
আদমদীঘি (বগুড়া), ২১ এপ্রিল, এবিনিউজ : বগুড়ার আদমদীঘিতে পরকিয়ায় জের ধরে ডুমুরীগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে নিহতের ছেলে সাইফুল ইসলাম শান্ত আজ শনিবার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এ ঘটনায় পুলিশ আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী আফরোজাসহ স্বামী স্ত্রীকে গ্রেফতার দেখিয়েছে।
উল্লেখ্য, আদমদীঘির ডুমুরীগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও একই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রশিদ (৪৬) শিক্ষকতার পাশাপাশি মাছচাষ ব্যবসা করে আসছিল। পুকুরে চাষ করা মাছের খাদ্য প্রতিদিন দিয়ে আসতেন। প্রধান শিক্ষক প্রতিদিনের মত গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে পুকুরে মাছের খাবার দিতে যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়।
কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। শুক্রবার সকালে গ্রামবাসী ওই পুকুরের কিছু দুরে আটক ব্যাক্তি বাড়ির পশ্চিম পার্শ্বে একটি বাগানে মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গতকাল শুক্রবার লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করেন।
নিহত রশিদের ভায়রা রেজাউল ইসলাম বলেন, পুকুর পাশের বাড়ী আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী আফরোজা বেগমের সাথে গত ৩/৪ বছর পূর্বে থেকে পরকিয়া জড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘ দিন ধরে পরকিয়া চলার সময় প্রায় বছর খানেক পুর্বে পাড়া-প্রতিবেশীরা তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এনিয়ে গ্রাম্য শালিসে ওই শিক্ষকের জরিমানা করেন। এর জের ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে তিনি দাবী করেন।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, প্রধান শিক্ষককে শ্বাসরোধে হত্যা করে তার ধারালো অস্ত্র দ্বারা মুখমন্ডলে কুপিয়ে ও গোপনাঙ্গ কেটে হত্যা নিশ্চিত করে বাগানে ফেলে রাখে।
এ ব্যাপারে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্য আবু সায়িদ মো. ওয়াহেদুজ্জামান মামলা দায়েরের কথা নিশ্চিত করেন।
এবিএন/আনোয়ার হোসাইন/জসিম/এমসি