![প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ: পলক](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/14/abnews-24.bbbbbbbbbbbbbbbbb_135142.jpg)
নাটোর, ১৪ এপ্রিল, এবিনিউজ: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন, আধুনিক প্রযুক্তির সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন জনকল্যাণমুখী বর্তমান সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তির বিস্তার ঘটিয়ে উন্নয়নের সেই অভীষ্ট লক্ষ্যে দেশকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
পলক আরো বলেন, প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি প্রযুক্তির মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা সেবা চালু করে মানুষের নিরবচ্ছিন্ন কল্যাণে কাজ করছে সরকার। দেশের ১৬ কোটি মানুষের যে কোন বিপদে সেবা প্রাপ্তির জন্যে সরকার বিনামূল্যে জরুরী সেবা ৯৯৯ এবং নারীদের সুরক্ষার জন্যে ন্যাশনাল হেল্প ডেস্ক ৩৩৩ চালু করেছে।
প্রতিমন্ত্রী পলক আজ শনিবার দুপুর ১২ টায় সিংড়া উপজেলাকে ৪জি নেটওয়ার্ক কাভারেজের আওতায় আনা উপলক্ষ্যে বেসরকারী মোবাইল ফোন রবি আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। রবি আজিয়াটা লিমিটেড এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে সিংড়া কোর্ট মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা মেধাত আল হুসিইনি ও ক্লাস্টার বিপনন পরিচালক হামিদুল হক, সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সন্দ্বিপ কুমার সরকার এবং পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস।
অনুষ্ঠানে পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালে দেশে মোবাইল ফোন উন্মুক্ত করে দেন। ঐ সময় প্রযুক্তিকে সাহস করে গ্রহন করার ফলে দেশে প্রযুক্তির বিস্তার ঘটেছে। ২০১০ সালে পাঁচ হাজার ২৭২টি ইউনিয়ন পরিষদে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার চালু করার মাধ্যমে সেখানে দুই শতাধিক নাগরিক সেবা প্রদান করা যাচ্ছে। এরফলে মানুষের ভোগান্তি কমেছে। এখন গ্রামের মানুষকে জমির পর্চা তুলতে জেলাতে যেয়ে দিনের পর দিন ধর্না দিতে হয়না, বাড়ীতে থেকেই কাংখিত সেবা পাওয়া যায়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি শহর ও গ্রামের ব্যবধান কমিয়ে দিয়েছে। প্রযুক্তিতে দক্ষ তরুণরা গ্রামে বসেই ফ্রিল্যান্সিং করে বিদেশী মুদ্রা আয় করতে পারছেন। শিক্ষিত তরুণরা এখন কৃষি উদ্যোক্তা হচ্ছেন। তাঁরা কম্বাইন্ড হারভেষ্টর মেশিনের মত আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষির অগ্রগতি ও উন্নয়নে কাজ করছেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, সারা দেশের সকল স্কুলে বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থিদের হাতে ৩৮ কোটি বই তুলে দিচ্ছে এই সরকার। পাশাপাশি ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করে শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী প্রযুক্তি জ্ঞান প্রদান করা হচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে আইটি পার্ক, ইনকিউবিশন সেন্টারসহ প্রশিক্ষণের বিভিন্ন প্লাটফর্ম তৈরী করা হচ্ছে-যাতে করে দেশের শিক্ষিত তরুণরা প্রশিক্ষণ গ্রহন করে অপার সম্ভাবনাময় আইটি খাতে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেন এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারেন। পাঁচটি ভ্রাম্যমান প্রশিক্ষণ বাসের মাধ্যমে সারা দেশে দুই লাখ নারীকে কম্পিউটারের বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। আমাদের উচিৎ হবে প্রযুক্তির অপব্যবহার না করে এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা।
এবিএন/রাজু আহমেদ/জসিম/তোহা