষয়ে থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জানান, সুরতহাল অনুযায়ী ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রতীয়মান হলেও এ সংক্রান্ত ক্ষতিকর অনলাইন গেমসের কোনোরূপ সংশ্লিষ্টতা পরিলক্ষিত হয়নি।

এ কমিটির সদস্য সচিব বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তফা কামাল ক্ষতিকর মোবাইল বা অনলাইন গেমস প্রতিরোধে বিটিআরসির গৃহীত পদক্ষেপসমূহ কমিটির সদস্যদের অবহিত করেন।

পদক্ষেপগুলো হলো-

১. হাইকোর্টের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে মোবাইল ও অনলাইনে ক্ষতিকর গেমস বন্ধ করার জন্য বিটিআরসির লাইসেন্সপ্রাপ্ত সব ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) এবং সেলুলার মোবাইল ফোন অপারেটরদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

২. অনলাইনভিত্তিক আত্মঘাতী/সংঘাতমূলক/রাষ্ট্র ও সমাজবিরোধী ওয়েবসাইট ও গেমসমূহের ব্যবহার সীমিত করতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্য‌ন্ত রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত নতুন ও চলমান সব প্রমোশনাল ইন্টারনেট/ডাটা অফার বন্ধ রাখার জন্য সব মোবাইল অপারেটরদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

৩. কতিপয় ক্ষতিকর অনলাইন গেমস, অ্যাপলিকেশন্স, ওয়েবসাইটের নাম উল্লেখপূর্বক তা বন্ধ করার জন্য সব আইআইজিকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এগুলো ছাড়াও অন্য কোনো ক্ষতিকর অনলাইন গেমস, অ্যাপলিকেশন্স, ওয়েবসাইট পাওয়া গেলে পরবর্তী নির্দেশনার জন্য বিটিআরসিকে অবহিত করতেও জানানো হয়।

৪. ক্ষতিকর এসবের বিষয়ে জনসচেতনতায় স্ক্রলে প্রচারের জন্য সব টিভিকে অনুরোধ করা হয়।

আলোচনা শেষে কমিটির সিদ্ধান্তগুলো হলো- ভবিষ্যতে এরূপ ক্ষতিকর অনলাইন/মোবাইল গেমসের আবির্ভাব পরিলক্ষিত হলে এ বিষয়ে অভিভাবকগণের সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিটিআরসি প্রয়োজনীয় প্রচারণা চালাবে।

ক্ষতিকর অনলাইন/মোবাইল গেমসের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ ও মনিটরিংয়ের জন্য ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে বিটিআরসি যৌথভাবে কাজ করবে।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত