
সিলেট, ২৯ জানুয়ারি, এবিনিউজ : সিলেটে পুলিশের হাতে ফেনসিডিলসহ আটক দুই যুবককে ছাত্রলীগের একটি দল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ওই দুজন এবং ছাত্রলীগের ১১ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল শনিবার মধ্যরাতে নগরের কুমারপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আজ রবিবার সিলেট কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার সবাইকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নগরের কুমারপাড়ায় একটি প্রাইভেট কারে থাকা ৪৩ বোতল ফেনসিডিলসহ ইমন দাস (২৫) ও মনিরুল ইসলাম (২৪) নামের দুই যুবককে আটক করে টহল পুলিশ। এরপর কোতোয়ালি থানায় খবর দেওয়া হয়। ওই থানার এসআই হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের আরেকটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এদিকে ইমন ও মনিরুলের মাধ্যমে খবর পেয়ে একই সময়ে ছাত্রলীগের কমপক্ষে ১৫ জন নেতা-কর্মী সেখানে উপস্থিত হন।
পুলিশ জানায়, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই দুজনকে ছেড়ে দিতে পুলিশকে অনুরোধ করেন। তখন পুলিশ তাঁদের থানায় গিয়ে কথা বলতে বলেন। এরপর ছাত্রলীগের দুজন কর্মী পুলিশের ওপর চড়াও হন। তাঁরা আটক ব্যক্তিদের ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। পরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ইমন ও মনিরুলকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশকে ঘিরে রাখেন। একপর্যায়ে খবর পেয়ে পুলিশের আরও একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ কৌশলে সবাইকে থানায় নিয়ে যায়। আজ রোববার সকালে ফেনসিডিলসহ আটক দুজনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি ও পুলিশের ওপর হামলা এবং আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগে ছাত্রলীগের ১১ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ছাত্রলীগের অপর চারজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
১১ জনের চারজন জেলা ছাত্রলীগের নেতা। তাঁরা হলেন সহসভাপতি শাহেদ আহমদ, সহসম্পাদক সৌরভ তালুকদার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমদ এবং সাহিত্য সম্পাদক শামসুজ্জামান। এ ছাড়া আরেকজন সুজেল তালুকদার নগর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি। বাকিরা কর্মী। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ। ঘটনা সম্পর্কে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা শুনেছি একজন সংগীতশিল্পী পুলিশের হাতে আটক হওয়ার খবর পেয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সেখানে গিয়েছিলেন। যেহেতু ঘটনাটি তদবির থেকে ঘটেছে এবং মামলাও হয়েছে, তাই আমরা বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে দেখছি না।’
এবিএন/মমিন/জসিম