রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
logo
  • হোম
  • অপরাধ
  • জঙ্গি মর্জিনাকে শনাক্ত করতে সিলেটের পথে পরিবার

জঙ্গি মর্জিনাকে শনাক্ত করতে সিলেটের পথে পরিবার

জঙ্গি মর্জিনাকে শনাক্ত করতে সিলেটের পথে পরিবার

বান্দরবান, ২৯ মার্চ, এবিনিউজ : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পুলিশের হাতে নিহত জঙ্গি জুবাইরা ইয়াসমিন এর বোন মনজিয়ারা পারভিন ওরফে মনজিয়ারা বেগমই সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার জঙ্গি আস্তানায় নিহত ‘মর্জিনা’ কিনা তা নিশ্চিত হতে জুবাইরার বাবা ও ভাই মঙ্গলবার সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ির জঙ্গি আস্তানা 'আতিয়া মহলের' উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রধান এসআই আবু মুসা বলেছেন, জুবাইরার বাবা নুরুল ইসলাম ও বড় ভাই জিয়াবুল হক বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন থেকে সিলেটে উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, মর্জিনাই বান্দরবানের মনজিয়ারা পারভিন কিনা এটা নিশ্চিত হতে মঙ্গলবার সকালে সিলেট পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বান্দরবান জেলা পুলিশকে বার্তা পাঠানো হয়। আর এ বার্তা পেয়ে বান্দরবান জেলা পুলিশ মনজিয়ারা পারভিনের পরিবারের দুই সদস্যকে সিলেট পুলিশের কাছে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়। সীতাকুণ্ডে এই পরিবারের আরেক সদস্য জহিরুল হক (জসিম) কেও জঙ্গি আস্তানা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসন্ধান করে জানা গেছে, মনজিয়ারা বেগমের জন্ম ১৯৯৩ সালের ৩ এপ্রিল। তার বাবার নাম নুরুল আমিন, মায়ের নাম সাবেকুর নাহার। তিনি দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ২৭৮ নং বাইশারী মৌজার অংশ ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

জুবাইরার মা জান্নাত আরা বলেন, 'আমার তিন সন্তানের হদিস নেই। মেয়ের জামাই কামাল হোসেন প্রায় আটমাস আগে জুবাইরাকে চট্টগ্রাম নিয়ে যায়। কয়েক দিন পর ছেলে জহিরুল হক (জসিম) তাদের সঙ্গে চলে যায়।' জুবাইরার একটি ছেলে হলে তার দেখাশোনার কথা বলে তার ছোট মেয়ে মনজিআরাকেও তারা চট্টগ্রামে নিয়ে যায়।' এরপর আট মাস ধরে তাদের কোনো খবর পান না বলে জানান জান্নাত আরা।

গত ১৫ মার্চ সন্ধ্যার পর সীতাকুণ্ড পৌরসভার আমিরাবাদ এলাকায় নামারবাজারে ‘সাধনকুটির’ নামের একটি বাড়ি থেকে জসিম ও আরজিনা নামের দুই জঙ্গিকে আটক করে পুলিশ। ওই নারীর গায়ে আত্মঘাতী হামলার ভেস্ট ছিল। সাধনকুটির থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরে ওই রাতেই সীতাকুণ্ডের প্রেমতলায় ‘ছায়ানীড়’ নামের বাড়িতে ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সোয়াট টিমের নেতৃত্বে শুরু হয় ‘অপারেশন অ্যাসল্ট সিক্সটিন’। এতে নব্য জেএমবির এক নারীসহ তিন পুরুষ জঙ্গি নিহত হয়। সেখান থেকে পরে এক শিশুর মৃতদেহও উদ্ধার করা হয়। সেখানেও প্রচুর বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া যায়। ‘ছায়ানীড়’ বাড়িতে নিহত পাঁচজনের একজন ছিলেন জুবাইরা ইয়াসমিন, তার স্বামী কামাল হোসেন ও তাদের শিশু সন্তান।

বিএন/জনি/জসিম/জেডি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত