শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজীবের মৃত্যুতে...

সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজীবের মৃত্যুতে...

সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজীবের মৃত্যুতে অসংখ্যজনের হ্নৎপিণ্ডের হাহাকার ফেসবুকে। বিবেকের সব বোতাম খুলে দেখুন, এসব একেবারেই ‘অনর্থক’। যে দেশে মানুষের জীবনের চেয়ে সরকারি চাকরির দাম বেশি, সে দেশে বেঁচে না থেকে যে কোনো উপায়ে পরিবারের জন্য একটা চাকরি আদায়ের মধ্যেই জন্মের বড়ো ‘সার্থকতা’!

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজীবকে সরকারি চাকরি দেবেন। এ মন্ত্রী বা সরকারের কেউ একবারের জন্যও জোর গলায় বলেননি, রাজীবকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছেন যারা, তাদের বিচার হবে। এখন হয়তো কোনো মন্ত্রী বলবেন, ‘রাজিবের কোনো ভাই বা বোনকে সরকারি চাকরি দেয়া হবে।’ কী সহজ, সস্তা আবেগের রাজনীতি চলে এ দেশে! চাকরি দেয়ার চেয়ে বিচার করা হাজারো গুণ বেশি কঠিন।

রাজীব, আপনার মৃত্যু আমাকে অপরাধী করেনি। কোনো জীবনের অপমান মাথা নিচু করে সয়ে নেয়ার অভ্যাস আছে আমাদের। কবির বাক্য ধার বলছি, আপনার জন্য আমাদের শোকের আয়ু টিকে থাকবে বড়জোর এক সপ্তাহ।

রাজীব, এ জন্মে আপনার সঙ্গে দেখা হয়নি। পরজন্মে না-ও হতে পারে। আপনি তখনো রাজীব হয়েই জন্মাবেন। শুনেছি, দলদাস সাংবাদিক, লেখকরা পরজন্মে কুকুর হয়ে জন্মাবেন। আমিও ওই কাতারের নয় কি? না হলে ‌‘গ্রামের পোলা’ হয়েও কবি হেলাল হাফিজের কবিতার গালিটাও তাদেরকে দিতে পারছি না কেন? যারা আপনার মৃত্যুর জন্য দায়ী, তাদেরকে...।

হাসান শান্তনু’র স্ট্যাটাস থেকে

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত