![বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/05/03/cambridge-analytica_137843.jpg)
ঢাকা, ০৩ মে, এবিনিউজ : বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ফেসবুকে তথ্য কেলেঙ্কারির কেন্দ্রে থাকা নির্বাচনী পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ফেসবুকের তথ্য হাতিয়ে ট্রাম্পের পক্ষে কাজের অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে ফেসবুক তাদের ৮ কোটি ৭০ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস হয়েছে। যার মধ্যে ১১ লাখ অ্যাকাউন্ট যুক্তরাজ্যভিত্তিক। লন্ডনের রাজনৈতিক পরামর্শবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা অবৈধভাবে এসব তথ্য পেয়েছিল।
ফেসবুক বলছে, একটি কুইজ অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য হাতিয়ে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। এরপর তথ্যগুলো ফাঁস করে দেয়। এ বিষয়ে তদন্ত চালু থাকবে বলে জানিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি।
ফেসবুকের এক মুখপাত্র বলেন, ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা বন্ধ হলেও তথ্য বেহাত হওয়ার ঘটনাটি তদন্ত করা হবে। কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছিল তা বের করা এবং আগামীতে যেন এমন ঘটনা না ঘটে সেই ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতায় এ তদন্ত চলতে থাকবে বলে জানিয়েছেন ওই মুখপাত্র।
রাজনৈতিক পরামর্শবিষয়ক এ প্রতিষ্ঠান ফেসবুক থেকে অবৈধভাবে তথ্য নেয়। সেই তথ্য ২০১৬ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদের নির্বাচনে প্রচারণায় এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের অপসারণের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে।
গত মার্চে যুক্তরাজ্যের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ফোরে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার তথ্য বেহাতের ঘটনা গোপনে ধারণ করার ফুটেজ সম্প্রচার করে। সেখানে দেখানো হয়, প্রধান নির্বাহী আলেকজান্ডার নিক্স কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন এবং প্রচারণায় কীভাবে ফাঁদ তৈরি করেছেন।
যদিও এই প্রতিষ্ঠানটি এসব কাজের কোনো একটিকেও স্বীকার করছে না। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ইতালি, কেনিয়া ও নাইজেরিয়ার মতো দেশে নির্বাচনে প্রচারণা কাজে সহযোগিতা করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার মুখপাত্র ক্লারেন্স মিচেল প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে জানান, কয়েক মাস ধরে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠান যেসব তথ্য সংরক্ষণ করে, সেসব তথ্য রাজনীতি ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। এ ছাড়া অনলাইনে তথ্য জমা রাখার মানদণ্ড রয়েছে তাও মেনে চলে প্রতিষ্ঠানটি।
ওই বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়, প্রতিষ্ঠান নৈতিক ও আইনত এসব কাজ করেছে। যদিও গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক ও সংশ্লিষ্ট পক্ষকে মূল বিষয় থেকে ভিন্ন খাতে নেওয়া হচ্ছে। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটি তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এবিএন/সাদিক/জসিম