![যুদ্ধাপরাধ : এনএসআইয়ের সাবেক ডিজিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/25/ict_136780.jpg)
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল, এবিনিউজ : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক ওয়াহিদুল হককে (৬৯) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে এ মামলায় পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১০ মে দিন ধার্য করা হয়েছে।
আজ বুধবার এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি আমির হোসেনের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ।
২৪ এপ্রিল ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। একইদিন গুলশান থানা পুলিশ তাকে বারিধারার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করে। আজ হাজির করা হলে ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ওয়াহিদুল হক মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সেনা কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় রংপুরে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
তদন্ত সংস্থা সূত্রে জানা যায়, আসামি ওয়াহিদুল হকের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। ১৯৬৬ সালের ১৬ অক্টোবর তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে ১১ ক্যাভালরি রেজিমেন্ট কমিশন প্রাপ্ত হন। পরবর্তী সময়ে ২৯ ক্যাভালরি রেজিমেন্টে যোগদান করেন। ১৯৭০ সালের মার্চে ২৯ ক্যাভালরি রেজিমেন্ট রংপুর সেনা নিবাসে স্থানান্তরিত হন। রংপুরে অবস্থানকালে নিরীহ বাঙালিদের ক্যান্টনমেন্টে এনে হত্যা ও গণহত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে তার বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থা মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আসে। সেই অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে তদন্ত শুরু করা হয়। ১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ রংপুর ক্যান্টনমেন্টে ৫০০-৬০০ নিরস্ত্র বাঙালি ও সাঁওতালদের মেশিনগান দিয়ে হত্যার অভিযোগসহ বেশ কিছু অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
এপ্রিলে বদলি হয়ে আবার তিনি পাকিস্তান (পশ্চিম পাকিস্তান) চলে যান। সেখানে তিনি ১৯৭৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত অবস্থান করেন।
১৯৭৪ সালের ডিসেম্বরে তিনি দেশে ফিরে আসেন। ওই সময় তাকে সেনাবাহিনী থেকে অবসর দেওয়া হয়। ১৯৭৬ সালের ১ অক্টোবর ওয়াহিদুল হক বাংলাদেশ পুলিশের এএসপি হিসেবে নিযুক্ত হন। চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার হিসেবে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পরে ১৯৯১-৯৬ সাল পর্যন্ত এনএসআই’র পরিচালক ছিলেন। একই সংস্থার ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পান। ১৯৯৭-২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি পাসপোর্ট অফিসের ডিজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সালে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এবিএন/সাদিক/জসিম