রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
logo
  • হোম
  • সাক্ষাৎকার
  • গণপরিবহণ সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নেন তারা, যাদের বিশেষায়িত জ্ঞান নেই: অধ্যাপক ড. শামসুল হক

গণপরিবহণ সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নেন তারা, যাদের বিশেষায়িত জ্ঞান নেই: অধ্যাপক ড. শামসুল হক

গণপরিবহণ সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নেন তারা, যাদের বিশেষায়িত জ্ঞান নেই: অধ্যাপক ড. শামসুল হক

ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, এবিনিউজ : ড. শামসুল হক। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক।একই বিভাগ থেকে তিনি গণপরিবহণ প্রকৌশলে এমএসসি ডিগ্রী অর্জন করেছেন।যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁর পিএইচডিও সড়ক ব্যবস্থাপণার ওপর।বুয়েটের দূর্ঘটনা গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকের দায়িত্বও পালন করেছেন।পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন সড়ক অবকাঠামো ও গণপরিবহণ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্পে।রাজধানীর গণপরিবহণ ব্যবস্থাপণার সংকট ও সমাধান নিয়ে তিনি বিস্তারিত কথা বলেছেন।সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাংবাদিক আলমগীর স্বপন।

আলমগীর স্বপন :রাজধানী ঢাকায় গণপরিবহণে ভোগান্তির শেষ নেই। একেক সময় একেক সিদ্ধান্ত হচ্ছে। এর কার্যকর বাস্তবায়ন নেই।আবার বাস্তবায়নে করতে গেলে নানা বাধা। সিটিং সার্ভিস বন্ধ করেও সরকার আবার স্থগিত করেছে।পুরো গণপরিবহণ ব্যবস্থায় বিশৃংখলার কারনেই এমনটা হচ্ছে কি ?

শামসুল হক : আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি গণপরিবহণ হলো যে কোন শহরের মেরুদন্ড।তাই এর পরিকল্পনাটা হতে হয় চৌকস।কৌশলগতভাবে এটার পরিকল্পনা এমনভাবে করা হয়,যাতে করে নগরের যানজট দূর করার জন্য এটা কৌশলগত হাতিয়ার হয়।এর মাধ্যমে আমজনতা যেন সবচেয়ে বেশি সুবিধা পায়। এ কারনে গণপরিবহণের জন্য একটা পেশাদারি ইউনিট থাকা দরকার।কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য,আমাদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে গণপরিবহণ সম্পর্কিত কোন ধ্যান জ্ঞান নেই,জনবল নেই,জনবল কাঠামোতে গণপরিবহণে অভিজ্ঞদের কোন পদও নেই,কোন বিশেষজ্ঞ নেই।অথচ এই প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করছে।তারা রুট পারমিট দিচ্ছে,প্যারা ট্রানজিটের পারমিট দিচ্ছে,বাসের পারমিট দিচ্ছে।কিন্তু যারা দিচ্ছে তারা কিন্তু গণপরিবহণ সম্পর্কিত না।এর ফলে পরিকল্পনায় তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।এমনভাবে সমস্যাকে তারা জটিল করে তুলেছে।

আলমগীর স্বপন : এর মানে কি গোরায় গলদ ? গলদটা কি ?

শামসুল হক : গণপরিবহণে সংকটের কথা বিবেচনা করে সরকার কিছু কনসালটেন্সি প্রকল্প হাতে নিয়েছিলো।এর মাধ্যমে সমীক্ষা রিপোর্ট তৈরী করে দেখেছে আমাদের মুল সমস্যা কোথায়।সুনির্দিষ্টভাবে কিন্তু সেই সমস্যা চিহ্নিতও করা হয়েছে।সেটা হলো আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা নাই গণপরিবহণ সংশ্লিষ্ট পরিকল্পনা করার জন্য।আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে গণপরিবহণে অভিজ্ঞ জনবল থাকতে হবে।যেটাকে মাস ট্রানজিট বলে সেই জনবল থাকতে হবে,ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর জনবল থাকতে হবে,তাহলে ওটা তাদের বিশেষায়িত ধ্যানজ্ঞান হবে।যার ধ্যান জ্ঞান থাকে সে পরিকল্পিত একটা সিস্টেম ডেভলপ করতে পারে।সিস্টেমটা যখন সুশৃঙ্খল হয়,ম্যানেজমেন্ট তখন খুব সোজা হয়ে যায়।এর জন্য গায়ে গতরে গিয়ে,মাঠ পর্যায়ে গিয়ে ম্যানেজ করতে হয় না।ম্যানেজমেন্ট একটা বিজ্ঞান।এই বিজ্ঞান সঠিক সময়ে যদি চিহ্নিত করা যায়,পরিকল্পনার সময়ে যদি আমলে নেয়া যায় তাহলে সমস্যা মাঠ পর্যায়ে যায়ই না।

আলমগীর স্বপন : আপনি কৌশলপত্রের কথা বলছেন,সমীক্ষা রিপোর্টের কথা বলছেন ? এগুলো কবে হয়েছিলো ?

শামসুল হক : আমাদের পরিবহণ ব্যবস্থাপণায় কৌশলগত ধারণাপত্র বা এসটিপি তৈরী করা হয়েছিলো ২০০৫ সালে। এর অনুমোদন হয়েছিলো ২০০৮ সালে। সেখানে কিন্তু এই সমস্যা গুলি সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে বলা হয়েছিলো,এভাবে চললে একটা বিশৃঙ্খল হবে,যেখানে মালিক লাভবান হবে না,সরকার লাভবান হবে না,জনগণ লাভবান হবে না।কারন অপরিপক্কভাবে অপেশাদার লোকগুলি যা করছে এগুলো সমস্যা তৈরী করা ছাড়া আর কিছুই না।তাই সুনির্দিষ্টভাবে বলা ছিলো,গণপরিবহণ সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত গণপরিবহণে যাদের বিশেষায়িত জ্ঞান আছে সে নেবে,পরিকল্পনাটা করবে সেভাবে। অনেক দেশে চমৎকার চমৎকার মডেল আছে,সেটা আমাদের জন্য নিয়ে আসা।সেখানে সুপারিশ ছিলো সব গণপরিবহণকে এক ছাতার নীচে কয়েকটি কোম্পানীর অধীনে নিয়ে আসার।কারন আমাদের সমস্যা হলো খন্ডিত বিখন্ডিত গণ মালিক নির্ভর গণপরিবহণ,যেটা বিশৃংখল,নিয়ন্ত্রণের অসাধ্য।এটার জন্য মাঠে নেমে,ঝটিকা আক্রমণ করা এটা একটা অনৈতিক কাজ।কারন সমস্যটা ওই জায়গায় না,সমস্যাটা পরিচালনায়।যারা পরিকল্পনা করছেন,সেখানে শুদ্ধি অভিযান করা উচিত।সেখানেই কিন্তু সংস্কারটা করা উচিত।

গণপরিবহণ সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নেন তারা, যাদের বিশেষায়িত জ্ঞান নেই: অধ্যাপক ড. শামসুল হক

আলমগীর স্বপন : আর কি কি সুপারিশ ছিলো ?

শামসুল হক : সুপারিশ ছিলো এতো বাসের কোম্পানী না করে,সীমিত সংখ্যক কোম্পানীর মাধ্যমে বাস কনসোলিডেট করো,বাস রুট ফ্রানচাইজ করো।এগুলোর জন্য পয়সা লাগবে না,বিনিয়োগ লাগবে না হাজার হাজার কোটি টাকা।কিন্তু সুশৃঙ্খল হলে তার যে প্রোডাকটিভিটি বাড়বে এতে করে যানজটের বিরাট সমস্যার সমাধান এখানেই হয়ে যায়।এটা কম পয়সার সমাধান এবং প্রত্যেকটা সমীক্ষা রিপোর্টে এটাকে একটা স্বল্পমেয়াদী সমাধান হিসেবে দেখা হয়েছে।এর মাধ্যমে দৃশ্যমান উন্নতি আনা যাবে,বিশৃংখল থেকে সুশৃংখল করার জন্য। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো এই কম পয়সার এবং কোন বিনিয়োগ ছাড়া ব্যাবস্থাপনা উন্নয়নের এই সমীক্ষা রিপোর্ট ওনারা বোঝেন কিনা সেটাই সন্দেহ ? আমি জানি শতভাগ তারা এগুলো বোঝেন না।কারন সেই পেশাদারি লোকগুলো সেখানে নাই।এসটিপি প্রণয়নের পর একই ধারাবাহিকতায ২০১২ সালে সরকার আবার নতুন আরেকটা সমীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো, শুধু গণপরিবহণ সংক্রান্ত।সেই প্রকল্পের নাম হলো বাস রুট যৌক্তিকীকরন।স্প্যানিস কোম্পানী অ্যাডভান্স লজিস্টিক গ্রুপ-এএলজিকে দিয়ে প্রায় ২০ কোটি টাকায় সমীক্ষা করা হয়।এতে আমাদের সমস্যাগুলো কোথায়,এর সমাধানের উপায় গুলো কি কি বলা হয়েছে।সেখানে অতি চমৎকারভাবে তারা দেখিয়ে গেছেন,১৫৬টি রুট তৈরী করে অবৈজ্ঞানিকভাবে,অপেশাদারভাবে যে জট লাগানো হয়েছে,এই জট না খুললে পরে কোন সুন্দর বাসের সেবা মাঠ পর্যায়ে দেয়া যাবে না। নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।তাই দ্রুত এগুলোকে হারমোনাইজ করার কথা বলা হয়েছিলো।

আলমগীর স্বপন : ব্যবস্থাপণার স্বার্থে এএলজি সে সময় বিদ্যমান ১৫৬ রুট কমিয়ে আনতে বলেছিলো।কিন্তু বাস্তবে হয়েছে উল্টো,রুটের সংখ্যা আরো বেড়েছে।রুট এখন দু’শর কাছাকাছি ?

শামসুল হক : হ্যাঁ এখন ১৫৬টিরও বেশি রুট হয়ে গেছে।আরো নতুন নতুন রুট দিচ্ছে।গণপরিবহণ যেখানে চলবে সেখানে ছোট গাড়ীর কোন প্যারা ট্রানজিট চলবে না।এএলজি সরকারকে সমস্যার প্রকৃত কারন উল্লেখ্য করে রিপোর্ট দিয়েছিলো।রোগের উপসর্গ না, তারা রোগের কারন বলেছে,সে অনুযায়ী সমাধান দিয়েছে।এসটিপিতে যেটা বলা ছিলো বা এখন রিভাইজড এসটিপিতে যেটা বলা আছে এবং যেখানে আমরা গণপরিবহণ সংক্রান্ত আলাদাভাবে একটা সমীক্ষা রিপোর্ট পেয়েছিলাম। এর সুপারিশ অনুযায়ী আমি বাস কনসোলিডেট করবো,বাস রুট ফ্রাঞ্চাইজ করবো,বিশৃঙ্খল থেকে সুশৃঙ্খল করবো-হাজার কোটি টাকার ফ্লাইওভার করতে হবে না এটার জন্য।কিন্তু তারা এসব পরিকল্পনা নিচ্ছে না কেন ?আমি বলবো সরকার এর জন্য দায়বদ্ধ হবে।কারন জনগনের সুবিধা সুযোগ তৈরী করা এবং যারা সেবা দিতে চাচ্ছেন তাদের বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরী করা সরকারের দায়িত্ব।

আলমগীর স্বপন : বাস রুট যৌক্তিকীকরনের সমীক্ষা রিপোর্টে ২০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে,এসটিপিতে কত খরচ হয়েছে ? রিপোর্ট বাস্তবায়ন না হওয়ায় এই সব টাকাই কি জলে গেছে ?

শামসুল হক : এসটিপি করতে ১২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।২০০৪ সালে ১২ কোটি টাকা দিয়ে জনগনের অর্থায়নে সমীক্ষা রিপোর্টগুলো তৈরীই করা হয়েছিলো জানার জন্য আমাদের কি করনীয়।সেখানে কিন্তু শুধু ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া হয়নি আমরা কেমন পথে চলছি,এই পথ থেকে উত্তরণের উপায় কি এবং এর জন্য বিনিয়োগ কতটুকু লাগবে সেটা বলা হয়েছে ? সবচেয়ে কম বিনিয়োগে যেভাবে করা যায় এর উপায়ও বলা হয়েছেলিা। কিন্তু এটা করা যায়নি। কারন আমি বলবো এক্ষেত্রে না মন্ত্রনালয়,না সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে গণপরিবহন সংশ্লিষ্ট কোন পেশাদারি লোক আছে?সমস্যাটা হলো জনবল কাঠামো দ্রুত পরিবর্তন করে বিশ্বমানের করা।বাইরের দেশে গণপরিবহণ চালানোর জন্য সুন্দর একটা ইউনিটই থাকে।মাস ট্রানজিট ইউনিট করতে হবে।মেগাসিটির জন্য কমপক্ষে ১’শ থেকে ২’শ গণপরিবহণেরই লোক দরকার।কম করে হলেও ৪’শ থেকে ৫’শ ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ার দরকার।যারা রাস্তার ডাক্তার। তারা রোডের হেলথ তৈরী করে ফেলেছে,নেটওয়ার্ক তৈরী করে ফেলেছে,কিন্তু চিকিৎসার লোক নেই। চিকিৎসা করছে কে অপেশাদারি লোক ? এর থেকে বেশি আমরা কি পাবো ? তাই রাস্তায় বার বার অভিযানে নেমে এই যে জনগণকে ভোগান্তি দেয়া হচ্ছে এর দায়ভার কিন্তু সরকারের কোর্টেই যায়। কারন কোন সুপারিশ মালায় কিন্তু বলা হয়নি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম হবে অভিযান সর্বস্ব।সাড়া বছর ধরে কাকে কোন রুট দেয়া হয়েছিলো সে সেই রুটে চলছে কিনা তা তদারকি করার কথা বলা ছিলো। বলা ছিলো ৪জন ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে হবে না।মেগাসিটির জন্য ম্যাজিস্ট্রেট লাগবে হলো ৪০ থেকে ৫০ জন অথবা এর থেকেও বেশি। বলা হয়েছে বিদ্যমান ব্যবস্থার সংস্কার করার কথা।কিন্তু সমীক্ষা রিপোর্টের সুপারিশ বাস্তবায়ন না করে জনগণের টাকা জলে ফেলা হয়েছে।

গণপরিবহণ সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নেন তারা, যাদের বিশেষায়িত জ্ঞান নেই: অধ্যাপক ড. শামসুল হক

আলমগীর স্বপন : অনেকেই বলছেন রাজধানী ঢাকায় যে বাস আছে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম।সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী আরো ৪ হাজার বাস নামানোর কথা বলেছেন।এতে কি সমাধান হবে ?

শামসুল হক : এক্ষেত্রে আমার ভিন্নমত রয়েছে।কেউ বলছে ১৪ হাজার বাসের রুট পারমিট দেয়া হয়েছে।কিন্তু চলছে মাত্র ৬ হাজার।সংখ্যা কিন্তু বড় কথা না। সিস্টেমের মধ্যে বলা আছে,বাসকে যদি প্লেগ্রাউন্ড দেয়া যেতো,সে তার ক্ষমতায় যদি চলতে পারতো,প্রতিদিন যদি ১০টা ট্রিপ দিতে পারতো (যেটা এখন ২টা কি ৩টা দেয়) তাহলে সমস্যা থাকতো না।সংখ্যা বাড়িয়ে সমাধান করার দরকার নাই,প্রোডাকটিভিটি বাড়িয়েও সমাধান দেয়া যায়।

সমীক্ষায় বলা ছিলো,আমাদের ৫ থেকে ৬ হাজার বাসকে আমি যদি সুন্দরভাবে চলাচলের একটা সুযোগ তৈরী করে দিতে পারি তাহলে কম বাসে প্রতিদিন বেসি ট্রিপ দেয়া যাবে। এতে মালিক লাভবান হবে,সে বাণিজ্যটা করে নিতে পারবে। আবার জনগণ দেখবে কম সময়ে আমি আমার গন্তব্যে পৌছতে পারছি,সরকার দেখবে জনগণকে সেবাটা আমরা দিতে পারছি। কিন্তু এটা না করে আমরা বাসের এখন যে যানজটটা করে ফেলছি,বাস নিজের মধ্যে যে পাল্টাপাল্টি যানজট তৈরী করছে এখানে যদি সরকার আবার বলে আমি আরও ৫ হাজার বাস নামাবো-এটা ¯্রফে ফুলিস ? কারন একটা বাসের ১০ টা ট্রিপ দেওয়ার কথা ছিলো,দিতে পারছে ২টা থেকে ৩টা ট্রিপ।প্রয়োজনের তুলনায় সড়ক কম থাকা,যথেচ্ছ রুট পারমিট,প্রাইভেট কারের অনুমোদন,ট্রাফিক ব্যবস্থাপণার সংকটে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারনে বাস তো চলাচলই করতে পারে না।এ অবস্থায় সংখ্যায় আমি ১০ হাজার কেন,১ লাখ বাস নামিয়েও কিচ্ছু হবে না।এতে অসুখের চিকিৎসা হবে না,চিকিৎসা হবে উপসর্গের।যাত্রী বাসের জন্য দাড়িয়ে আছে-এর অর্থ যদি বাসের সংখ্যা কম মনে করা হয়-এ ধরনের চিন্তাভাবনা দিয়ে একটা মেগাসিটির গণপরিবহণের সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না।এটার জন্য পেশাদারি টিম থাকতে হবে। কেন যাত্রীরা বাসের জন্য দাড়িয়ে আছে ? এর কারন আমার বাসের প্রোডাকটিভিটি অনেক কমে গেছে।তাতে জনগণ সাফার করছে,যারা বিনিয়োগ করেছ তারা সাফার করছে। আবার দিনশেষে সরকারেরও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। সুতরাং কোনোদিকে না তাকিয়ে যে রিপোর্ট গুলো করা হয়েছিলো তা বাস্তবায়ন করতে হবে।সেখানে যে সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা দেয়া আছে সেইভাবে কাজ করতে হবে।এরইমধ্যে অনেক দেরী হয়ে গেছে। এ রিপোর্টগুলো অনেক আগে হয়েছে।এগুলো বাস্তবায়ন না করার মূল্য এখন আমরা টের পাচ্ছি। কিন্তু দোষ চাপাচ্ছি অন্যের ঘারে।দিন শেষে ড্রাইভারকে বানানো হচ্ছে বলির পাঠা,আর জনগণ হচ্ছে ভুক্তভোগী।

আলমগীর স্বপন : রাজধানীতে এখন অসংখ্যা বাস মালিক। প্রায় দুই হাজার।আবার তারা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। নামে বেনামে কেউ কেউ বিভিন্ন বাহিনীর সাবেক,বর্তমান সদস্যও। এ অবস্থায় সব বাস মালিককে এক ছাতার নীচে নিয়ে আসা কি সম্ভব হবে ? ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রায় এক বছর আগে এমন পরিকল্পনার কথা বলেছিলো। কিন্তু এখনও শুরু করতে পারেননি ?

শামসুল হক : আপনি ঠিকই বলেছেন,সময়ের কাজ সময়ে করতে হয়।বাস রুট ফ্রাঞ্চাইজ,বাস কনসোলিডেশন,বাস রুট হারমোনাইজেশন অথবা যৌক্তিকীকরন-এগুলোর সময় অনেক চলে গেছে।এখন সমস্যাটা অনেক জটিল।তবে যত জটিলই হোক না কেন এটা সমাধানযোগ্য।এক্ষেত্রে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা যদি পাওয়া যায়,সরকার যদি বোঝে তাহলেই হবে। যেমন আমাদের বিদ্যুতের প্রয়োজন,কালো আইন তৈরী করেও কিন্তু সরকার সমাধানটা দিয়েছে।আজকে আমরা একটা সুন্দর বিদ্যুত অবকাঠামো পেয়েছি।হতে পারে অপেশাদারি লোক,সিন্ডিকেট রয়েছে পরিবহণ খাতে,সবকিছুই জটিল এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এ কারনে ঘোষণা দেয়ার পরও মেয়র মহোদয় পারছে না।তাহলে পারবে কে ? এক্ষেত্রে প্রয়োজন রাজনৈতিক দৃঢ় প্রত্যয়।

বাস মালিক,বিনিয়োগকারীর বলবেই আমরা একটা সুন্দর রুট পেয়ে গেছি,লাভ করছি,আমাকে এখন বলছো আরেকজনের সাথে এই লাভটাকে ভাগাভাগি করতে ? কেন করবে সে ভাগাভাগি ? কিন্তু এখানেই সরকার বলবে,পুরো সড়কই আমার।আমার কথামতো চলতে হবে।কিন্তু তারা চলতে চাইবে না।কেন চাইবে না ? এটা ওদের দোষ না।আমি মালিককেও দোষ দিবো না,আমি শ্রমিক পক্ষকেও দোষ দিবো না।আমি বলবো যারা এই সিস্টেমটাকে বিশৃংখলভাবে তৈরী করেছে, দায়দায়িত্ব তাদের।আমাকে বুঝতে হবে সমস্যাটা ড্রাইভারের না,সমস্যাটা মালিকের না,সমস্যাটা হলো ভুল সিদ্ধান্তের ফলে খন্ডিত বিখন্ডিত প্রচুর মালিক নির্ভর বাস।যারা এক করিডরে আসতে চাচ্ছে না।এতো মালিককে কমন একটা গ্রাউন্ডে নিয়ে আসা কঠিন।এটার জন্য দরকার বিরাট একটা ঝাকুনি,বিদ্যুতের সমাধানের মতো।উপর থেকে যদি কেউ দায় দায়িত্ব নেয়, মনে করে যে জনগণকে যথেষ্ঠ কষ্ট দিয়েছি-এখন ব্যবস্থা নিতে হবে।তাহলেই হবে।

আলমগীর স্বপন : কিন্তু এখানে পরিকল্পনা গ্রহন করা হলে,সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেখা যায় মালিক শ্রমিকদের বাধার মুখে পড়তে হয়। তারা বাস বন্ধ করে দেয় ?

শামসুল হক : অবশ্যই তারা এটা করবে। এটা হলো উপসর্গ। এই ধরণের প্রক্রিয়া অন্যদেশেও আছে। আমি যদি পেশাদার হতাম, তাহলে যে বাসের জন্য অন্যায্যভাবে রুট পারমিট চাচ্ছে তাকে দিতাম না। কারন আমি তো জানি এক্ষেত্রে এক্ষেত্রে অসুস্থ প্রতিযোগিতা করবে।নিয়ম হলো কোন সেবা দিতে গেলে,কাউকে ইনভাইট করতে গেলে তাকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নির্বাচন করতে হয়।দুর্ভাগ্য এই একটা সেবা এখানে কোন প্রতিযোগিতা হয় না রুট পারমিট পাওয়ার আগে।প্রতিযোগিতা অবশ্য হয় রুট পারমিট পাওয়ার পরে অন্য বাসের সাথে। সমস্যাটা হলো এটা।

আলমগীর স্বপন : এসব কিছু দেখার জন্য বিআরটিএ আছে। পুরো পরিবহণ ব্যবস্থাপণা সমন্বয়ের জন্য গঠন করা হয়েছে ঢাকা পরিবহণ সমন্বয় কর্তৃপক্ষ-ডিটিসিএ।তারা কি কিছুই করছে না ?

শামসুল হক : আমি বলবো সরকার মাঝে দাতাগোষ্ঠীর পরামর্শ অনুযায়ী কিছু কাজ করতে যায়। ডিটিসিএর জন্ম হয়েছিলো,কেউ যেন বিক্ষিপ্তভাবে কোন কাজ না করে,কেউ করতে চাইলেও তাকে সমন্বিতভাবে কাজ করানোর জন্য।যদিও অন্তবর্তীকালীন সমন্বয়ের কথা বলা ছিলো।বলা ছিলো একটা নগর সরকার করতে হবে।যার অধীনে সবাই থাকবে।কেউ ওজর আপত্তি করতে পারবে না। এখন কিন্তু বিআরটিএ বলে আমার লোকবল নাই,এনফোর্সমেন্ট তো করবে পুলিশ। আবার পুলিশ বলবে আমি কেন করতে যাবো ? এই যে ওভারলেপিং দায়িত্ব এটাকে সমন্বয় করার জন্য একটা নগর সরকার দরকার। অন্যান্য দেশের মেগাসিটিতে যেরকম আছে সেই আদলেই সুপারিশ করা হয়েছিলো।ধাপে ধাপে নগর সরকারে যাওয়ার আগে বলা হয়েছিলো ছিলো ঢাকা পরিবহণ সমন্বয় কর্তৃপক্ষের মতো অন্তবর্তীকালীন প্রতিষ্ঠান গঠনের। কিন্তু ডিটিসিএ গঠনের সময়ই গলদ হয়েছে।সেখানে কত জনবল থাকবে,কতজন পেশাদারি লোক দিতে হবে তা ঠিক করা হয়নি। এর ফলে দেখা যাচ্ছে ডেপুটেড লোক দিয়ে চালানো হচ্ছে।তারা ভাবছে এতেই চলে যাবে।সেখানে যাকে সর্ব্বোচ পর্যায়ে বসানো হবে তার কোন ক্ষমতায়ন নাই।সমন্বয় মানে কি ? একজন কথা শুনছে না তাকে ডাকতে হবে।উনি (ডিটিসিএ নির্বাহী পরিচালক) ডাকলে তো একজনও আসবেন না তো।উচ্চ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা আসবেন কেন ? তাহলে জন্মটাই তো পঙ্গু করে বানানো হলো ? তাকে ক্ষমতায়িতও করলাম না আবার লোকবলও দিলাম না। বললাম তুমি সমন্বয় করো। রাজউকের চেয়ারম্যানকে কি উনি ডাকতে পারবেন।একটা এসটিপিতে ফ্লাইওভার নেই,রাজউক যখন সেটা বানিয়ে ফেলছে,তখন ডিটিসিএ কি রাজউককে ডেকে বলতে পারছে এটা বিআরটি,এমআরটি প্রকল্পের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।সেটা কিন্তু ডিটিসিএ করতে পারছে না। বরং ডিটিসিএকে রাজউকে ডাকা হয় অনুমোদন দেযার জন্য।বলা হচ্ছে অনুমোদন দিয়ে যান এবং অনুমোদন দিয়েও আসছে তারা।এই তামাশা যদি চলে সমস্যার সমাধান হবে না। দিন দিন জটিল থেকে জটিলতর হবে এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

আলমগীর স্বপন : অন্যদিকে বিআরটিএ কার্যক্রমও অভিযান সর্বস্ব হয়ে পরেছে ?

শামসুল হক : বিআরটিএ কিন্তু একচুয়ালি নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ।তারা তাদের অর্পিত দায়িত্বের কথা ভুলে গেছে।কারন তাদের লোকবল নাই।তাদের আওতায় রুট পারমিট দেয়া হয়। আপনি যদি রুট পারমিট যারা দেয় সেই কমিটির কম্পোজিশনটা দেখেন আশ্চর্য হবেন।বিশ্বে মনে হয় এটা একমাত্র উদাহরণ হবে যে,রুট পারমিটের কমিটিতে পুলিশের লোক থাকে,যাদের গণপরিবহণ সম্পর্কিত কোন ধারণা নেই। কমিটিতে থাকে শ্রমিক ও মালিকও,যে এটার সুবিধাভোগী।আরো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কিছু লোক থাকে,যাদের গণপরিবহণ সম্পর্কিত ডিগ্রী নাই। কি পরিকল্পনা তৈরী করবেন তারা ? ভুল ছাড়া তো অন্য কিছু সমাধান দেয়ার সুযোগ নেই তাদের।তাই এই ধরনের হাস্যকর কমিটির মাধ্যমে আমি কিছু করে মেগাসিটিকে বাচাঁবো-এটা ভাবা তো বোকামী হবে।সেই জন্যই বলছি আত্মশুদ্ধি দরকার।

আলমগীর স্বপন : গণপরিবহণ ব্যবস্থাপণায় সবক্ষেত্রেই কি তাহলে আমরা ভুল পথে আছি ?

শামসুল হক : সত্যিকার অর্থে যদি আমরা গণপরিবহণ ভিত্তিক একটা টেকসই নগরী করতে চাই সমীক্ষা রিপোর্টগুলোতে যা বলা ছিলো, সে অনুযায়ী খুব দ্রুত জনবলকাঠামো পরিবর্তন করে,পেশাদারি লোকগুলোকে আনতে হবে। প্রথমদিকে আমাদের এমন বিশৃংখলা হয়ে গেছে যে এখন মেয়র মহোদয়ও পারছেন না।মেয়রের কিন্তু যথেষ্ট ক্ষমতা ছিলো এবং উচ্চ স্বরে বলেছিলেন করে ফেলবেন।এখন দেখতে পাচ্ছেন সমীকরণ অনেক জটিল হয়ে গেছে।তাহলে এখন কাকে করতে হবে-এক্ষেত্রে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা লাগবে সর্ব্বোচ পর্যায় থেকে।একটা ধাক্কা লাগবে।তারপরে আস্তে আস্তে আমরা ফিক্স করতে পারবো।

আলমগীর স্বপন : অনেকে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিআরটিসির সক্ষমতা বাড়িয়ে গণপরিবহণের ঘাটতি মেটানোর পরামর্শ দিচ্ছেন ?

শামসুল হক : আমি বলবো বিআরটিসি সংশ্লিষ্ট গণপরিবহণ কখনও টেকসই হবে না।একমাত্র চৌকসভাবে,পেশাদারিভাবে সেবা দিতে পারে বেসরকারী খাত।সরকার থাকবে রেগুলেশনে আর বেসরকারী খাত দিবে সেবা। এখানে যদি সরকার আবার তার প্রতিষ্ঠানকে ভতুর্কি দিয়ে মার্কেটে বাস নামিয়ে ফেলেন তাহলে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান কিন্তু টিকতে পারবে না। তবে এই বাসটাই বেসরকারী খাতে দিলে সেবার মান বেড়ে যেতো।বাইরের বিশ্বে সরকারী প্রতিষ্ঠানে বাস দেয় না।উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এমন উদ্যোগ নিয়েছিলেন।একে বলা যায় আধুনিক একটা মডেল।এক্ষেত্রে আমি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে হাত মেলাবো।পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ-পিপিপি কাকে বলে।আমার কিছু ক্ষমতা আছে কিন্তু সীমাবদ্ধতাও আছে,প্রাইভেট সেক্টরের কিছু ক্ষমতা আছে,সীমাবদ্ধতা আছে। এক্ষেত্রে উইন উইন সিচুয়েশনে পিপিপি করতে হবে।পৃথিবীতে এটা একটা পরিক্ষিত মডেল।কিন্তু সরকার একেবারে ভুল পদ্ধতিতে বিআরটিসিকে ভর্তুকি দিচ্ছে।এতে জনগনও কিন্তু খুশি হবে। সবাই ভর্তুকি পেলে খুশি হয়। কিন্তু যখন হেডলাইন হবে বিমানের মতো,হেডলাইন হবে রেলের মতো হাজার কোটি টাকার লোকসান।

আলমগীর স্বপন : বিআরটিসিতে কেনাকাটায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগও আছে ? চিন থেকে ২৫৭টি বাস কেনা হয়েছিলো,দুই থেকে পাচঁ বছরেই এর অর্ধেক অকেজো হয়ে পড়েছে ?

শামসুল হক : কেনাকাটায় দুর্নীতি হয়,বিআরটিসিতেও তাই হচ্ছে।কেনাকাটা থাকলে সবাই খুশি হয়।কেনাকাটার মতো সবচেয়ে বড় খুশির খবর আর আছে ? এর প্রতিটি লেয়ারে সুযোগসন্ধানী বসা,প্রতিটি লেয়ারে অপেশাদারি লোক বসা। তাই এখানে লুটপাট হয়। এখানে পেশাদারি লোক নেই, তাদের পরিবহণ সম্পর্কিত কোন ধ্যান জ্ঞান নেই,তারা শুধু কেনাকাটা জানে।

আলমগীর স্বপন : গণপরিবহণ নিয়ে সংকটের শেষ নেই।এরপরও আশাবাদের জায়গা আছে।আপনি বলছেন যতই জটিল হোক সমাধান সম্ভব ?

শামসুল হক : আমি বলবো প্রত্যেকটি জিনিসে কার কি ভূমিকা হওয়া উচিত,সরকারের কি ভূমিকা হওয়া উচিত,বিআরটিএ একটা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ তার কি ভূমিকা হওয়া উচিত সেটা নির্ধারণ করা জরুরী। শুধু রেজিস্ট্রেসন করবেন আর সব হয়ে যাবে, রুট পারমিট দিবেন এরপর দায় শেষ,তা হবে না। রুট পারমিট দিবেন,কিন্তু এর আগে অবকাঠামো তৈরী করতে হবে,কোথায় কয়টা টার্মিনাল থাকতে হবে সেটা জানতে হবে।সড়ক থাকলেই গণপরিবহণ সেবাটা দেয়া যায় না।গণপরিবহণের জন্য কিছু বাড়তি ব্যবস্থা নিতে হয়।আমাকে বাস স্টেশন দিতে হবে।ছাউনি দিতে হবে।বাস টার্মিনাল দিতে হবে। টার্মিনাল দুই ধরনের হবে।রাতের বেলা যেখানে শহরের বাইরে যাবে,সেখানে বড় একটা টার্মিনাল থাকবে। আর দিনের বেলা সকালের দিকে যখন জোয়ারের মতো যাত্রী নিয়ে বাস ঢুকতে থাকবে শহরে,যাত্রী নামানোর পর এসব বাস কোথায় থাকবে-এর বিজ্ঞানসম্মত সমাধান ভাবতে হবে।পরিকল্পিত নগরীতে তাদের জন্য থাকবে লেওভার,স্টপওভার টার্মিনাল। এতে যখন বিকেলের দিকে ছুটি হবে তখন বিনিয়োগকারী সুুন্দরভাবে যাত্রী পরিবহণ করতে পারবে। এমন হলে সে কিন্তু ভাড়া কমাতে বললেও রাজি হবে।এই ধ্যান জ্ঞানের লোক নাই সরকারের স্তরে স্তরে।অনেক দিন হয়ে গেছে,এরপরও ভুলের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে বারবার। তার মানে আমরা কিছু শিখিনি।আমরা কোন সমীক্ষা রিপোর্টের কোন সুপারিশ মালা নেইনি। এটা বেশিদিন চলতে পারে না। কারন ঢাকাকে ফলো করছে আমাদের অন্যান্য বড় বড় শহরগুলি।ভুল পরিকল্পনার জন্য যদি ঢাকা ডুবে যায়,তাহলে সাড়া বাংলাদেশের কিন্তু একই পরিনতি হবে।

আলমগীর স্বপন : ধন্যবাদ আপনাকে ।

শামসুল হক : ধন্যবাদ।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত