বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

বেলাল চৌধুরী: সেলাই করা স্মৃতির ছায়া

বেলাল চৌধুরী: সেলাই করা স্মৃতির ছায়া

লুৎফর রহমান রিটন, ০৪ মে, এবিনিউজ : চেহারায় ম্যাক্সিকান আদল। গায়ের রঙেও। কয়েক মাস আগে ম্যাক্সিকোর ছোট্ট দ্বীপ ‘কোস্টা মায়া আইল্যান্ডে’ কবি বেলাল চৌধুরীর মতো একজনকে দেখে চমকে উঠেছিলাম! হাসিখুশি লোকটার পরনেও ছিলো বেলাল ভাইয়ের মতোই ঢিলেঢালা হাফ শ্লিভ শার্ট, রঙিন, চক্রাবক্রা।

প্রিয় কেউ মরে গেলে আমরা কেবল স্মৃতি হাঁতড়াই। সেই মানুষটাকে ভাবি। প্রিয় সেই মানুষটাকে যতোবার স্মরণে আনবার চেষ্টা করি ততোবারই ছায়া হয়ে তাঁর সাথে লেপ্টে থাকি নিজে। এ এক অদ্ভুত আয়োজন। এ এক অদ্ভুত উদযাপন, প্রিয় মানুষটিকে। স্মৃতিকাতর আমি কবি বেলাল চৌধুরীর স্মৃতি উদযাপন করতে গিয়ে বারবার তাঁর সঙ্গে নিজেকে দেখতে পাচ্ছি, হাস্যোজ্জ্বল। কখনো ধানমন্ডির ’ভারত বিচিত্রা’ অফিসে, কখনো র‌্যাংকিন স্ট্রিটে মোশাররফ রসুল বুড়ো ভাইয়ের ডেরায়, কখনো ভারতীয় হাইকমিশনের অনুষ্ঠান মঞ্চে, শান্তিনগরে আবাসিক হোটেল ’হোয়াইট হাউস’–এর লবিতে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে, কিংবা দিলকুশা এভেনিউর ’হোটেল পূর্বানী’তে। বাংলা একাডেমিতে কিংবা জাতীয় কবিতা পরিষদে, সিদ্ধেশ্বরী চ্যানেল আই কার্যালয়ে, গুলিস্তান ’গ্রন্থকেন্দ্র’ অফিসে, বাংলামোটর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে, পুরানা পল্টনে, ঢাকা ক্লাবে, কাকরাইলে। এবং অসংখ্য দিবসরাত্রিতে টেলিফোনে, ঢাকায় অথবা আমেরিকায়।

আশির দশকে বুড়ো ভাই আর বিপ্লব দাশের র‌্যাংকিন স্ট্রিটের নিবাসস্থলে এক রাতের জম্পেশ আড্ডায় গুরু বিষয়ক আমার একটি কথার প্রেক্ষিতে বিপুল স্ফূর্তিতে কবি বেলাল চৌধুরী একটা পঙ্‌ক্তি আওড়েছিলেন—সঠিকগুরু অঠিকগুরু গুরু অগণন। এরপর যখনই দেখা হয়েছে বেলাল ভাইয়ের সঙ্গে একবার অন্তত উচ্চারণ করতে চেষ্টা করেছি পঙ্‌ক্তিটা। ’সঠিকগুরু অঠিকগুরু গুরু অগণন।’ আমার পাগলামিতে শিশুর মতো হাসতেন বেলাল ভাই।

গুরু ছিলেন না বেলাল চৌধুরী। ছিলেন গুরুরও গুরু। বাংলাসাহিত্য এবং বিশ্বসাহিত্যের উল্লেখযোগ্য হেন বই বা লেখক ছিলো না যা বেলাল চৌধুরীর রেঞ্জের বাইরে। স্বভাবে বোহেমিয়ান, পাঠেও। বিচিত্র বিষয়ে তাঁর পঠন পাঠন ছিলো অবিশ্বাস্য। এরকম বোহেমিয়ান বর্ণাঢ্য জীবন আর কোনো কবির ছিলো না।

কলকাতায় কাটিয়েছেন প্রায় এক যুগ। ছায়াসঙ্গী ছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের। তাঁদের বন্ধুত্বের সৌরভ এখনো কলকাতার আকাশে বাতাসে। তাঁদের বন্ধুত্বের কিংবদন্তী মুখে মুখে ফেরে। সুনীলের ’অর্ধেক জীবন’ বইটির নানা অধ্যায়ে বারবার উঠে এসেছে বেলাল চৌধুরীর নাম। বইয়ের ওপরে বই বইয়ের ওপরে বই বইয়ের ওপরে বই রেখে তার ওপরে চাঁদর পেতে চৌকি বানিয়ে কতোদিন তাতে শুয়েছেন, ঘুমিয়েছেন সুনীল, বেলাল।

কলকাতার সাহিত্যের মানুষদের কাছে, তাঁদের পরিবারগুলোর কাছে বাংলাদেশের কবি বেলাল চৌধুরী কতোটা আদরের ছিলেন সেটা জেনেছিলাম সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি বক্তৃতায়। আশির দশকে ধানমন্ডির ভারতীয় হাই কমিশনে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সুনীল বলেছিলেন–’কলকাতায় বেলাল খুবই প্রিয় একটা চরিত্র। আমাদের ঘরে ঘরে স্ত্রীরা দুপুরে ওদের রান্নার সময় একমুষ্ঠি চাল বেশিই দিতেন, বলা তো যায় না কখন বেলাল এসে উপস্থিত হয়!’

কী কারণে জানি না কবি বেলাল চৌধুরী আমাকে খানিকটা বেশিই ভালোবাসতেন। সেই শুরু থেকেই। যখন আমি কিশোর, ছড়াকার হিসেবে যখন আমার পাত্তা পাবার কথা নয় তখন থেকেই কবি বেলাল চৌধুরীর বেহিসেবী স্নেহ আর ভালোবাসা পেয়েছি আমি। ১৯৮৭/৮৮ সালে সদ্য তরুণ আমি ছোটদের জন্যে ধারাবাহিক নাটক লিখছি পরিচালনা করছি বাংলাদেশ টেলিভিশনে। ’ঝন্টুপন্টু’ নামের সেই ধারাবাহিক নাটকটি প্রচারিত হচ্ছে যখন, তখন কেন্দ্রীয় চাঁদের হাটের পরিচালক আলী ইমাম গুলিস্তানের গ্রন্থকেন্দ্র ভবনের একটি কক্ষে ফরাস পেতে আমাকে একটি সংবর্ধনা দিয়েছিলেন সংগঠনটির ব্যানারে। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের তৎকালীন সভাপতি আবেদ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন নাট্যকার মমতাজউদদীন আহমদ, প্রযোজক কাজী কাইয়ুম আর কবি বেলাল চৌধুরী। বেলাল ভাই সেদিন তাঁর বক্তৃতার এক পর্যায়ে তাৎক্ষণিক রচিত দু’লাইনের একটি ছড়া উচ্চারণ করেছিলেন—লুৎফর রহমান রিটন/চড়বে সোনার ফিটন। আহা! সেই মহার্ঘ উপহার আজও আমি যত্নে রেখেছি স্মৃতির কোঠরে বুকের গভীরে!

ছড়াকার হিসেবে আমাকে কতোটা মূল্য দিতেন বেলাল চৌধুরী সেটা অমোচনীয় কালিতে মুদ্রিত হয়ে আছে ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত আমার ’ছড়াসমস্ত’ নামের বইতে। বইটির ফ্ল্যাপে কবি বেলাল চৌধুরী আমার মতো নগন্য ছড়াকারকে নিয়ে যে বাক্যসমূহ রচনা করেছিলেন সেটা আজও আমার জীবনের সেরা প্রাপ্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে। আমাকে নিয়ে কেউ কিছু লিখতে গেলে এখনও বেলাল চৌধুরী থেকে উদ্ধৃত করতে হয়।

ব্লার্বটি লেখা হয়ে গেলে আমাকে তিনি ডেকেছিলেন ’ভারত বিচিত্রা’ অফিসে। দু’দিন গিয়েছি ওটা আনতে। প্রথমদিন কম্পোজ করা পৃষ্ঠাটা আনতে গিয়ে দেখি এলাহি কান্ড! তাঁর অফিসকক্ষে চারপাঁচজনের একটা দল। আমারও পরিচিত তাঁরা। তাঁরা এসেছেন বেলাল ভাইয়ের কাছে ভারতীয় ভিসা ফর্ম জমা দিতে। বেলাল ভাই বিপুল ধৈর্য নিয়ে তাঁদের ফর্মগুলো নিজ জিম্মায় রেখে চা–টা খাইয়ে তবে বিদায় করলেন ভিসাপ্রার্থীদের। একটুও বিরক্ত না হয়ে হাসতে হাসতে আমাকে বলেছিলেন,’ভারত বিচিত্রা’ নয় বলতে পারো আমি ’ভিসা বিচিত্রা’য় চাকরি করি! দ্বিতীয় দিন গিয়েছিলাম পল্টনের গ্রাফিক স্ক্যান থেকে ছড়াসমস্তের প্রচ্ছদের ফ্ল্যাপটির ফাইনাল কপিটি বেলাল ভাইকে দেখাতে। ফাইনাল প্রুফকপিতে বেলাল ভাই মাত্র তিন চারটি শব্দ যুক্ত করেছিলেন কোথাও কোথাও, আর তাতেই আরো বর্ণিল হয়ে উঠেছিলো বাক্যগুলোর হিরকদ্যুতি। কী অসামান্য একটা গদ্যভাষা ছিলো বেলাল চৌধুরীর!

আমার সম্পাদিত ’ছোটদের কাগজ’ পত্রিকাটা পছন্দ করে খুব ভালোবেসে বেশ কয়েকটা লেখাও দিয়েছিলেন বেলাল চৌধুরী।

১৯৯৬ সালে জাতীয় কবিতা পরিষদের উৎসবে যোগ দিতে ঢাকায় এসেছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। ফেব্রুয়ারির এক সকালে হোয়াইট হাউসে ফোন করেছিলাম সুনীলদাকে। অপারেটর লাইনটা সুনীলদার রুমে থ্রো করতেই টেলিফোন রিসিভ করেছিলেন কবি বেলাল চৌধুরী। ফোনের এই প্রান্তে আমাকে আবিষ্কার করে বেলাল ভাই উত্তেজিত, আরে রিটন, তুমি তো ইতিহাস সৃষ্টি করে ফেলেছো! সুনীলদা পাশের কামরার দরোজা বন্ধ করে লিখতে বসেছেন। তোমার ছোটদের কাগজের জন্য গল্প লিখছেন সুনীলদা। ঢাকায় বহুবার এসেছেন সুনীলদা, কিন্তু এমনটা কখনোই হয়নি যে, হোটেলে বসে গল্প–টল্প লিখছেন। খুব লাকি তুমি। হ্যাঁ ’রোশনি’ নামের একটা তরতাজা গল্প দিয়েছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ছোটদের কাগজের ঈদ সংখ্যায়। এবং আমি জানি, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের গল্পটা আমি পেয়েছিলাম বেলাল চৌধুরীর নেপথ্য তৎপরতায়। অন্যকে সহায়তা করার ব্যাপারে কবি বেলাল চৌধুরী ছিলেন অনন্য এক ব্যক্তিত্ব। আমাদের লেখালেখির জগতে যা সত্যি বিরল।

বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত ‘সচিত্র সন্ধানী’ আর ’ভারত বিচিত্রা’ এবং কলকাতার বিখ্যাত ’কৃত্তিবাস’ ছাড়াও বেলাল চৌধুরী আরো কিছু পত্রিকার সম্পাদনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন যা সবার জানা। কিছু কম জানা কাজও আছে তাঁর। সাপ্তাহিক সন্‌দ্বীপ পত্রিকাটি বেলাল চৌধুরীর সম্পাদনায় ব্রড শিটে কিছুদিন প্রকাশিত হয়েছিলো। বেলাল ভাইয়ের আহবানে আমিও যুক্ত হয়েছিলাম সেই ব্রডশিট শাদাকালো সাপ্তাহিক সন্‌দ্বীপের সঙ্গে। পত্রিকাটির প্রথম পাতায় ’তোতা কাহিনি’ নামে সিঙ্গেল কলাম বক্সে কার্টুনসহ একটা ছড়া লেখার দায়িত্ব দিয়েছিলেন বেলাল ভাই। মনে আছে প্রথম সংখ্যায় ’তোতা কাহিনি’ শীর্ষক লোগোর নিচে কয়েক লাইনের ছোট্ট একটা ভূমিকা লিখে এই মর্মে বেলাল ভাই ঘোষণা দিয়েছিলেন যে আমি অধম সেই ছড়াটা লিখবো প্রতি সংখ্যায়। দুর্দান্ত ভাষায় রচিত সেই ঘোষণা।

আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন একটা ’ছোটদের পাতা’ করার। পাতার নামটা ঠিক করেছিলেন বেলাল ভাই—রাঙা হাসি রাশি রাশি। আহা কী অসাধারণ নাম! এই নামে আমি একটা ছড়ার বই করবো আগামী বইমেলায়। বইটা কি বেলাল ভাইকেই উৎসর্গ করা উচিৎ না করলেও ক্ষতি নেই। কারণ আমি তাঁকে আমার ছড়ার বই ’হারাধনের ত্রিশটি ছেলে’ উৎসর্গ করেছি ২০১১ সালে। বইটা রঙিন ছিলো না। আমি আমার কোনো রঙিন ছড়ার বই তাঁকে উৎসর্গ করতেই পারতাম, কিন্তু করিনি। কারণ বেলাল চৌধুরী মানুষটাই রঙিন। তাই শাদাকালো বইই উৎসর্গ করেছিলাম তাঁকে। কারণ, তিনিই বুঝবেন দেখবেন ছড়ার অন্তর্নিহিত রঙগুলো। বুঝেও ছিলেন। মনে আছে, সে বার, একুশের বইমেলায় এক বিকেলে কবি বেলাল চৌধুরী এলেন। আমি বললাম, বেলাল ভাই আজই আমার একটা ছড়ার বই বেরিয়েছে। আপনার কি একটু সময় হবে সময় প্রকাশনী পর্যন্ত যাবার? আপনাকে একটা কপি দিতে চাই। খুবই আগ্রহ নিয়ে আমার সঙ্গে বেলাল ভাই সময়ের স্টলের সামনে গেলেন। হারাধনের ত্রিশটি ছেলে–র একটা কপি তাঁর হাতে দিলাম। প্রচ্ছদটা দেখে বললেন বাহ্‌। অতঃপর ইনারে গেলেন। পাতা উল্টাতে উল্টাতে উৎসর্গ পাতায় গিয়েই একটু যেনো চমকালেন! সেখানে মুদ্রিত অক্ষরে ’উৎসর্গ কবি বেলাল চৌধুরী’কে দেখে শিশুর মতো উৎফুল্ল হয়ে উঠলেন বেলাল ভাই। তারপর সেই পাতাটায় চুমু খেলেন মুগ্ধ কিশোরের মতো। এবং সবশেষে দু’হাতে বইটাকে বুকের সঙ্গে জড়িয়ে রাখলেন কিছুক্ষণ। এরপর একটা দীর্ঘ আলিঙ্গন উপহার দিলেন আমাকে। বেলাল চৌধুরীর মাপের একজন বিখ্যাত সাহিত্য ব্যক্তিত্ব আমার মতো সামান্য এক ছড়াকারের উৎসর্গ পেয়ে এতোটা খুশি হবেন সেটা আমি কল্পনাও করিনি। আমার পাশে দাঁড়ানো আহমাদ মাযহারও বেলাল ভাইয়ের ছেলেমানুষী দেখে খানিকটা অবাক হয়েছিলো সেদিন।

বেলাল চৌধুরীর কন্যা ছোট্ট মৌরি আমাকে খুবই পছন্দ করতো। ওকে হাতে করে একবার বিটিভিতে নিয়ে গিয়েছিলাম। একটা অনুষ্ঠানে একটুও না ঘাবড়ে বড়ো মানুষদের মতো ইন্টারভিউ দিয়েছিলো চঞ্চল মেয়েটা। বেলাল ভাই বলতেন, মৌরি দেখি তার রিটন চাচ্চুকে সাংঘাতিক পছন্দ করে। চান্স পেলেই তোমার গল্প করে মেয়েটা।

অবশেষে আমাদের সেই ছোট্ট মৌরি বড় হয়ে আমেরিকায় স্থায়ী হলো।

বেলাল ভাই মৌরির আমেরিকার বাড়িতে এলেন যেবার—কতো কথাই না বলেছি কয়েক দিন, টেলিফোনে, মৌরি আর বেলাল ভাইয়ের সঙ্গে! কানাডায় বসে আমি বেলাল ভাইয়ের মুগ্ধ আর পরিতৃপ্ত মুখটা দেখতে পেতাম যেনো। বাপ–বেটির যৌথ উচ্ছ্বাসে প্লাবিত ছিলো বেলাল চৌধুরীর প্রতিটা মুহূর্ত। আমাকে বলতেন তিনি কন্যার আদর শাসনের গল্প।

কানাডায় বসে প্রিয় বেলাল ভাইকে মনে পড়লেই ফোন দিতাম। টেলিফোনে আমার কণ্ঠ শুনে হইহই করে উঠতেন বেলাল ভাই তাঁর চিরাচরিত ভঙ্গিতে। কিন্তু শেষদিকে তিনি যখন অসুস্থ হয়ে পড়লেন তখন তাঁকে মনে পড়লেও ফোন করতে ইচ্ছে করতো না। কারণ তাঁর কণ্ঠস্বর কেমন ফ্যাসফ্যাসে শোনাতো। বুঝতে অসুবিধে হতো না স্বরযন্ত্রে আর ফুসফুসে প্রচন্ড প্রেসার ক্রিয়েট করে কথা বলছেন বেলাল ভাই। তাঁর কষ্টের কথা ভেবে আমি আমার কথা সংক্ষিপ্ত করে ফেলতাম।

প্রিয় বেলাল ভাই, আমার অনেক প্রিয় বেলাল ভাই, এই লেখাটা লিখছি যখন, আপনি তখন শুয়ে আছেন শর্শদি গ্রামের কোমল মাটিতে। শর্শদি গ্রামের বাতাসে ভাসতে ভাসতে আপনার কণ্ঠস্বর অটোয়ায় এসে আমাকে যেনো বলছে ফিঁসফিস করে–“ঠাণ্ডা চোখে দেখছি আমি / নীল কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে আমার দেহ’’……

গুডবাই বেলাল ভাই।

ভালো থাকুন কুয়াশার আদরে। (সংগৃহীত)

এবিএন/ফরিদুজ্জামান/জসিম/এফডি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত