শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • অপরাধ
  • কাঠ পাচারে সহযোগিতায় খাগড়াছড়ির বন কর্মকর্তারা

কাঠ পাচারে সহযোগিতায় খাগড়াছড়ির বন কর্মকর্তারা

কাঠ পাচারে সহযোগিতায় খাগড়াছড়ির বন কর্মকর্তারা

খাগড়াছড়ি, ০৭ এপ্রিল, এবিনিউজ : খাগড়াছড়ি বন বিভাগের ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরদ্ধে কাঠ পাচারে সহযোগিতার অভিযোগে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, খাগড়াছড়ি বিভাগীয় বন কর্মবর্তা মো. মোমিনর রশীদ।

সূত্র জানায়, গত ২৬ মার্চ বিকালে চট্টগ্রামের করেরহাট বন চেক পোস্টে কর্তন ও বিক্রি নিষিদ্ধ সাড়ে চারশত ফুট চম্পাফুল কাঠ ভর্তি একটি ট্রাক আটক করে। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা।

জানা যায়, ওইদিন সকাল ৮.১০টায় (খাগড়াছড়ি ট-১১-০০২৭) ট্রাকটির বিপরীতে খাগড়াছড়ি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি নির্ধারিত পাওনা পরিশোধ করে জেপলি চাকমা রিসিড কাটেন। বিষয়টি স্বীকার করেছেন, খাগড়াছড়ি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির লি’র অফিস পিয়ন মো. আইয়ুব।

সূত্রটি জানায়, এ বিপুল পরিমাণ কর্তন ও বিক্রি নিষিদ্ধ চম্পাফুল কাঠগুলো ছিল খাগড়াছড়ি সদর রেঞ্জের জনৈক কর্মকর্তার। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ওই কর্মকর্তার সাথে কতিপয় কাঠ ব্যবসায়ীদের বিরোধ সৃষ্টি হয়। যার ফলশ্রুতি শেষ পর্যন্ত করেরহাট বন বিভাগের তল্লাসী কেন্দ্রে ধরা পড়ে।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট জনৈক কর্মকর্তা জানান, ইতি পূর্বে কাঠ পাচারের অপরাধে আমরা ৪/৫টি গাড়ী আটক করেছি। ১টি কাঠ পাচার চক্রকে ২লক্ষ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ফলে প্রভাবশালী চক্রটি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদেরকে কোণ ঠাসা করতে এ প্রক্রিয়া চালিয়েছে।বিভাগীয় মামলা হয়েছে। এখন নিয়মতান্ত্রিকভাবে যা হওয়ার তা হবে।

এদিকে গত ২৬ জানুয়ারি ভোর রাতে খাগড়াছড়িতে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ট্রাকটি জিরো মাইল এলাকায় একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে ধাক্কা খেয়ে খাদে পড়ে উল্টে গেলে প্রায় ১৫ লাখ টাকার মূল্যে প্রায় চারশত ঘনফুট কর্তন ও বিক্রি নিষিদ্ধ চম্পাফুল কাঠ উদ্ধার হয়।

খাগড়াছড়ি সদর থানার এসআই জয়নাল আবেদীন জানান, ভোর রাতে তিনি খাগড়াছড়ি পৌর শাপলা চত্বর এলাকায় একটি ট্রাককে সিগন্যাল দিলে চালক ট্রাকটি নিয়ে দ্রত পালিয়ে যায়।

পুলিশ ট্রাকটিকে ধাওয়া দিলে জিরো মাইল এলাকায় একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। তবে চালক পালিয়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে, খাগড়াছড়িতে খোদ বন বিভাগের কর্মকর্তারাই কাঠ ব্যবসা ও পাচারের সাথে জড়িত। ফলে নির্বিঘ্নে খাগড়াছড়ি থেকে মূল্যবান কাঠ কর্তন ও বিক্রি নিষিদ্ধ কাঠগুলো পাচার হয়ে যাচ্ছে। এতে করে অসাধু বন কর্মকর্তা ও চোরাই কাঠ পাচারকারী আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেলেও সাজেকসহ পার্বত্যাঞ্চলের রিজার্ভ ফরেস্টগুলো এখন প্রায় অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার পথে। সে সাথে ধ্বংস হচ্ছে খাগড়াছড়ি বনাঞ্চল। হারাচ্ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য।

বৈধ পারমিটের আড়ালে অবৈধভাবে কাঠ পাচার প্রসঙ্গে খাগড়াছড়ি বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোমিনুর রশীদ বলেন, অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। অভিযোগ পাওয়া গেলে সে যেই হোক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, স¤প্রতি কাঠ পাচারে সহযোগিতার অভিযোগে দুই কর্মকর্তাসহ ৬জনের বিরদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।

এবিএন/ইব্রাহিম শেখ/জসিম/স্বপ্না

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত