বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

‘পহেলা বৈশাখের চেতনা যুক্ত করতে হবে জীবনের সঙ্গে’

‘পহেলা বৈশাখের চেতনা যুক্ত করতে হবে জীবনের সঙ্গে’

ঢাকা, ১৪ এপ্রিল, এবিনিউজ : পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব। এই দিনে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একত্রিত হন নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে। এটি সর্বজনীন এক জাতীয় উৎসব। বাংলা বর্ষবরণের মাধ্যমে বাঙালি যেন এদিন তার শিকড়ে ফেরে। প্রাণের আবেগ আর ভালোবাসায় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে এই দিন। বাংলা নববর্ষের ইতিহাস, জীবনে এর প্রভাব এবং পহেলা বৈশাখের চেতনা নিয়ে একটি জনপ্রিয় দৈনিক অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। তা হুবহু তুলে ধরা হলো-

প্রশ্ন : পহেলা বৈশাখ এখন বাঙালির জাতীয় উৎসব। এর উৎপত্তি সম্পর্কে বলবেন...

ড. সৌমিত্র শেখর : পহেলা বৈশাখের উৎপত্তি নিয়ে একটি লোক-ধারণা ও বিশ্বাস আছে। ওই লোক-ধারণা এবং বিশ্বাসের উপরই মূলত আমাদের এই বঙ্গাব্দ বা বাংলা সন প্রতিষ্ঠিত। সরকারি কাগজপত্রে বা আমাদের ব্যবহারিক জীবনে বাংলা সনকে শিক্ষিত মানুষ খুব একটা গুরুত্ব দেন না। কিন্তু গ্রামীণ মানুষ, যারা তথাকথিত শিক্ষিত নন, তারা কিন্তু এই সনকে লালন করেন।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, মোঘল সম্রাট আকবর বাংলা সন প্রতিষ্ঠা করেন। মুঘল, পাঠান, সুলতান— এরা প্রত্যেকেই এসেছেন ভারতবর্ষের বাইরে আফগানিস্তান থেকে। তারা ভারতবর্ষের জলবায়ু সম্পর্কে জানতেন না। আফগানিস্তানের আশেপাশে ফার্সি সংস্কৃতির প্রভাব ছিল। সে কারণে দিনপঞ্জিকা হিসেবে ওই শাসকদের ফার্সি ক্যালেন্ডার উদ্বুদ্ধ করে। তাদের শাসনামলে ফার্সি ছিল রাজাদের প্রচলিত বা অনুশ্রিত দিনপঞ্জিকা। আর ইসলাম প্রসারের পর যেহেতু এইসব শাসনামল শুরু হয়, তাই তারা হিজরি সন এই অঞ্চলে প্রচলন করেন। হিজরি সনটি মূলত চান্দ্রবর্ষের সঙ্গে সম্পর্কিত। অর্থাৎ চাঁদ উঠলে হিজরি সন কিংবা মাস শুরু হতো।

মুঘল সম্রাট আকবর তার শাসনামলে এসে বুঝলেন, ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষের হিজরি সন বুঝতে সমস্যা হচ্ছে। তার লোকজন যখন প্রজাদের কাছে খাজনা তুলতে যাচ্ছে তখন তারা বুঝতে পারছে না। প্রজাদের এই অবস্থা দেখে একটি মডেল প্রতিষ্ঠা করতে চাইলেন তিনি। ভারতবর্ষে তখন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনেক ধর্মগোষ্ঠী। আকবর সবাইকে এক জায়গায় আনতে দ্বীন-ই-ইলাহী বলে একটি ধর্মমত প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করলেন। সেই সঙ্গে তিনি একটি দিনপঞ্জিকা প্রতিষ্ঠারও উদ্যোগ নিলেন। কিন্তু ভারত আয়তনে অনেক বড়, সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও ছিল নানা বৈচিত্র্য। এ কারণে এসব প্রতিষ্ঠা করা বেশ কঠিন ছিল।

ভারতের বড় বড় অঞ্চলে শকাব্দ, বিক্রমাব্দসহ বহু দিনপঞ্জিকা অনেকদিন ধরেই প্রচলিত ছিল। সুতরাং এইগুলি বাদ দিয়ে নতুন দিনপঞ্জিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের মধ্যে খানিকটা দ্বিধা কাজ করে।

সে আমলে বাংলায় ওইরকম দিনপঞ্জিকা ছিল না। তাই বাঙালি অধ্যুষিত অঞ্চলের মানুষ সম্রাট আকবর প্রবর্তিত দিনপঞ্জিকা গ্রহণ করে দ্রুত। হিজরি মাস কিংবা বছর ছিল চাঁদ অনুসারে, কিন্তু সম্রাট দিনপঞ্জিকা প্রতিষ্ঠা করেন সৌরবর্ষ অনুসারে। অর্থাৎ যখন সূর্য দেখা যাবে তখন থেকেই দিন শুরু হবে। পরের দিন সূর্য উঠা পর্যন্ত এই দিনটি চলবে।

বিভিন্ন জায়গায় এই দিনপঞ্জিকা ঠিকমতো প্রতিষ্ঠিত না হলেও বাংলার মানুষ এটি গ্রহণ করল দ্রুত। বাঙালির অন্যতম একটা বৈশিষ্ট্য হল তারা যা গ্রহণ করে তা হৃদয় থেকে করে। আন্তরিকতার সঙ্গে, অনুষ্ঠান করে গ্রহণ করে। সেটার সঙ্গে তারা আচার, লোকাচার, ধর্ম-সবই যুক্ত করল।

পহেলা বৈশাখে রমনা পার্কে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান— ফাইল ছবি

প্রশ্ন : পহেলা বৈশাখ উদযাপনের বিষয়টি কীভাবে এলো?

ড. সৌমিত্র শেখর : বৈশাখ উদযাপনের ধারণা কিন্তু বেশিদিন আগের না। এটি এসেছে একটি প্রতিক্রিয়া থেকে। ইংরেজরা যখন এলো, তখনও আমাদের ঐতিহ্যগত বিষয় ছিল চৈত্র সংক্রান্তি। চৈত্র মাসের শেষের দিনের পরে মেলা হতো। কোনো কোনো মেলা একমাস হতো। ৫০ কিংবা ৭৫ বছর আগের ইতিহাসেও এতো ঘটা করে পহেলা বৈশাখ উদযাপন ছিল না। ইংরেজ আমলের শেষ দিকে বাঙালিদের মধ্যে এক ধরনের প্রতিক্রিয়া জন্ম নিল। ইংরেজরা থার্টি ফার্স্ট নাইটের পরের প্রহর অর্থাৎ নিউ ইয়ারে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হৈ হুল্লোড়, পার্টি ইত্যাদি করে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। এটি নানাভাবে আমাদের নাগরিক সমাজকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে, বাঙালির মধ্যে স্বাধীনতার চেতনা গড়ে তোলে। তারা ভাবে আমাদেরও তো একটা ক্যালেন্ডার আছে। আমরা কেন পহেলা বৈশাখ উদযাপন করবো না! এ কারণে চৈত্র সংক্রান্তির পাশাপাশি পহেলা বৈশাখ উদযাপন শুরু হলো।

পাকিস্তান আমলে ছায়ানট পহেলা বৈশাখ উদযাপন শুরু করে। কারণ ইংরেজরা চলে যাওয়ার পর পাকিস্তান আমলে বাঙালি আরও চাপের মুখে পড়ে। তখন তারা ভাবলো, পহেলা বৈশাখ উদযাপন করবো। কারণ এটা আমাদের অস্তিত্ব। সেই ভাবনা থেকে ভোরবেলায় ছায়ানট বটতলায় নববর্ষ উদযাপনের আয়োজন শুরু করল। সৌরবর্ষ অনুযায়ী, ভোরবেলাতেই বঙ্গাব্দ শুরু। এ কারণে ছায়ানট ভোরবেলায় পহেলা বৈশাখ উদযাপন শুরু করে। ছায়ানট এই আয়োজন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করে বটে, কিন্তু গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে এটা আগে থেকেই হতো। এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে বর্ষবরণের চর্চা চলে আসছে।

এরশাদ সরকারের আমলে আমাদের ক্যালেন্ডার পাল্টে দেওয়া হল। বলা হল, পশ্চিমবঙ্গের ক্যালেন্ডার অনুসারে কেন আমরা পহেলা বৈশাখ উদযাপন করবো? আমাদের আলাদা ক্যালেন্ডার থাকবে। তৎকালীন সরকার ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ ঠিক করে দিল।

একটা স্বাধীন সার্বভৌম দিনপঞ্জিকা যেখানে ক্ষয়, বৃদ্ধি ছিল অর্থাৎ ইংরেজি বা গ্রেগোরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এখানে ২৯, ৩০, ৩১, ৩২ দিন ছিল সেটা একটা সময়সীমায় আটকে দেয়া হল। একটা জীবন্ত ক্যালেন্ডারটাকে মেরে ফেলা হল। খ্রিস্টীয় ক্যালেন্ডারে যখন ১৪ এপ্রিল আসবে তখন আমাদের পহেলা বৈশাখ হবে— এটা ঠিক করে দেয়া হলো।

এরপর ঠিক করা হলো, পহেলা বৈশাখ উদযাপন হবে রাত ১২টা ১ মিনিটে। সংস্কারকৃত ক্যালেন্ডার অনুসারে বছর ঘুরবে থার্টি ফার্স্ট নাইটের মতো। এটা যে সাংঘর্ষিক তা প্রমাণ হলো ছায়ানটের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। তারা এইসব সংস্কারের আগেই তাদের আয়োজন শুরু করেছিল। সূর্য উদয়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা গাইতে শুরু করে— ‘এসো হৈ বৈশাখ...’। অন্যদিকে আরেকটা গ্রুপের কাছে দিনটি শুরু হয় আগের রাত ১২টা ১মিনিট থেকে। এভাবে বাংলা সংস্কৃতিকে দ্বিখণ্ডিত করা হলো। যেটা স্রোতবতী নদী ছিল, সেটা বন্ধ্যা জলাশয়ে পরিণত হলো।

প্রশ্ন : চীন, নেপাল, থ্যাইল্যান্ডেও মধ্য-এপ্রিলে এ ধরনের উৎসব হয়। পহেলা বৈশাখের সঙ্গে ওইসব উৎসবের কোন যোগসূত্র আছে কী?

ড. সৌমিত্র শেখর : একটা সময় পহেলা অগ্রহায়ণই আজকের পহেলা বৈশাখ ছিল। কারণ ওটা দিয়েই বছর শুরু হতো। কিন্তু ধীরে ধীরে এটা বৈশাখে রূপান্তরিত হয়। ওই সময় আদিবাসী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষেরও দিনপঞ্জিকা ব্যবহার শুরু হয়। একইভাবে চীন, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডসহ এই অঞ্চলে দিনপঞ্জিকা ব্যবহার শুরু হয়। আসলে এইসব মানুষের একসময় যোগাযোগও ছিল। এটা কৃষি নির্ভর ও ফসলের সঙ্গে যুক্ত। উপমহাদেশের সঙ্গে সাগর পথে বাণিজ্য হতো। সব মিলিয়ে একসময় উপমহাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতকি একটা যোগসূত্র ছিল। এ কারণেই উৎসবগুলো সমসাময়িক সময়ে গড়ে উঠতে পারে।

প্রশ্ন : পহেলা বৈশাখ উদযাপন আর আগের মতো নেই,আয়োজনে ব্যাপকতা তৈরি হয়েছে। নতুন কী আবেদন আনছে এখনকার নববর্ষ উদযাপন?

ড. সৌমিত্র শেখর : নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে একটা করপোরেট বাণিজ্য শুরু হয়েছে। তারা পান্তা খাওয়াবে, আমাদের সঙ্গে বাণিজ্য করবে। আমাদেরকে জানাবে তোমরা একটা দরিদ্র জাতি ছিলে।

আমাদের মধ্যেও ঘটা করে সানকীতে পান্তা ভাত খাওয়া শুরু হয়েছে। অথচ এটা শাশ্বত বাঙালি ঐতিহ্যের বিরোধী চিত্র। বাঙালি দরিদ্র জাতি। তারা অনেক কষ্ট করেছে। প্রাচীন সাহিত্যে কবির ভাষায় সেই রূপ বর্ণনাও করা হয়েছে। চর্যাপদে আছে, ‘টালত মোর ঘর নাহি পড়বেষী/হাড়ীত ভাত নাহি নিতি আবেশী।’ এর মানে হলো, ‘টিলার ওপরে আমার ঘর, আমার কোনো প্রতিবেশী নেই, হাঁড়িতে আমার ভাত নেই।’

দরিদ্র সেইসব মানুষের কাছে পান্তাই ছিল প্রতিদিনের খাবার। তারা সকালে পান্তা খেয়ে বের হতো, তারপর আবার কখন খাবে তা জানতো না। পহেলা বৈশাখে তারা মনে করতো, যার যতটুকু সামর্থ্য তা দিয়ে গরম ভাত খাবে, ভালো পোশাক পরবে। নতুন না পেলে পুরনো পোশাকটাই ধুয়ে পরবে। মিথ্যে বলবে না। অন্যের অপকার করবে না। কারণ তারা বিশ্বাস করতো পহেলা বৈশাখে ভালো খেলে, ভালো পোশাক পরলে কিংবা ভালো কথা বললে সারা বছর ভালো যাবে। এই বিশ্বাস বহুদিন ছিল।

পহেলা বৈশাখ পান্তা খাওয়ার দিন ছিল না, বর্জনের দিন ছিল। হাজার বছর ধরে আমাদের পূর্ব পুরুষ যেটা বর্জন করেছে সেটা আমরা গ্রহণ করেছি। যে সানকীতে ভাত খাওয়া ছিল লজ্জার, দরিদ্রতা লুকানোর— সেটাই এখন আমাদের ঐতিহ্য! করপোরেটরা এসব ভাবনা আমাদের মাথায় ঢুকিয়েছে।

প্রশ্ন : এখন পহেলা বৈশাখকে ঘিরে দেশে চাঙা হয়ে ওঠে ব্যবসা বাণিজ্য- বিষয়টি কীভাবে দেখেন?

ড. সৌমিত্র শেখর : পহেলা বৈশাখ ঘিরে একসময় বহুদিন মেলা চলতো। এসব মেলা গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙা রাখতো। মাসব্যাপী কুমাররা মাটির কাজ করতো সাতদিনের মেলায় বিক্রি করবে বলে। কামাররাও তাই। মেলায় ভালো ব্যবসা করলে তারা পরবর্তী তিন মাস ভালো থাকতো। এখনও পহেলা বৈশাখকে ঘিরে বাণিজ্য প্রসার লাভ করে। এটা ইতিবাচক। তবে এটা মনে রাখা দরকার, উৎসবের এই ঘনঘটায় আমরা যেন শুধু আড়ম্বরেই আটকে না যাই।

প্রশ্ন : আমাদের সামাজিক জীবনে বাংলা বর্ষপঞ্জিকার চর্চা সেভাবে হচ্ছে কী?

ড. সৌমিত্র শেখর : পহেলা বৈশাখ নিয়ে আমরা যতই উল্লাস করি না কেন; বাংলা দিনপঞ্জিকাটি কিন্তু জাতীয় জীবনে ব্যবহার করি না। এটা যাপিত জীবনের সঙ্গে গ্রহণ করতে পারিনি। কেন জানি আমরা মনে করছি, বাংলা সনটি শুধু হিন্দুদের। অথচ ইতিহাস বলে না, এর উৎপত্তি ও বিকাশের সঙ্গে হিন্দুরা ছিল। এটি তৈরি করেছে মুসলিমরা, প্রচলনও করেছে তারা। হিন্দুরা শুধু গ্রহণ করেছে। তারা বিয়ে, অন্নপ্রাসনের মতো সামাজিক কিংবা পারিবারিক অনুষ্ঠানে বাংলা সন ব্যবহার করছে।

অন্যদিকে সারা বিশ্বে বাঙালিদের মধ্যে মুসলিমদের সংখ্যা বেশি। অথচ দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হচ্ছে, মুসলিম কমিউনিটি বাংলা সনটিকে ব্যবহারিক জীবনে ব্যবহার করে না। কিন্তু একটা বড় কমিউনিটি যখন দূরে চলে যাবে, তখন বাংলা সনের ব্যবহারিক দিকটাও কমে যাবে। তখন এটা শুধুই পহেলা বৈশাখে পরিণত হবে! এই পরিস্থিতি কোনো সংকট তৈরি করছে কি-না ভেবে দেখা দরকার।

প্রশ্ন : এই পরিস্থিতিতে কী করণীয় বলে আপনি মনে করেন?

ড. সৌমিত্র শেখর : বাংলা সনকে নির্ভেজালভাবে জীবনের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। বিয়ে কিংবা অন্যান্য অনুষ্ঠানের কার্ডে যদি আমরা বাংলা তারিখ ব্যবহার করি তাতে তো ক্ষতি নেই! সবকিছু মিলিয়ে জীবনের সঙ্গে পহেলা বৈশাখের চেতনা যুক্ত করতে হবে। কারণ ব্যবহার না থাকলে কোনো কিছুই টিকে থাকে না। (দৈনিক সমকাল)

এবিএন/সাদিক/জসিম

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত