বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ৬টি ধারায় যা আছে

ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ৬টি ধারায় যা আছে

ঢাকা, ১৯ এপ্রিল, এবিনিউজ : আজ বৃহস্পতিবার দেশের প্রথম সারির দৈনিক পত্রিকাগুলোর সম্পাদকদের সাথে বৈঠক করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। এ বৈঠকেও ঠিক ওই ৬টি তথা ২১, ২৫, ২৮, ৩১, ৩২ ও ৪৩ ধারার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সম্পাদকরা।

আসুন জেনে নিই কী আছে এই ৬টি ধারায়?

আইনটির ২১ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি ডিজিটাল মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা জাতির পিতার নামে প্রোপাগান্ডা চালান বা এতে মদদ প্রদান করেন তাহলে অনধিক ১৪ বছরের কারাদণ্ড বা ১ কোটি টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

ধারা ২৫-এ বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা ইলেকট্রনিক বিন্যাসে ইচ্ছাকৃতভাবে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শন করলে ৩ বছরের দণ্ড বা ৩ লাখ টাকা জরিমানা হবে।

২৮ ধারায় সাইবার সন্ত্রাসের দণ্ড নিয়ে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা, নিরাপত্তা ও সার্বভৌম বিপন্ন করা, জনগণের মধ্যে ভয়ভীতি সঞ্চার করার জন্য কম্পিউটার বা ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে বৈধ প্রবেশের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন বা বেআইনি প্রবেশ করেন বা করান তাহলে ১৪ বছরের কারাদণ্ড বা ১ কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

আইনটির ৩১ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা প্রচার করেন বা করান যা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শ্রেণি বা সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘৃণা বা বিদ্বেষ বা আইনশৃঙ্খলার অবনতি সৃষ্টি করে তাহলে শাস্তি ৭ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

আইনটির ৩২ ধারায় বলা হয়েছে, কম্পিউটার বা ডিজিটাল গুপ্তচর বৃত্তির অপরাধের শাস্তিতে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি বেআইনি প্রবেশের মাধ্যমে সরকারি আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থার কোনো ধরনের অতি গোপনীয় বা গোপনীয় তথ্য-উপাত্ত কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ধারণ, প্রেরণ বা সংরক্ষণ বা সংরক্ষণে সহযোগিতা করেন তার শাস্তি হবে ১৪ বছরের কারাদণ্ড বা ১ কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত